বরগুনা
বরগুনা প্রেস ক্লাব দখলের চেষ্টার মামলায় ৭ আসামি কারাগারে
বরগুনা প্রেস ক্লাব দখলের চেষ্টা ও হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশিদের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বরগুনা প্রেস ক্লাবের অধিকাংশ সদস্য বার্ষিক শিক্ষা সফরে ভারতে থাকার সময় ১৯ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় এক ইউপি সদস্য মাসুদ তালুকদার ও মুশফিক আরিফের নেতৃত্বে বরগুনা প্রেস ক্লাবে হামলা চালায় একটি মহল।
এ ঘটনায় আহত হন বরগুনা প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার সোহেল হাফিজ, যমুনা টেলিভিশনের রিপোর্টার ফেরদৌস খান ইমন ও সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম মিরাজসহ ৭ জন সংবাদকর্মী। পরে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০ জনকে অভিযুক্ত করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করে বরগুনা প্রেস ক্লাব।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্কুলের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় প্রধান শিক্ষক কারাগারে
বৃহস্পতিবার আসামিরা হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশিদ কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন- মুশফিকুল ইসলাম (মুশফিক আরিফ), এম হারুন অর রশিদ রিংকু, সগীর হোসেন, শাজনুস শরীফ, আল-আমিন, জাফরুল হাসান রুহান (রুদ্র রুহান) ও রাকিবুল হাসান রাজন খান।
বাদী পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী গোলাম মোস্তফা কাদের ও আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ কে এম শফিকুল ইসলাম নেছার।
এ ব্যাপারে বরগুনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাফর হোসেন হাওলাদার বলেন, বরগুনা প্রেস ক্লাবে হামলার ঘটনার ১৩ দিন পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মামলার ১ নম্বর আসামি মাসুদ তালুকদার। এই স্বাভাবিক মৃত্যুকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা মামলা সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে ওই মহল। এছাড়াও বরগুনা প্রেস ক্লাবের প্যাড ও লোগো ব্যবহার করে আসামিরাসহ বাইরের কিছু সাংবাদিকদের নিয়ে বরগুনা প্রেস ক্লাবের নামে একটি ভুয়া কমিটির ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: চেক জালিয়াতির মামলায় সীতাকুণ্ডের ইউপি সদস্য বাবলু কারাগারে
বরগুনায় সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় ৭ সহকর্মী কারাগারে
১৯ ফেব্রুয়ারি বরগুনা প্রেসক্লাবে হামলায় আরেক সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে বরগুনা প্রেসক্লাবের ৭ সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছে বরগুনার একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার আসামিদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে বরগুনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন-অর-রশীদ এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, দায়ের হত্যা মামলায় উল্লেখিত ১৩ জন আসামির মধ্যে ৮ জন বৃহস্পতিবার সকালে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: বরগুনার সব রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট চলছে
আদালত আসামি সোহেল হাফিজ, আরিফুল ইসলাম মুরাদ, মো. কাশেম হাওলাদার, সাইফুল ইসলাম মিরাজ, অলিউল্লাহ ইমরান, সোহাগ হাওলাদার ও সগীর হোসেন টিটুর জামিন না-মঞ্জুর এবং অপর আসামি জাফর হোসেন হাওলাদারের জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, বরগুনা প্রেসক্লাবের অধিকাংশ সদস্য বার্ষিক শিক্ষা সফরে ভারতে অবস্থানরত অবস্থায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় এক ইউপি সদস্য মাসুদ তালুকদার ও কথিত সাংবাদিক মুশফিক আরিফের নেতৃত্বে বরগুনা প্রেসক্লাবে হামলা চালিয়ে দখলের চেষ্টা চালায় একটি মহল।
আরও পড়ুন: বরগুনার বজ্রপাতে নদীতে ছিটকে পড়া জেলের লাশ উদ্ধার
এ ঘটনায় আহত হন বরগুনা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার সোহেল হাফিজ, যমুনা টেলিভিশনের রিপোর্টার ফেরদৌস খান ইমন এবং সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম মিরাজসহ ৭ সংবাদকর্মী।
পরে এ ঘটনায় ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০ জনকে অভিযুক্ত করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করে বরগুনা প্রেসক্লাব।
আরও পড়ুন: বরগুনায় পিকনিকের বাস খাদে পড়ে ব্যবসায়ী নিহত, আহত ১৮
বরগুনার সব রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট চলছে
বরগুনায় সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. ছগীরের ওপর হামলা এবং বাস মালিক সমিতির অফিস ভাঙচুর করার প্রতিবাদে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা পৌর বাস টার্মিনালে মালিক সমিতির অফিসে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
সংগঠনটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা কিসলু জানান, একটি ফেস্টুন সাঁটানোকে কেন্দ্র করে বরগুনা জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান শিপন তার লোকজন নিয়ে ছগীরের ওপর হামলা চালায়। এ সময় অফিস থেকে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও করেন তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের ৩ জেলার ২৬ রুটে পরিবহন ধর্মঘট চলছে, ভোগান্তিতে মানুষ
কিসলু বলেন, ‘এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন আমরা আর কখনও হইনি। আমাদের অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। স্ত্রী সন্তানের সামনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (বশেমুক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। হামলার সময় অফিস থেকে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
