অর্থ উপদেষ্টা
সার আমদানিতে ‘বিশেষ সুবিধা’ দেওয়ার অভিযোগ নাকচ করলেন অর্থ উপদেষ্টা
সার আমদানিতে কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ নাকচ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এ বিষয়ে দায়িত্ব মূলত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় এমন অনুমোদন দিয়েছে, এমন কথা সঠিক নয়। সার আমদানি মূলত কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও শিল্প মন্ত্রণালয় পরিচালনা করে। এটি তাদের দায়িত্ব।’
সার আমদানি নিয়ে সম্প্রতি একটা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে আপনারা কোনো ব্যবস্থা নেবেন কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টা দেখছি। চটকরে আপনে বললেন আর আমরা ব্যবস্থা নেবো বিষয়টা সে রকম না।
কোনো তদন্ত চলছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিস্তারিত জানি না। যদি নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ই তা খতিয়ে দেখবে। আমরাও বিষয়টা খতিয়ে দেখবো।
তিনি আরও বলেন, সর্বনিম্ন দরদাতাকে বেছে না নেওয়া হয়ে থাকলে তা পর্যালোচনা করা উচিত এবং এ ধরণের বিষয় অবশ্যই তদন্তযোগ্য।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর কৃষি মন্ত্রণালয় সাম্প্রতিক সময়ে সার আমদানিতে অনিয়মের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন, কল্পনাপ্রসূত, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অসত্য’ বলে বিবৃতি দেয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, সরকারি নীতির আলোকে নন-ইউরিয়া সার বেসরকারি আমদানিকারক এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তি বা সরকার-টু-সরকার (জি-টু-জি) চুক্তির মাধ্যমে আমদানি করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কেবল সর্বনিম্ন দরদাতা কোম্পানিকেই ক্রয়াদেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যা বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করেছে এবং অস্বাভাবিক মুনাফা রোধ করেছে বলে মন্ত্রণালয় দাবি করে।
বাংলাদেশের সার চাহিদা একক কোনো দেশ পূরণ করতে না পারায়, অবিচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে একাধিক দেশ থেকে আমদানি করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সিআইএফ (কস্ট অ্যান্ড ফ্রেইট) মূল্য দূরত্ব ও পরিবহন খরচের ওপর নির্ভর করে ভিন্ন হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক বুলেটিন— আরগাস এফএমবি ও ফার্টিকন ব্যবহার করে আমদানি মূল্যের যাচাই করা হয়।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম ধাপে ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৩০ হাজার টন টিএসপি, ২ লাখ ৫৫ হাজার টন ডিএপি এবং ৯০ হাজার টন এমওপি সরবরাহের চুক্তি দেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে আরও ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে একই দামে ৯০ হাজার টন টিএসপি এবং ১ লাখ ২০ হাজার টন ডিএপি সরবরাহের অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি, দেশে যখন সারের সংকট চলছে, ঠিক সে সময় এক ব্যক্তির একাধিক কোম্পানিকে সার আমদানিতে সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই অসাধু কার্যক্রমে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এ অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেছে মন্ত্রণালয়।
৭৯ দিন আগে
ঋণখেলাপীদের জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঋণখেলাপীদের প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (১৩ আগস্ট) জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের আয়োজনে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ‘ইউপেনশন’ অ্যাপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘যদি রাজনৈতিক নেতা টাকা দিয়ে মনোনয়ন বা ভোট প্রচারণা করেন, তখন অর্থ মন্ত্রণালয় কিছুই করতে পারবে না।’
তবে ফেব্রুয়ারিতে সুস্থ নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে মন্ত্রণালয় সব প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বর্তমান আইনের আওতায় ঋণখেলাপীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। ১৯৭২ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ধারা ১২ অনুযায়ী, ঋণখেলাপী কেউ সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতে অযোগ্য।
