প্রতিবাদ
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নামে ভুয়া অডিও রেকর্ড, মন্ত্রণালয়ের প্রতিবাদ
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নামে তৈরি একটি ভুয়া বা এআই-জেনারেটেড অডিও কল রেকর্ড সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে এটি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কণ্ঠ নয়; কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট বা বিকৃত করা একটি কণ্ঠস্বর। যেকোনো সচেতন ব্যক্তি, যিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কণ্ঠ সম্পর্কে অবগত, সহজেই বুঝতে পারবেন যে এটি তার কণ্ঠস্বর নয়।
‘ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট’ নামের একটি ভুয়া ফেসবুক আইডিসহ বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচারিত ২৫ সেকেন্ডের ওই অডিওতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ভিপি নুরের বিষয়ে এক অজ্ঞাতনামা পুলিশ কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দিতে শোনা যায় বলে দাবি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আজ সারা দেশে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ, ঢাকায় সমাবেশ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ধরনের ভুয়া অডিও কনটেন্ট তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও বেআইনি। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে গুজব ছড়াচ্ছে এবং তারা প্রকৃত তথ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে ভুয়া অডিও রেকর্ড বা অন্য যেকোনো বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে। অন্যথায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৯৬ দিন আগে
জুলুমের শিকার হলে প্রতিবাদ করবেন, আমাদের সাথে রাখবেন: অমুসলিমদের উদ্দেশে জামায়াত আমির
অমুসলিমদের ওপর কোনো জালেম জুলুম করলে তা প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ করতে জামায়াতকে সঙ্গে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আগামীতে কোনো জালেম যদি আপনাদের(অমুসলিম) উপর জুলুম করে আপনারা প্রতিবাদ করবেন, প্রতিরোধ করবেন, আমাদেরকে সাথে রাখবেন। আমরা চাইনা জুলুমের শিকার হয়ে কেউ ধুকে ধুকে কষ্ট পাক; তার প্রিয় জন্মস্থান ছেড়ে অন্যত্র চলে যাক।’
আরও পড়ুন: জামায়াত আমিরের সাথে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমি আমার জন্মস্থানে থাকবো এবং সম্মানের সাথে থাকব। যারা অতীতে এই অপরাধ করেছেন তাদের চিহ্নিত করে যার হক তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। সে তার হক বুঝে পাক।’
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে কুলাউড়া উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী গণসংযোগ পক্ষ পালন উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশ আমাদের সবার সুতরাং এদেশে আমরা মর্যাদা ও শান্তির সঙ্গে নিরাপদে বসবাস করতে চাই। বিগত ১৫ বছর আমাদের উপর বিভিন্নভাবে জুলুম নির্যাতন গিয়েছে। এর অবসান হয়েছে গত ৫ আগস্ট। ঐ রাতেই আমি আমার দলের সকল সহকর্মীকে আহ্বান জানিয়েছি আল্লাহর ওয়াস্তে কারও উপর কোনো প্রতিশোধ নেবেন না। জাতিকেও একই কথা বলেছি।
তিনি বলেন, আপনাদের স্মরণ থাকার কথা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন তাদের সরকারের পতন হলে কমপক্ষে ৫ লাখ লোককে হত্যা করা হবে। এরকম হলে প্রত্যেক গ্রামে এক দুইজন লোক মারা যেত। এরকম হয় নাই। প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কখনো শান্তি বয়ে আনতে পারে না।
জামায়াতপ্রধান বলেন, আমরা রাষ্ট্রের দায়িত্বে আমরা যাই আর নাই যাই, আপনাদের সাথে আছি। আমরা আপনাদের সঙ্গে থাকব। রাষ্ট্রের দায়িত্বে কে যাবে না যাবে, সেটা আল্লাহ ফায়সালা করবেন। যারা জোর করে ক্ষমতা নেয়, তারা অপদস্থ এবং অপমানিত হয়। তারা যেমন রাষ্ট্রের সেবাও ভালোভাবে করতে পারে না, তেমনিভাবে তারা পদে পদে অপমানিত ও অপদস্থ হয়। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে জামায়াতের নেতাকর্মীরা সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর পাহারা দিয়েছে। আমাদের নেতাকর্মী কোনো ধ্বংসাত্মক কাজে জড়িত ছিলেন না।
শফিকুর রহমান বলেন, অন্যায় অপরাধ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে মামলা হবে। যিনি মামলা দায়ের করবেন অপরাধ প্রমাণ করার দায়িত্ব তার। যদি তিনি অপরাধ প্রমাণ করতে পারেন তাহলে সেই অপরাধী সংবিধান অনুযায়ী শাস্তি পাবে। আমি কে আইন হাতে তুলে নেবার? আইন হাতে তুলে নিয়ে আরেকজনকে খুন করা, আঘাত করা, বাড়ি লুট করার ও বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার আমি কে? রাষ্ট্র কী আমাকে এই অধিকার দিয়েছে? না, কাউকে দেয়নি।