এ দিকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলার কারণে সোমবার সকাল থেকে জেলার সব সড়কে পরিবহন শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত বরগুনা জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান শিপনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের তিন দফা দাবিতে ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার
অবরোধ: দুই জেলায় দু’টি গাড়িতে আগুন
বগুড়ার শিবগঞ্জ ও বরগুনার আমতলী উপজেলায় বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দলের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের মধ্যে বুধবার রাতে দুটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মিডিয়া সেলের স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসিম বলেন, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার চন্ডিহারা এলাকায় একটি ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায় বলে ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা জানান।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে শিবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বাসে আগুন দিয়েছে অবরোধকারীরা
এদিকে বরগুনার আমতলী উপজেলায় বুধবার রাতে সাকুরা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে।
রাত ৯টা ২২ মিনিটের দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া যায় বলে স্টেশন অফিসার তালহা জানান।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমতলী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের মধ্যে বুধবার সন্ধ্যা থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে একাধিক স্থানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: বনানীতে মিনিবাসে আগুন
অবরোধ: তাঁতিবাজারে বাসে আগুন
বরগুনার বজ্রপাতে নদীতে ছিটকে পড়া জেলের লাশ উদ্ধার
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় বজ্রপাতে ট্রলার থেকে ছিটকে বিষখালী নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া জেলের লাশ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে বিষখালী ও বলেশ্বর নদের মোহনাসংলগ্ন লালদিয়ার চর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার ফিরোজুজ্জামান জানি।
আরও পড়ুন: নাটোরের গুরুদাসপুরে নিখোঁজ কৃষকের লাশ উদ্ধার
নিহত আউয়াল (৩৮) পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের চরলাঠিমারা গ্রামের আব্দুল হামিদ হাওলাদারের ছেলে।
জানা যায়, শনিবার নদীর লালদিয়া চর থেকে দক্ষিণে একটি ট্রলারে মাছ ধরছিলেন আউয়াল, জাহাঙ্গীর মাঝি, শাকিল ও রনি। সে সময় বজ্রপাত হলে ট্রলার থেকে ছিটকে নদীতে পড়ে যায় আউয়াল। বাকি তিনজন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। কয়েকঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরলে তারা আউয়ালকে খোঁজাখুঁজি করেও পাননি।
কোস্ট গার্ডের কমান্ডার ফিরোজুজ্জামান জানান, খবর পাওয়ার পর থেকে আউয়ালকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করা হয়। অভিযানে রবিবার তার লাশ উদ্ধার হয়। আহত তিন জেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবি ঘটনায় শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: আরও ২ জনের লাশ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ৩
বরগুনায় পিকনিকের বাস খাদে পড়ে ব্যবসায়ী নিহত, আহত ১৮
বরগুনার আমতলীতে পিকনিকের বাস খাদে পড়ে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১৮ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের ঘটখালী নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যবসায়ী মো. ইসলাম হোসেন (৫২) নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার সল্পের চর গ্রামের শামসুদ্দিন বেপারীর ছেলে। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। জানা গেছে, তাদের সবার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সল্পের চর গ্রামে।
আহতরা বলেন, নারায়ণগঞ্জ বন্দর থেকে পরিবার নিয়ে পিকনিক করতে বুধবার রাতে কুয়াকাটা রওনা দেন। তাদের বহনকারী সেন্টমার্টিন বাসটি আমতলী উপজেলা চাওড়া ইউনিয়নের ঘটখালী নামক স্থানে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে পিকনিকের বাস উল্টে নিহত ২, আহত ২০
তারা আরও বলেন, এ সময় ওই বাসে ৪৫ জন যাত্রীর মধ্যে ১৮ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের চিকিৎসক পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পটুয়াখালী থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ইসলাম হোসেন নামের একজন ব্যবসায়ী নিহত হন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ইমরান বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ১৮ জন হাসপাতালে এসেছিলেন। তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছি।’
আমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বারেক বলেন, ‘আমরা খবর শুনে আমতলী হাসপাতালে যাই এবং যারা গুরুতর আহত তাদেরকে পটুয়াখালী হাসপাতালে প্রেরণ করি এবং ওখানে নিহতের কোনো খবর আমরা পাইনি।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তাপু বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি জব্দ করা হয়েছে। যারা গুরুতর আহত ছিল তাদেরকে পটুয়াখালী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পিকনিকের বাস উল্টে আহত ২০
বিদ্যালয়ের পিকনিক বাস দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৪০
বরগুনায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে
বর্ষা ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে বরগুনার গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় জেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে। নদীর পানি বাড়ায় বাঁধ ভাঙার শঙ্কায় কাটছে তাদের দিন।
তা ছাড়া পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে গেলে এইসব এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দেবে বলে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), বরগুনা।
