হাসনাত আবদুল্লাহ
সংস্কার না হলে আমাদের পরিণতিও ভিপি নূরের মতো হবে: হাসনাত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, নুরুল হক নুরের ওপর যে আক্রমণ হয়েছে, সেটি একটি ম্যাসেজ (বার্তা)। যদি আমরা এই নিয়ম পরিবর্তন করতে না পারি, তাহলে আমাদের জন্যও একই পরিণতি অপেক্ষা করছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের ছতরপুর স্কুল মাঠে শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে আয়োজিত ‘উঠানে নতুন সংবিধান’ শীর্ষক উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গণপরিষদ নির্বাচন, নতুন সংবিধান, বিচার ও সংস্কারের দাবিতে এনসিপির বিজয়নগর উপজেলা কমিটি এ উঠান বৈঠকের আয়োজন করে।
বৈঠকে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘নুরুল হক নুরের ওপর যে আক্রমণ হয়েছে, সেটি একটি ম্যাসেজ (বার্তা)। তারেক জিয়াকে আমরা দেখেছি মুচলেকা দিয়ে দেশ ছাড়তে হয়েছে। উনাকে নৃশংসভাবে মেরে মাজা (কোমর) ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। খালেদা জিয়ার যে পরিণতি হয়েছিল আমাদের জন্যও একই পরিণতি অপেক্ষা করছে, যদি আমরা এই নিয়ম পরিবর্তন করতে না পারি।’
‘নিয়ম পরিবর্তনের জন্য যেটার নাম আমরা দিয়েছি সংস্কার। এটার জন্য সবাইকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিগত ১৭ বছর বিএনপি, জামায়াতসহ যারাই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ন্যূনতম কথা বলেছে, তাদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে সেফ হাউজ নামে কারাগারে রেখেছে। এই ধরনের নির্মম কর্মকাণ্ডের পরিবর্তন দেশের মানুষ এখনো দেখে নাই। এ অবস্থায় কোন বিশ্বাস ও ভরসায় দানবীয় ব্যবস্থার কাছে সবকিছু ছেড়ে দেওয়া হবে?’
জামায়াতে ইসলামকে সবচেয়ে ভুক্তভোগী উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, ‘১৯৭১-পূর্ববর্তী সময়ের জন্য জামায়াতে ইসলামের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে যে জুলুম হয়েছে তারও জবাবদিহি করতে হবে। তাই তাদের বলতে চাই, ঐক্যবদ্ধ না হলে আবারো আগের অস্ত্র দিয়ে তাদের দমন-নিপীড়নের শিকার হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘২৪-পরবর্তী সময়ে আমরা আর কোনো সহিংসতার দিকে ফিরে যেতে চাই না। কারণ সহিংসতা হচ্ছে গণতন্ত্রের শত্রু। তাই আওয়ামী তরিকার রাজনীতি বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের এখন বলা হয় নির্বাচনবিরোধী। বিএনপি নির্বাচনের জন্য কথা বলছে। আমরা নির্বাচনসহ আরও দুটি বিষয়ের জন্য কথা বলছি। আমরা বলছি, আমাদের নির্বাচনও লাগবে, আবার বিচার ও সংস্কারও লাগবে।’
প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘এই যে পুলিশ আমাদের বিনা বিচারে, বিনা মামলায় ঘর থেকে তুলে নিয়ে যাবে না— এটার ফয়সালা কি হয়েছে? নেওয়ার পরে যে আমাদের পরিবারকে অবগত করবে— এটার ফয়সালা কি হয়েছে? হয়নি তো!’