আরও পড়ুন: আগে স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে সক্ষমতা যাচাই করুন: সরকারকে জামায়াত আমির
কুলাউড়া উপজেলা আমির অধ্যাপক আব্দুল মুন্তাজিমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি বেলাল আহমদ চৌধুরীর পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মো. ফখরুল ইসলাম, সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলী, সেক্রেটারি ইয়ামীর আলী প্রমুখ।
এছাড়াও বক্তব্য দেন কুলাউড়া পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডা. অরুনাব দে, সাধারণ সম্পাদক অজয় দাশ, সদস্য অশোক ধর, কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সৌম্য প্রদীপ ভট্টাচার্য্য ও পূজা উদযাপন পরিষদ কুলাউড়া পৌরসভার আহবায়ক বিচিত্র দে।
২১৯ দিন আগে
জবি শিক্ষার্থীকে মারধর ও পুলিশে সোপর্দ, প্রতিবাদে বিভাগের গেটে তালা
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষা বয়কট করে বিভাগটির গেটে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ওই শিক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে আনতে ৩ শিক্ষকসহ থানায় অবস্থান করছেন তারা।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম আকরাম হোসেন। তিনি জবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) আকরামের সঙ্গে ঘটা ঘটনার প্রতিবাদে ক্লাস পরীক্ষা বয়কট করে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল (রবিবার) স্নাতকোত্তরের সনদ তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় এসেছিলেন আকরাম। সেখান থেকে তাকে আটক করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আকরামকে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
ছাত্রদল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, প্রথম বর্ষে থাকার সময় তাদের নেতাকর্মীদের ওপর দলবদ্ধ হামলা চালিয়েছিলেন আকরাম ও তার বন্ধুরা।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আকরাম। তিনি বলেন, ‘প্রথম বর্ষে থাকার সময় ছাত্রলীগের বড় ভাইয়েরা আমাকে মিছিলে নিয়ে যেত। কিন্তু এরপরে আমি আর কখনো ছাত্রলীগ করিনি। আমার কোনো পোস্ট-পদবি কিছুই নেই। আমি জুলাই আন্দোলনেও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছি।’
এদিকে, এ ঘটনায় বিভাগে তালা দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আকরামকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় অবস্থান করছেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল ফকির বলেন, ‘আকরাম ভাইকে ট্যাগিং দিয়ে অন্যায়ভাবে থানায় দিয়েছে ছাত্রদল। আমরা যখন তাকে ছাড়াতে থানায় আসি, তখন আমাদের বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অথবা উপাচার্য না বললে আকরাম ভাইকে ছাড়া হবে না। এর প্রতিবাদে আমরা বিভাগে তালা দিয়েছি। আমরা তিনজন শিক্ষকসহ এখন থানায় অবস্থান করছি।’
আরও পড়ুন: পিএসসির সংস্কারসহ ৭ দফা দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ফরহাদ বলেন, ‘আকরাম ভাই খুবই মেধাবী মানুষ। বিভিন্ন জার্নালে তার লেখাও প্রকাশিত হয়েছে। সনদ তুলতে এলে তাকে মারধর করে থানায় দেয়া হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে বিভাগের অধ্যাপক ড. আঞ্জুমান আরা জানান, গেটে এখনও তালা দেওয়া রয়েছে।
বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন কুমার দাস শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থানায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
২২০ দিন আগে
গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদ: সেনাদের বরখাস্তের ঘোষণা ইসরায়েলের
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের সমালোচনা করে প্রকাশিত একটি খোলাচিঠিতে সই করা দেশটির বিমানবাহিনীর রিজার্ভ (অনিয়মিত বা খণ্ডকালীন সেনা) সেনাদের মধ্যে কর্তব্যরত সবাইকে বরখাস্ত করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
স্থানীয় সময় শুক্রবার ( ১১ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এক কর্মকর্তা।-খবর এসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি)।
এপিতে পাঠানো এক বিবৃতিতে আইডিএফের এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘রিজার্ভ সদস্যদের মধ্যে সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব থাকা সেনাসহ অন্য কারোরই অধিকার নেই সামরিক মর্যাদাকে কাজে লাগিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া।’