পড়ুন: হালনাগাদ ভোটার তালিকা: মোট ভোটার ১২ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৯০০
সালেহউদ্দিন বলেন, ‘যদি কেউ ঋণখেলাপী (ডিফল্টার) হয়, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তবে নির্বাচনের আগে এই ধারা প্রায়শই কার্যকর করা হয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে ঋণখেলাপীদের শনাক্ত করতে হবে।’ উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ঋণখেলাপী হলেও সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন খান আলমগীর পাঁচ বছর সংসদ সদস্য ছিলেন।
কালো অর্থ ব্যবহারের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও আমাদের কাছে কিছু আসেনি। নির্বাচন কমিশন বিষয়টি বিবেচনা করবে। কালো অর্থের দুটি দিক আছে—উৎস এবং প্রক্রিয়া। উৎসের ক্ষেত্র এখন পূর্বের তুলনায় অনেকটা বন্ধ, এবং কিছু চেক অ্যান্ড ব্যালান্স রয়েছে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর মঙ্গলবারের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘তাদের রাজনৈতিক মন্তব্য করার স্বাধীনতা রয়েছে। আমার ছাত্রজীবনে আমিও বামপন্থী রাজনীতি করেছি এবং নানা মন্তব্য করেছি—হল বন্ধ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ইত্যাদি। তবে সেগুলো কখনও বন্ধ হয়নি।’
১১৩ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনার শর্তবলি প্রকাশযোগ্য নয়: অর্থ উপদেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক শুল্ক আলোচনার শর্তাবলি জনসম্মুখে প্রকাশযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (৬ আগস্ট) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘কিছু বিষয় আছে যেগুলো প্রকাশ করা যায় না। আমি এর চেয়ে বেশি কিছু বলব না।’
তিনি বলেন, ‘এটা বহুপাক্ষিক আলোচনা নয়, এটা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) বা জাতিসংঘ নয়, যেখানে একটি প্রস্তাব গৃহীত হলে সবাই জানতে পারে।’
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ নিয়ে তিনি বলেন, ‘হারটা আরেকটু কমলে ভালো লাগত। এখনকার হার যথাযথ না হলেও সহনীয়। ৩৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নামানো হয়েছে, এটা খুব একটা খারাপ নয়। অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশের অবস্থান খারাপ বলা যাবে না।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর বলেন, দেশের নিট পোশাক (নিটওয়্যার) কারখানাগুলো দ্রুত এই শুল্ক কাঠামোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে—তবে ওভেন কারখানাগুলোর জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জ হবে। কারণ তাদের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ব্যবস্থা দুর্বল।
তিনি বলেন, ‘চুক্তিটি এখনো সই হয়নি। কোথায় আরও শুল্ক কমানো যায় তা আমরা পর্যালোচনা করব।’
অন্তর্বর্তী সরকারের আলোচিত সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার আর্থিক খাতে কিছু স্বল্পমেয়াদি সংস্কার এনেছে, তবে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের জন্য সময় লাগবে।
পড়ুন: জুলাই ঘোষণাপত্র অসম্পন্ন, গণমানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন নেই: জামায়াত
তিনি জানান, ব্যাংকিং খাতের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছেবাংলাদেশ ব্যাংক। যেটি বাস্তবায়নে সময় লাগবে। পুঁজিবাজারেও কিছু সংস্কারের চেষ্টা চলছে, কিছু অগ্রগতি আশা করা যায়।
এছাড়া এনবিআর অধ্যাদেশ সংশোধনের মাধ্যমে এনবিআরকে দুটি বিভাগে ভাগ করার পরিকল্পনার কথা জানান উপদেষ্টা—একটি রাজস্ব নীতি বিভাগ এবং অন্যটি রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
সরকার যেসব প্রকল্প নিয়েছে তা সময়োপযোগী ও দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য কিনা সে দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এই সরকার যেহেতু সীমিত সময়ের জন্য, তাই এমন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে—যা বাস্তবায়নযোগ্য।