‘আমরা দেখি একজন মাইক দিয়ে বলে, যদি ধানের শীষ না থাকে প্রয়োজনে আমরা নিজেরাই ব্যালট পেপার ছাপাব। আমি বলছি না যে এটা একটা রাজনৈতিক দলের অবস্থান। আমি বলছি অনেক রাজনৈতিক দলের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টা হচ্ছে এমন। এটা সবাই যে ধারণ করে, তা আমরা বিশ্বাস করতে চাই না।’
এ ছাড়া এনসিপি যেন সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হয়ে সরকার গঠন করতে পারে, সেজন্য সকলের কাছে দোয়া চান তিনি।
উঠান বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব এস এম সাইফ মোস্তাফিজ ও ডা. মাহমুদা মিতা, দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ এবং বিজয়নগর উপজেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী আমিনুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
৯৬ দিন আগে
হাসনাত, সারজিস, জারাসহ এনসিপির পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারাসহ দলটির শীর্ষ পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত পৃথক পাঁচটি বিজ্ঞপ্তিতে এই নোটিশ দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট ‘জুলাই অভ্যুত্থান দিবস’ রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হওয়ার দিনে উপস্থিত না থেকে ওই পাঁচ নেতা ব্যক্তিগত সফরে কক্সবাজারে যান। তবে এই সফরের বিষয়ে তারা দলের রাজনৈতিক পর্ষদকে কোনো তথ্য কিংবা ব্যাখ্যা দেননি।
আরও পড়ুন: এনসিপির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে: নুর
এ কারণে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা এবং যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে উপস্থিত না থেকে কক্সবাজার সফরের সিদ্ধান্তের কারণ ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সামনে সশরীরে হাজির হয়ে এ ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
১২১ দিন আগে
আমরা আ.লীগের চ্যাপ্টার ক্লোজ করে দিয়েছি: হাসনাত আবদুল্লাহ
যশোরের বাঘারপাড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাত ৮টার দিকে এনসিপি নেতারা বাঘারপাড়া উপজেলা সদরে পৌঁছান। উপজেলার চৌরাস্তা মোড়ে এ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
গাড়ি বহরে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত থাকলেও মঞ্চে তাদের পক্ষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাসনাত আবদুল্লাহ।
আরও পড়ুন: হাসিনা অধ্যায় শেষ, আ. লীগ কখনো ফিরবে না: হাসনাত আব্দুল্লাহ
শুক্রবার যশোরের সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ক্লোজ করে দিয়েছি। আওয়ামী লীগ যশোরসহ সারা দেশে নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছে।’
উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌরাস্তা মোড়ে এ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পাঁচ মিনিট অবস্থান শেষে গাড়ি বহরসহ যশোর শহরের উদ্দেশে রওনা দেন এনসিপি নেতারা।
আজ (শুক্রবার) দুপুরে যশোর শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহের পাশে এনসিপির উদ্যোগে পথসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
১৪৭ দিন আগে
হাসনাতের পোস্ট ‘যাচাইবিহীন ও মানহানিকর’ দাবি দুদকের
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রধান সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি ফেসবুক পোস্টকে ‘যাচাইবিহীন ও মানহানিকর’ বলে অভিহিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে দুদকের জনসংযোগ শাখার উপপরিচালক মো. আখতারুল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুদকের নজরে আসা পোস্টটিতে কমিশনের মহাপরিচালকসহ অন্যান্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যাচাইবিহীন ও মানহানিকর বক্তব্য রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দুদক কর্মকর্তার পরিচয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন, এমন কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দায় চাপিয়ে দিচ্ছেন কমিশনের ওপর যা সংস্থার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে বলে দাবি করা হয়।
একটি প্রতারক চক্র দুদক চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক কিংবা অন্য কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে মানুষকে প্রতারণা করছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করে দুদক।
দুদক জানায়, দুর্নীতির মামলায় ‘ক্লিয়ারেন্স’ করিয়ে দিতে পারে বলে দাবি করেছে প্রতারকরা। তবে দুদকের এসব প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।
ইতোমধ্যে এই চক্রের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
এর আগে, এনসিপির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে দুদকের চা খাওয়ার বিল ১ লাখ টাকা। আপনার নামে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ না থাকলেও সেটার ক্লিয়ারেন্স নিতে আপনাকে ১ লাখ টাকা দিতে হবে। সম্প্রতি মাহমুদা মিতুর কাছে থেকে এই টাকা চাওয়া হয়েছে দুদকের ডিজি আকতার আর তার ডিডি পরিচয়ে। মাহমুদা মিতুকে বলা হয়, আপনি একজন ডাক্তার, আপনার তো টাকাপয়সার অভাব থাকার কথা না। আপনি এক লাখ টাকা দিয়ে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে যান।’
আরও পড়ুন: দুদক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া যায় না: চেয়ারম্যান
হাসনাত পোস্টে আরও লেখেন, ‘দুদকের সর্বনিম্ন রেট নাকি ১ লাখ টাকা। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আকতার আবার ফোন দিয়ে জানতে চান, টাকা দেবে কি না? টাকা না দিলে নাকি খবর করে ছেড়ে দেওয়া হবে। রেড ক্রিসেন্টে মাহমুদা মিতু যোগ দিয়েছেন ৫ আগস্টের পর। দুদক এখন তদন্ত করছে আওয়ামী লীগের সময়ের দুর্নীতি নিয়ে। অথচ হাস্যকরভাবে আওয়ামী আমলের কর্মকর্তাদের নাম না দিয়ে তখনকার দায় চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এখনকার লোকজনের ওপর। এখানে বড় অংকের টাকার লেনদেনের সমূহ সম্ভাবনা আছে। কিছু না করা মানুষের কাছ থেকেই যদি ১ লাখ করে নেয়, আওয়ামী লীগ আমলের কর্মকর্তাদের থেকে তাহলে কত করে নিয়েছে?’