যুদ্ধে সক্রিয় থাকা অবস্থায় খোলা চিঠিতে সই করে সেনারা তাদের বাহিনীর কমান্ডার ও অধীনদের মধ্যকার শৃঙ্খলা ও আস্থা ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ করেন ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বর্তমানে যুদ্ধে কর্তব্যরত রয়েছেন এমন যেসব সদস্য ওই খোলাচিঠিতে সই করেছেন, তাদের বরখাস্ত করা হবে। তবে ঠিক কতজন সদস্যকে বরখাস্ত করা হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে গাজায় হামলা শুরু করায় ইসরায়েল প্রশাসনের সমালোচনা করে দেশটির গণমাধ্যমে একটি খোলাচিঠি প্রকাশিত হয়। সেখানে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসহ বিমানবাহিনীর রিজার্ভ সেনাদের মধ্যে প্রায় ১ হাজার সদস্যরা সই করেন।
ইসরায়েলে প্রশাসন রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে বলে তারা খোলাচিঠিতে অভিযোগ করেন। তাছাড়া হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত করতে প্রশাসনের ব্যর্থতারও সমালোচনা করা হয়। প্রয়োজনে যুদ্ধ বন্ধ করে হলেও জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার প্রতি জোর দেন তারা।
এমন এক সময়ে এই খোলাচিঠি প্রকাশিত হয়েছে, যখন হামাসের হাতে থাকা বাকি জিম্মিদের ফেরানোর অজুহাতে পুনরায় নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। উপত্যকাটিতে খাদ্য, জ্বালানিসহ জরুরি মানবিক সেবার প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে ইসরায়েল প্রশাসন।
আরও পড়ুন: চোখে সামনে যা পড়েছে, তা-ই হত্যা করেছি: ইসরায়েলি সেনাদের বিবরণ
হামাসের হাতে থাকা ৫৯ জিম্মির মধ্যে প্রায় অর্ধেকই মৃত বলে জানা গেছে। হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলাতেই তারা প্রাণ হারিয়েছেন। গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে গাজায় পুনরায় ইসরায়েল হামলা শুরু করলে বাকি জীবিত জিম্মিদের প্রাণও ঝুঁকিতে পড়ার কথা জানায় হামাস।
তবে এতে ভ্রূক্ষেপ না করেই ভয়াবহ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। খোলাচিঠিতে সই করা সেনারা নিজেদের দায়িত্ব পালনে অপারগতার কথা না জানালেও গাজায় যা হচ্ছে তা নৈতিকতা বিরুদ্ধ বলে মন্তব্য করেন।
এই চিঠির নেতৃত্বে থাকা বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত পাইলট গাই পোরান বলেন, ‘ইসরায়েলি প্রশাসনের গাজায় এই হামলা শুরু করার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি অযৌক্তিক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন। এতে তারা জিম্মি ও ইসরায়েলের বহুসেনাসহ নিরাপরাধ ফিলিস্তিনিদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলেছে। অথচ এই হামলার সুস্পষ্ট বিকল্প কিন্তু প্রশাসনের হাতে ছিল।’
তবে চিঠিতে সই করা সেনাদের মধ্যে কাউকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে তার জানা নেই উল্লেখ করে গাই বলেন, ‘কেউ বরখাস্ত হয়েছে বলে শুনিনি আমি, তবে চিঠি প্রকাশের পর আরও অনেক সেনা এতে সই করছেন।’
এই চিঠি প্রকাশের ঘটনাকে তাচ্ছিল্য করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘বিদেশি কিছু এনজিওর অর্থায়নে এক ঝাঁক আগাছা এই কাজ করেছে। ডানপন্থি জোট সরকারের পতনের উদ্দেশ্যেই তারা এসব করছে।’
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের ‘মানবঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করত ইসরায়েলি বাহিনী
সাধারণত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ইসরায়েলের সেনাদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ, তাই প্রশাসনের যেকোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে খুব কমই তাদের প্রতিবাদ করতে শোনা যায়। তবে বর্তমানে চিত্র বদলাচ্ছে।
২০২৩ সালে ৭ অক্টোবরের হামলার পর গাজায় যুদ্ধ চালানোর বিষয়ে সবাই একমত হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভিন্নমত বাড়ছে। গাজায় অব্যাহত হামলার সমালোচনা বেড়েই চলেছে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে। বিশেষত যুদ্ধে সেনাদের নিহতের সংখ্যা বাড়ার কারণে ও জিম্মিদের মুক্তিতে ব্যর্থতায় নেতানিয়াহু প্রশাসন সমালোচনার মুখে পড়েছে।
২৩৬ দিন আগে
ইসরায়েলি নৃশংসতার প্রতিবাদে আজ ঢাকায় 'মার্চ ফর গাজা'
গাজায় ইসরায়েলের চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের প্রতি বিশ্বব্যাপী সংহতি জোরদার করার লক্ষ্যে আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে 'মার্চ ফর গাজা'র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ এই সমাবেশের আয়োজন করে। শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাজার হাজার মানুষের জড়ো হওয়ার কথা রয়েছে।