গত এক বছরে সরকারের সাফল্য সম্পর্কে এক প্রশ্নে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, অর্থনীতি এক সময় ধ্বংসের মুখে ছিল, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
অর্থনীতিতে তখন অস্থির অবস্থা ছিল, যা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। এখন তা কিছুটা স্বস্তিকর জায়গায় এসেছে, বলেন তিনি।
মুদ্রাস্ফীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন তা তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। সম্পূর্ণ স্থিতিশীল হতে আরও সময় লাগবে। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি এখনও একটি চ্যালেঞ্জ।
১২০ দিন আগে
প্রতীকী মূল্যে কাউকে সরকারি সম্পত্তি দেওয়া হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি সম্প্রসারণের জন্য বন্ধ জালিল টেক্সটাইল মিলের ৫৪.৯৯ একর জমি নামমাত্র মূল্যে হস্তান্তরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, প্রতীকী মূল্যে আর কাউকেই জমি বরাদ্দ দেবে না সরকার। এখন থেকে জমি কিনে নিতে হবে। তবে চট্টগ্রামের জলিল মিলের জায়গাটি সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের ব্যাপারে বৈঠকে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, জলিল টেক্সটাইল মিলস সেনাবাহিনী নিতে চাচ্ছে। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি প্রতীকী মূল্যে দেব না। এখন থেকে প্রতীকী মূল্যটা অ্যাভয়েড (এড়িয়ে চলা) করব। যারাই নিতে চায় অর্থ দিয়ে নেবে। কারণ প্রতীকী মূল্যে দিলে যারা নিয়ে যায়, তারা ঠিকমতো ইউটিলাইজ করে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক কমাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: অর্থ উপদেষ্টা
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যখন জমির দাম টোকেন প্রাইসে নির্ধারিত থাকে, তখন কেউ যদি ১০ একর দরকার হয়, দাবি করে ১০০ একর জমির।’
তবে তিনি আশ্বাস দেন, ‘নিশ্চয়ই আমরা জমি দেব, আগে প্রস্তাবটা আসুক।’
চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট এলাকায় অবস্থিত এ টেক্সটাইল মিলটি বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশনের (বিটিএমসি) নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অধীনস্ত বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি জমির মূল্য বিটিএমসিকে পরিশোধ করবে বলেও জানান তিনি।
১২৮ দিন আগে
বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক কমাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: অর্থ উপদেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা বাংলাদেশি পণ্যে দেশটি শুল্কহার কমাতে পারে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
এ বিষয়ে আলোচনা করতে বাণিজ্য উপদেষ্টাসহ একটি প্রতিনিধিদল আগামী ১ আগস্টের আগেই যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন।
বুধবার (২৩ জুলাই) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘শুল্কহার কমানোর বিষয়ে আমরা আশাবাদী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি খুব কম, প্রায় সাড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পণ্য আমদানির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু জরুরি পণ্য আমদানি করব, তবে এখনই সেগুলোর নাম বলতে চাচ্ছি না।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানির সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা গম আমদানিকে ডাইভার্সিফাই (বৈচিত্র্যময়) করতে চাচ্ছি। কৃষ্ণসাগর ঘিরে সমস্যা তৈরি হওয়ায় রাশিয়া-ইউক্রেন অঞ্চল থেকে আমদানিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।’
গমের দাম সম্পর্কে মন্তব্য অস্বীকৃতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দাম কিছুটা বেশি হলেও যুক্তরাষ্ট্রের গমে প্রোটিনের মাত্রা সামান্য বেশি এবং পরিষ্কার।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশি দামে গম আমদানির বিষয়টি স্বীকার করে উপদেষ্টা বলেন, ‘এতে আমরা কিছু সুবিধা পাবো এবং আলোচনা এগিয়ে নিতে কিছু আমদানি করতেই হবে।’
পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন অধ্যাপক ড. এম জুবায়দুর