বরগুনার মাঝের চর এলাকার বাসিন্দা আলি আকবর বলেন, ‘আমাদের জমাজমি নেই। তাই নদীর চরে বাড়ি করেছি। ভাবছিলাম এবার বন্যা হবে না, কিন্তু পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে বোরো আবাদ মনে হয় বন্যায় খেয়ে যাবে। রাতে ঘুম হয় না, খুব দুশ্চিন্তায় আছি।’
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত
১ নম্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান রাজা বলেন, ‘মাঝের চরের বরগুনা অংশের কিছু এলাকার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। খুব শিগগিরই এই মৌসুমে এডিপির অর্থ দিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।’
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক মো. মাহাতাব হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) গৌরীচন্না ইউনিয়নের দক্ষিণে অবস্থিত খাকদন নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, বেতাগীর বিশখালী নদীর পানি ৩১ সেন্টিমিটার, বরগুনার আমতলীর বুড়েশ্বর/পায়রা নদীর পানি ১৭ সেন্টিমিটার, বরগুনার বিশখালী নদীর পানি ৪৩ সেন্টিমিটার এবং পাথরঘাটার বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৫৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপরে
কাজিপুরে বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে যমুনার পানি
বরগুনায় নারী নির্যাতন মামলায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কারাগারে
বরগুনায় নারীর সম্ভ্রমহানির অভিযোগে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৭ জুলাই) বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান এ আদেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান রনো বরগুনা পৌর শহরের কেজি স্কুল সড়কের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল।
জানা যায়, এ বছরের ৮ এপ্রিল আসাদুজ্জামান রনো ও তার সহযোগী দেলোয়ারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে তার এক নারী প্রতিবেশী মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যা মামলায় পৌর মেয়র কারাগারে
ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলাটি বরগুনা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অনুসন্ধান করে ৭ দিনের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।
গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক মো. জাহিদ হাসান মিয়া ১মে আসামি রনো ও দেলোয়ারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করেন। বিচারক ১১ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার নির্দেশ দেন।
দেলোয়ার বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হয় এবং রনো সোমবার স্বেচ্ছায় ওই ট্রাইব্যুনালে হাজির হন।
আদেশের পরে আদালত প্রাঙ্গণে রনো বলেন, আমাদের জমির ওপর দিয়ে পানির পাইপ নিতে চায় মামলার বাদীর স্বামী আবু জাফর। আমি বাধা দিলে আবু জাফর তার স্ত্রীকে দিয়ে এই মিথ্যা মামলা দেওয়ায়। আমি ঢাকায় ব্যবসা ও রাজনীতি করি। মামলা বিষয় আমি কিছু জানতাম না।
অন্যদিকে, মামলার বাদী বলেন যে চলতি বছরের ৩এপ্রিল সকালে আমার বাসার পূর্ব পাশে এসে রনো ও দেলোয়ার আমাকে লাগমন্দ করে। আমি প্রতিবাদ করলে রনো ও দেলোয়ার আমাকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে।
বরগুনার বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, বাদীর মামলার ঘটনা সত্য মর্মে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দিয়েছে। এ কারণে রনোর জামিন না মঞ্জুর করেছেন আদালত।
অপর আসামি দেলোয়ারের জামিন আবেদন শুনানি হবে আগামী ২৩ জুলাই।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যাচেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু
বন্দী নির্যাতনের ঘটনায় পাপিয়াকে কাশিমপুর থেকে কুমিল্লা কারাগারে স্থানান্তর
বরগুনায় সৈকতে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
বরগুনার তালতলীর শুভ সন্ধ্যা সমুদ্রসৈকতে একটি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকাল ১০টার দিকে সৈকতের লঞ্চঘাট থেকে মৃত ডলফিনটি উদ্ধার করা হয়।
আসাদুল নামে স্থানীয় এক জেলে জানান, প্রায় ৬ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ২ ফুট চওড়া মৃত ডলফিনটির লেজ ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সাগরে জেলেদের জালে আটকে এটির মৃত্যু হয়েছে।
তালতলী উপজেলা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা টিম পাঠিয়েছি। ডলফিনটিকে নিরাপদ স্থানে মাটি চাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।
তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হালিমা সর্দার বলেন, ধারণা করা হচ্ছে মৃত ডলফিনটি ইরাবতী প্রজাতির। এটি জেলেদের জালে আটকা পড়ে মারা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো অর্ধগলিত জোড়া ডলফিন
কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো অর্ধগলিত ডলফিন
কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো ২টি মৃত ইরাবতী ডলফিন
বরগুনায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু
বরগুনার বেতাগীতে বিষখালী নদীর পাড়ে অচেতন অবস্থায় এক নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৭ মে) দুপুরে উপজেলার বুড়ামজুমদার ইউনিয়নে বলইবুনিয়া এলাকার বিষখালী নদীর পাড়ে অচেতন অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে বেতাগী থানা পুলিশের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় আলমসাধু থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষখালী নদীর পাড়ে অচেতন অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে তাকে বেতাগী উপজেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু
নরায়ণগঞ্জে বাড়িতে রান্না করতে গিয়ে দগ্ধ নারীর মৃত্যু