প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্টের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর শেখ ফজলুল করিম মারুফ জানান, বিকাল ২টায় পাঁচটি পয়েন্ট থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে বিকাল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ করা এবং ফিলিস্তিনের নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন প্রদর্শন করাই এ সমাবেশের উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে প্রকৌশলীদের মানববন্ধন
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন বায়তুল মোকাররমের খতিব মুহাম্মদ আবদুল মালেক।
একই স্থানে একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অন্যান্য খাতের শীর্ষ নেতারা মঞ্চে থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে একটি বড় মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে এবং সমাকবেশস্থলে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনুষ্ঠান সফল করতে আয়োজকদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করতে শুক্রবার(১২ এপ্রিল) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বৈঠকস্থল পরিদর্শন করেন।
ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম, এবি পার্টিসহ বিভিন্ন দল ও গোষ্ঠীর পাশাপাশি বিভিন্ন খাতের বিশিষ্ট ইসলামী বক্তা ও পেশাজীবীরা 'মার্চ ফর গাজা' সমাবেশের আয়োজন করে।
প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম 'মার্চ ফর গাজা' শিরোনামে একটি ফেসবুক ইভেন্ট তৈরি করেছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রায় ৭৩ হাজার মানুষ এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ৬ হাজার ৩০০ জন তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন।
আয়োজকদের মতে, ফিলিস্তিনের সমর্থনে ঢাকায় এটিই হবে সবচেয়ে বড় জনসমাবেশ।
আরও পড়ুন: গাজায় গণহত্যা: বিক্ষোভের সময় হামলা-ভাঙচুর, গ্রেফতার ৭২
তারা সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন অঙ্গনের লোকদের এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার তালেবুর রহমান জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে সমাবেশকে ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দিষ্ট রাস্তায় ডাইভারশনসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ।
২৩৭ দিন আগে
গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ প্রতিবাদ হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করা হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যাপকভাবে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার বাইরের বিভাগ ও জেলাগুলোতে মানববন্ধন এবং সমাবেশ করা হয়েছে। এসব সমাবেশ থেকে ইসরাইলি পণ্য বর্জন ও ইহুদিবাদী দেশটিকে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এছাড়াও বিক্ষোভ থেকে ‘ফ্রি, ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘বয়কট ইসরাইল’, ‘ইসরাইলের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ইসরায়েল উইল বি সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘নিউইয়র্ক উইল বি সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়।
নিচে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভের চিত্র তুলে ধরা হলো:
গোপালগঞ্জ—
সারাদিন ইসরাইল ও ট্রাম্পবিরোধী স্লোগানে উত্তাল ছিল এই জেলা। গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলেরও কর্মসূচি ছিল।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন ডাক্তারদের আয়োজনে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বর্বরচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের শিক্ষার্থীরা স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন। এছাড়া বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ওলামা পরিষদের আয়োজনে গোপালগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র লঞ্চঘাট এলাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে।
খুলনা—
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বরে এই সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘ইসরাইলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের গাজায় প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ হত্যার শিকার হচ্ছেন। তাদের বর্বরতা থেকে নারী-শিশু কেউ রেহাই পাচ্ছেন না। অনবরত বোমার আঘাতের মসজিদ-মাদরাসা, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ বিশ্ব মানবতা তার দিকে কোনো নজর দিচ্ছে না।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান।