এই আমদানি বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতেও সহায়তা করবে বলে জানান তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশি পণ্যে শুল্কহার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার আগে এবিষয়ে আলোচনা করতে বাণিজ্য উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবেন এবং ইউএসটিআরের (যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি) সঙ্গে বৈঠক করবেন।
তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও আমার চ্যানেলের মাধ্যমে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছি।’
এ পর্যায়ে লবিস্ট নিয়োগ কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘লম্বা সময় নিয়ে কোনো আলোচনার ক্ষেত্রে এ ধরনের লবিস্ট নিয়োগ করা হয়। এখানে যা করতে হবে দ্রুত (কুইক) করতে হবে।’
ব্যবসায়ীদের আলোচনায় যুক্ত করার প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও এডিবিতে নেগোশিয়েট করে এসেছি। ব্যবসায়ীরা তো আলোচনা দূরে থাক, গেট পর্যন্তও ঢুকতে পারবে না, পরে বাইরে হইচই করবে। ওই হইচইয়ে কাজ হবে না।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্বীকার করে ইতোমধ্যে ইউএস চেম্বারের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন বলে জানান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের ভালো ইমেজ আছে। সম্প্রতি আমরা যুক্তরাষ্ট্রের শেভরন, এক্সিলারেট এনার্জি, মেটলাইফের কতগুলো বকেয়া পরিশোধ করে দিয়েছি। বাংলাদেশের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে ইউএস চেম্বার আমাকে চিঠি লিখেছে।
গত ৭ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো এক চিঠিতে বাংলাদেশের পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা দেন।
চিঠিতে ট্রাম্প বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী ও স্থায়ী বাণিজ্য ঘাটতির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে বাংলাদেশের একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও ন্যায্য অংশগ্রহণ চাই।’
তিন মাস আগে ঘোষিত শুল্ক হার থেকে ২ শতাংশ কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হলেও এই হার বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনামের চেয়ে অনেক বেশি।
ভিয়েতনাম সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি করেছে যার আওতায়, তারা ২০ শতাংশ শুল্কে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করতে পারবে।
১৩৪ দিন আগে
মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি বা মধ্যমেয়াদি সংস্কারে না গিয়ে সরকার দেশে কিছু মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিচ্ছে। বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন, তিনি নিজেও অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে দীর্ঘদিন থাকছি না, খুব বেশি হলে হয়তো ৭–৮ মাস। বিশেষ করে প্রধান উপদেষ্টা এবং আমি কিছু মৌলিক সংস্কার করতে খুবই সিরিয়াস। আমরা কোনো দীর্ঘমেয়াদি বা মধ্যমেয়াদি সংস্কার করব না।’
বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড অডিটিং সামিট’–এ ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক শাসনে এফআরসির ভূমিকা ও প্রভাব’ শীর্ষক বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘যতটুকু সংস্কার শুরু হয়েছে, আমরা তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। আমরা অনেক প্রতিবন্ধকতা ও বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। বহু জটিল বিষয় আছে যেগুলো বাইরে থেকে বুঝতে পারবেন না।’
এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ব্যবসায়ী ও ঋণদানকারী সংস্থাগুলোর সমর্থনের প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, ‘তারা খুব ভালো সমর্থন দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা থেকে ইতিবাচক ফলের আশা অর্থ উপদেষ্টার
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) চেয়ারম্যান ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মানসুর, ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর সোলেয়মান কুলিবালি প্রমুখ।
উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার। এ সময় স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের লিড গভর্ন্যান্স স্পেশালিস্ট সুরাইয়া জান্নাত।