কিশোরগঞ্জ—
কিশোরগঞ্জে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন সাধারণ মানুষ। জোহরের নামাজের পর কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের শহীদী মসজিদ এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শহীদী মসজিদ চত্বরে এসে একত্রিত হয়।
পরে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। এ সময় জেলা শহরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়কের দুপাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।
এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে জেলা শহরের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
এদিকে সকালে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সামনে একই দাবিতে ‘নো ক্লাস, নো এক্সাম, নো স্কুল’ কর্মসূচি পালন করেন কিশোরগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
এই কর্মসূচিতে ইনস্টিটিউটের শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলাতেও ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজার ৫০ শতাংশ ইসরায়েলের দখলে, নিজ ভূমিতে পরবাসী ফিলিস্তিনিরা
২৪১ দিন আগে
গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজার নিরপরাধ মানুষদের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মার্চ ফর প্যালেস্টাইন কর্মসূচি পালন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাত সোয়া ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে এসে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত করা হয়।
এসময় নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী শোয়াইব হাসানের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের বুকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে ইহুদিবাদী শক্তি। তারা আমেরিকার মদত পেয়ে বার বার আইন লঙ্ঘন করে চুক্তি অমান্য করে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের উপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেইসাথে অনতিবিলম্বে এমন ন্যাক্কারজনক হামলা বন্ধে জাতিসংঘসহ বিশ্বশক্তিগুলোকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়।’
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীদের, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস; স্টপ জেনোসাইড, জাস্টিস ফর প্যালেস্টাইন; নেতানিয়াহুর দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে; নেতানিয়াহুর আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও; অবৈধ ইসরায়েলের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে; স্বৈরাচার নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তি পাক; উই ওয়ান্ট জাস্টিস, ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন; ফ্রম দ্যা রিভার টু দ্যা সী, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ এসব স্লোগান দিতে শোনা যায়।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার আহবায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিনকে একটি উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত করেছে অবৈধ ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী। তারা নির্বিচারে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের হত্যা করছে। আমরা এ-ও দেখতে পাচ্ছি, কীভাবে বিশ্ব মোড়ল যুক্তরাষ্ট্র ইহুদিবাদীদের মদত দিয়ে যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, তোমরা যদি নিরপরাধ মানুষদের উপর বর্বরোচিত হামলা বন্ধ না করো, তাহলে দুইশত কোটি মুসলমান তোমাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী আলী জাকি শাহরিয়ার বলেন, ‘ইহুদিবাদী ইসরায়েলের হাতে লাখো ফিলিস্তিনের রক্তের দাগ লেগে আছে। তাদের ইতিহাস বেইমানির ইতিহাস, তাদের ইতিহাস অবাধ্যতার ইতিহাস। তারা আল্লাহর সাথে বার বার বেইমানি, অবাধ্যতা করেছে। জাতি হিসাবে তারা অকৃতজ্ঞ, অভিশপ্ত। অথচ তারা আজ সভ্যতার নীতিকথা শোনায়। এটা অত্যন্ত লজ্জার।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মুসলমান। আমরা মরতে ভয় পাই না, আমাদের ইতিহাস সমৃদ্ধ ইতিহাস, ইহুদিবাদী অপশক্তিকে রুখে দিয়ে পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিনের মাটিতে আবারো আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা করবো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের জাবি শাখার আহবায়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘ফিলিস্তিনের নিরপরাধ জনগণ আজকে নিজ দেশে পরবাসীর মতো বসবাস করছেন। উদ্বাস্তু হয়ে বিশ্বের নানান প্রান্তে শরণার্থী শিবিরগুলোয় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তারা আজ নিজ ভূমি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য হয়েছেন জায়নবাদী অপশক্তিদের কারণে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আফসোস করে বলতে হয়, যারা সভ্যতার বুলি আওড়ায় তারা ফিলিস্তিনের বেলায় চুপ হয়ে যায়। আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই যতদিন না ফিলিস্তিনের উপর হামলা বন্ধ হবে, ততদিন প্রতিবাদ চলমান থাকবে।’
২৬০ দিন আগে
ফিলিস্তিনিদের হত্যার প্রতিবাদে সিলেটে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর শাখা। এ সময় ইসরায়েলি সকল পণ্য বর্জনের আহ্বান জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এই কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। এতে মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
মানবিবন্ধনে বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপরে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালাচ্ছে। তারা আমাদের হাজার হাজার ভাই-বোনকে অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে।
তারা বলেন, খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও পানিসহ সবদিক থেকে নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে আমাদের ভাইয়েরা। এছাড়া খাদ্যের অভাবে ফিলিস্তিনিরা হাহাকার করছে, মৃত্যুবরণ করছে। এই অবস্থায় একজন মুসলিম হিসেবে আমরা নিশ্চুপ থাকতে পারি না।
তারা আরও বলেন, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী ও তার দোসর আমেরিকা ও ভারতের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। একইসঙ্গে তাদের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। ইসরায়েলের সকল পণ্য বর্জন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ধর্ষকদের শাস্তি ও নারীদের নিরাপত্তার দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন
আমাদের প্রতিটি স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলন ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান নেতারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) সভাপতি তারেক মনোয়ার, সিলেট জেলা পূর্ব সভাপতি মারুফ আহমদ, সিলেট জেলা পশ্চিম সভাপতি মনিরুজ্জামান পিয়াস।
মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন সিলেট মহানগর সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম সাজু। এছাড়াও মানববন্ধনে সিলেট মহানগরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
২৬০ দিন আগে
পুলিশকে মারধরের প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ
মব সন্ত্রাসের প্রতিবাদ, এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিংয়ের বিচার, পুলিশকে মারধর এবং লাকী আক্তারের গ্রেফতারের দাবিতে মধ্যরাতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় জড়ো হয় একদল শিক্ষার্থী। এরপর তারা মিছিল নিয়ে ছেলেদের হলগুলোর সামনে দিয়ে ট্রান্সপোর্ট (পরিবহন চত্ত্বর) অতিক্রম করে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়। তারপর মেয়েদের হলগুলোর সামনে দিয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে ফের বটতলায় এসে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে মিছিলটি শেষ করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা দেখেছি কীভাবে শাহবাগ ফ্যাসিস্টের ভিত্তিপ্রস্তর হিসাবে কাজ করেছে। আমরা এও দেখেছি, ২০১৩ সালে কীভাবে তৎকালীন প্রজন্মের চোখে ধুলো দিয়ে এদেশের দেশপ্রেমিক নাগরিককে এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং এর মাধ্যমে খুন করেছে। আমরা তাদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই—এটা ২০১৩ নয়; এটা ২০২৫। আবার যদি কেউ কোনো শাহবাগ কায়েম করতে চায়, তাহলে তোমাদের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হবে।