বাংলাদেশ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস ইনস্টিটিউটের (আইসিএবি) সভাপতি এন কে এ মবিন এবং কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস ইনস্টিটিউটের (আইসিএমএবি) সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
১৪৯ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা থেকে ইতিবাচক ফলের আশা অর্থ উপদেষ্টার
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা থেকে ইতিবাচক ফল আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৪টি দেশের আমদানি পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘চূড়ান্ত শুল্কহার নির্ধারিত হবে ইউএসটিআরের (যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি) সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে। এ কারণেই আমাদের তাদের (ইউএসটিআর) সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। এখনও শুল্কহার চূড়ান্ত হয়নি।’
যুক্তরাষ্ট্রের সময় অনুযায়ী ৮ জুলাই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আলোচনা দুর্বল হতে পারে—এমন শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিয়েতনামের বাণিজ্য ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১২৫ বিলিয়ন ডলার, আর আমাদের মাত্র ৫ বিলিয়ন। এজন্য ভিয়েতনাম বেশি ছাড় পেয়েছে শুল্ক হারে।”
তিনি জানান, বাণিজ্য উপদেষ্টা ইতোমধ্যে ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন এবং তিন দিন আগে যাওয়ার পর থেকেই তিনি এ বিষয়ে কাজ করছেন। ৮ জুলাইয়ের বৈঠকের পর বিষয়টি বোঝা যাবে, যা বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী ৯ জুলাই ভোরে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, ফলাফল যাই হোক, সরকার তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। এ পর্যন্ত আমাদের যেসব বৈঠক হয়েছে, সবই ইতিবাচক।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মঙ্গলবার ভোরে (বাংলাদেশ সময়) তার ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক চিঠিতে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন—যা তিন মাস আগে প্রস্তাবিত ৩৭ শতাংশ থেকে ২ শতাংশ কম।
তবে এটি এখনো ভিয়েতনামের নতুন ২০ শতাংশ শুল্কহারের তুলনায় অনেক বেশি। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম তাদের দেশে আমদানি হওয়া সব মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের জন্য বরাদ্দ তহবিল ব্যবহারে সরকার প্রস্তুত: অর্থ উপদেষ্টা
ট্রাম্পের পাঠানো চিঠিগুলোতে ১৪টি দেশের নেতাদের উদ্দেশে আগামী ১ আগস্ট থেকে নতুন শুল্কহার কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।
বাংলাদেশ ছাড়াও নতুন শুল্কহার আরোপ হয়েছে—মিয়ানমার ও লাওসের জন্য ৪০ শতাংশ, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের জন্য ৩৬ শতাংশ, সার্বিয়ার জন্য ৩৫ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার জন্য ৩২ শতাংশ, এবং দক্ষিণ আফ্রিকা, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, কাজাখস্তান, মালয়েশিয়া ও তিউনিসিয়ার জন্য ২৫ শতাংশ।
চিঠিগুলোতে ট্রাম্প সতর্ক করেন, কোনো দেশ পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে তাদের আমদানি শুল্ক বাড়ালে, তার প্রশাসন আরও বেশি হারে শুল্ক আরোপ করবে।
১৫০ দিন আগে
নির্বাচনের জন্য বরাদ্দ তহবিল ব্যবহারে সরকার প্রস্তুত: অর্থ উপদেষ্টা
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আগেই যে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, সেটা ব্যবহারে সরকার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ মিশনে শান্তিরক্ষার দায়িত্ব পালন একটি নিয়মিত চ্যালেঞ্জ: সালেহউদ্দিন
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য অর্থের যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, সেখানে আমরা কোনো কার্পণ্য করব না।’
বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিএপি, ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এলএনজির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এলএনজি এলে আমরা হয় তো সারের সরবরাহ বাড়াতে পারবো। রংপুরে ৩০টি স্কুল রিনোভেট করার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