মিছিল শেষে সমাবেশে ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শোয়েব হাসান বলেন, ‘আমরা শাহবাগীদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, তোরা ছাত্রলীগ নিয়ে আয়, লাকিকে নিয়ে আয়, শাহরিয়ার কবিরকে নিয়ে আয়, কিন্তু ২০১৩ সালে এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং এর মাধ্যমে দেশপ্রেমিক নাগরিকদের তোরা যেভাবে খুন করেছিস, তার হিসাব আমরা পই পই করে নেব। আমরা দেখেছি সেই সব শাহবাগীরা কোন কোন পতাকাতলে লালিত পালিত হয়েছে। আমরা কাউকেই ভুলি নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যতদিন বেঁচে আছি, আর কোনো মব, আর কোন এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং, আর কোনো শাহবাগ এই বাংলাদেশে কায়েম হতে দেব না। এই প্রজন্ম যতদিন জীবিত থাকবে, রক্তপিপাসু শাহবাগীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চলমান থাকবে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, আপনারা অনতিবিলম্বে শাহবাগী লাকি আক্তারকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন, অন্যথায় আমরা কঠর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’
গনিত বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাফায়াত মীর বলেন, ‘এই শাহবাগ ভারতীয় আধিপত্যবাদের পক্ষে, এই শাহবাগ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, এই শাহবাগ দেশপ্রেমিক নাগরিকদের হত্যায় নৃত্য করেছিল। আমরা দেখতে পাচ্ছি, ২০১৩ এর সেই পুরনো শকুন আবারো দেশকে ভারতীয় আধিপত্যবাদের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার নীলনকশা বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছে। যেকোন মূল্যে এদের মোকাবিলা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: সৌহার্দ্য সম্প্রীতির মেলবন্ধনে জাবিতে গণ-ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম এই শাহবাগীরা ২৪ এর পরে নিজেদের শুধরে নেবে। কিন্তু না, এরা আবারো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আমরা বলতে চাই, আমরা ২৪ এর সৈনিকরা এখনো বেঁচে আছি। শাহবাগীদের যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত।’
সিএসই বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আলী জাকি শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা দেখেছি কীভাবে শাহবাগ ফ্যাসিস্টের দোসর হিসাবে কাজ করেছে। আমরা এও দেখেছি কীভাবে শাহবাগ বিচারিক হত্যাকান্ডে নেতৃত্ব দিয়েছে। আমরা এও দেখেছি শাপলার গণহত্যাকে এই শাহবাগ কীভাবে বৈধতা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশপ্রেমিক নাগরিকদের হত্যায় মদত দেওয়ার পরেও এই সন্ত্রাসী লাকি প্রকাশ্য দিবালোকেও ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা দেখেছি, দেশের সকল স্তরের মানুষরা এই শাহবাগীদের বিচার চায়। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই অনতিবিলম্বে লাকি আক্তারের গ্রেফতার নিশ্চিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, নইলে ২৪ এর চেতনাকে হরণ করা হবে। আপামর ছাত্রসমাজ তা কখনই মেনে নেবে না।
২৬৭ দিন আগে
মাগুরায় শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ
মাগুরায় ৯ বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে এবং দোষীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মাগুরা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শহিদ মিনারে এসে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে বলে সমাবেশে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ধর্ষকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানান তারা।
সমাবেশে সামিয়া জাহান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, নারীদের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। ৫ আগস্টের পরে আমরা একটি ইতিবাচক পরিবর্তন চেয়েছিলাম, কিন্তু পত্রিকা খুললেই শুধু ধর্ষণের খবর সামনে আসে। আজকে মাগুরায় আমাদের বোনের ওপর অত্যাচার হয়েছে, অন্যদিন আরেকজনের ওপর হবে। আমরা দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করছি।’
আরও পড়ুন: মাগুরায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে হিটু শেখ আটক
মৌমিতা তাবাসসুম নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘দেশে আজ আইনের শাসন নেই। ধর্ষকরা কতটা নির্মম হতে পারে, তা আমরা মাগুরায় দেখেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ষকের কোনো দল নেই, তাদের কোনো ধর্ম নেই। তাদের একটাই পরিচয়—তারা অমানুষ। আমার দেশে আর কোনো বোন যেন ধর্ষণের শিকার না হয়, সেজন্য প্রশাসনকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরায় বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ৯ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। শিশুটিকে তার বোনের স্বামী ও শ্বশুর ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে শিশুটির পরিবার। শিশুটি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই নারীর স্বামী-শ্বশুরসহ মোট তিনজনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
২৭১ দিন আগে