১৫৬ দিন আগে
এনবিআর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করলেন অর্থ উপদেষ্টা
চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘কমপ্লিট শার্টডাউন’ কর্মসূচি চলছে। এরমধ্যেই মধ্যেই এনবিআর সংস্কার ইউনিটি কাউন্সিলের সঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নির্ধারিত বৈঠক বাতিল হয়েছে।
উপদেষ্টা এই বৈঠকে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বলে এনবিআরের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, রবিবার (২৯ জুন) বিকাল ৪টার দিকে ইউনিটি কাউন্সিলের সভাপতি হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদারের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তবে, পথেই তাদের জানানো হয়, আন্দোলন স্থগিত না করা পর্যন্ত কোনো আলোচনা হবে না।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আন্দোলনকারীরা তাদের ‘সম্পূর্ণ কর্মবিরতি’ কর্মসূচি প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত কোনো পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন না বলে উপদেষ্টা স্পষ্ট জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: এনবিআরে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি
এর আগে এনবিআর সদর দপ্তরের সামনে আন্দোলনরত কর্মকর্তারা আজ (রবিবার) সকাল থেকেই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় এনবিআর ভবনের ভেতরে র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয় এবং ভবনে প্রবেশ সীমিত করে দেওয়া হয়।
আন্দোলনকারীরা জানান, এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ, কাঠামোগত সংস্কারসহ প্রশাসনিক অনিয়ম, কর্মকর্তা হয়রানি ও সংস্কারবিরোধী পদক্ষেপের অভিযোগ তুলে তারা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত ১২ মে সরকার এক আদেশে এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতিমালা বিভাগ এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ গঠনের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই এনবিআরের কর্মকর্তারা ক্ষোভে ফুঁসছেন।
এর ধারাবাহিকতায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আন্দোলনরত কর্মকর্তারা কর্মবিরতি, অনশন, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এতে দেশের কর, ভ্যাট ও শুল্কসহ গুরুত্বপূর্ণ রাজস্ব আদায় কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
১৫৮ দিন আগে
বাজেটে দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের
নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে। বাজেটের আকার কমলেও রাজস্ব বাড়াতে বেশ কিছু পণ্যে উৎস কর, শুল্ক, ভ্যাট ও সারচার্জ বাড়ানো হয়েছে। এতে বেশ কিছু পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় অর্থ উপদেষ্টা বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) জাতির উদ্দেশে বাজেট পেশ করেন। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাজেটের আকার কমেছে। গেল বারের চেয়ে সাত হাজার কোটি টাকা কমে এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু পণ্যের শুল্ক-কর বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া বাজেট বক্তৃতা ও বাজেট নির্দেশিকা থেকে বেশ কিছু পণ্যের কর বাড়ানোর তথ্য পাওয়া গেছে। সে অনুসারে বাজেটে নিম্নোক্ত পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
দেশে তৈরি মোবাইল ফোন, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ব্লেন্ডার, জুসার, আয়রন, রাইস কুকার, প্রেসার কুকার, গৃহস্থালি প্লাস্টিক সামগ্রী ও সমজাতীয় পণ্য, তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি), দেশে তৈরি এলপিজি সিলিন্ডার, বিদেশি চকলেট, লিপস্টিকসহ ঠোঁট, চোখ ও মুখমণ্ডলে ব্যবহৃত প্রসাধনী, ব্লেড, সিগারেট, অনলাইন কেনাকাটা, রড, সাবান-শ্যাম্পু, ফ্ল্যাট, বলপয়েন্ট কলম, হেলিকপ্টার সার্ভিস, দেশে তৈরি ওয়াশিং মেশিন, দেশে তৈরি মাইক্রো ওভেন, দেশে তৈরি ইলেকট্রিক ওভেন, দেশে তৈরি ব্লেন্ডার-জুসার-মিক্সার-গ্রাইন্ডার, দেশে তৈরি ইলেকট্রিক কেটলি-ইস্ত্রি, দেশে তৈরি রাইস কুকার-প্রেসার কুকার, দেশে তৈরি লিফট, ওটিটি কনটেন্ট, বাণিজ্যিক ভবন (কমার্শিয়াল স্পেস) ইত্যাদি।
১৮৫ দিন আগে