এনসিপি নেতা পোস্টে লিখেছেন, ‘দুদকের এসব কাজ-কারবার এই প্রথম না। হাসিনার আমলে খালেদা জিয়াসহ বিরোধী দলের বহু নেতাকে এরা হয়রানি করেছে। অথচ আওয়ামী লীগের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি নিয়ে এরা কিছুই বলেনি। আমরা আশা করেছিলাম, ৫ আগস্টের পর এদের মধ্যে পরিবর্তন আসবে, কিন্তু আসেনি বরং এরা এখন চা খাওয়ার জন্য ১ লাখ করে টাকা চাওয়া শুরু করেছে। মাহমুদা মিতু সাহস করে ভিডিও করে রেখেছেন, অন্যায় ঘুষ দেন নাই। কিন্তু কত সাধারণ মানুষ এদের এই চায়ের বিল দিতে বাধ্য হয়েছে জানা নেই।’
হাসনাত আবদুল্লাহ পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। মাহমুদা মিতু কেন, যদি আমার নামেও এক পয়সা দুর্নীতির অভিযোগ আসে, সেটা মানুষের সামনে প্রকাশ করে দিন। কাউকে ফোন করারও দরকার নেই। দুর্নীতি পেলেই সেগুলো প্রকাশ করে মামলা করে দেন। আইনের হাতে তুলে দিন। তা না করে নিরীহ লোকজনের ওপরে এই চাঁদাবাজি কেন করছেন? কেন চা খাওয়ার বিল চান, কেন টাকা না দিলে হুমকি দেন?’
হাসনাত লেখেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতনের পর আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ চাই। হাসিনার করে যাওয়া দুর্নীতির পথে যেন আর কেউ না যেতে পারে, সেজন্য দুদককেও আমরা নতুন রূপে দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু নতুন বাংলাদেশেও দুদক সেই পুরনো পথেই হাঁটা শুরু করেছে। আমলাতন্ত্র আবারও বিষদাঁত নিয়ে কামড় বসাতে হাজির হয়েছে। এই বিষদাঁত ভাঙতে না পারলে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন হেরে যাবে। আমরাও হেরে যাবো। আমরা দুদকের এই দুর্নীতির বিচার চাই। আমলাদেরকে এক লাখ টাকার চা খাওয়ানোর জন্যই কি জুলাইতে বাংলাদেশের মানুষ জীবন দিয়েছিল?’
এই পোস্টের পর সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে বিতর্ক শুর হয়। কেউ কেউ পোস্টের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, আবার কেউ দুদকের জবাব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
ইউএনবি স্বাধীনভাবে হাসনাতের পোস্ট করা অডিও ক্লিপগুলোর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: দুদক চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাৎ সারজিস-হাসনাতের, ‘অতি গোপনীয়’ অভিযোগ
এদিকে, দুদকের বিজ্ঞপ্তির পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ডা. মিতু লেখেন, ‘হাস্যকর এবং ইমম্যাচিউর প্রেস রিলিজ দিছে দুদক। আমাকেও বলছিলো টাকা দিলে ভ্যারিফাইড পেইজ থেকে প্রেস রিলিজ দিয়ে জানাবে যে আমি দুর্নীতি করি নাই।’
তিনি দাবি করেন, মান বাঁচাতে এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে দুদক। তা নাহলে এক ঘন্টার মধ্যে সব কর্মকর্তার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয় যে, তারা এতে জড়িত নন।
তিনি বলেন, ‘আমি ১০০% শিওর এসব ফোন কলের চাঁদাবাজির সঙ্গে দুদক কর্মকর্তাসহ একটা বড় টিম জড়িত। তারা জড়িত না থাকলে কোনোভাবেই আমার তথ্য তাদের পাওয়ার কথা না। এবং দুদকের পেইজ কন্ট্রোল কে করে দেখা উচিত। আমাকে বার বার বলছে টাকা দিলে পেইজ থেকে প্রেস রিলিজ দিবে।’
১৬৩ দিন আগে
জুলাই সনদ ঘোষণাপত্র ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে: হাসনাত আবদুল্লাহ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণা করা নির্বাচনের সময় নির্ধারনকে 'ইতিবাচক' বলছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ ঘোষণা এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার(৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নিজ এলাকা কুমিল্লার দেবিদ্বারে জুলাই শহীদদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এর আগের দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন অনুষ্ঠিত হবে।
এর প্রতিক্রিয়ায় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এপ্রিলে যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন, তা ইতিবাচক। তবে, তার আগে জুলাই সনদ এবং ঘোষণাপত্র অবশ্যই দিতে হবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: সংস্কারে সচিবালয় থেকে বাধা এলে প্রতিহত করা হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
জুলাই শহীদ পরিবারের জন্য তিনটি গরু কোরবানি করেন এনপিপির নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ। পরে বৃষ্টির মধ্যে শহীদ রুবেল ও সাব্বিরের পরিবারের জন্য কোরবানির মাংস নিয়ে যান তিনি। এ সময় তিনি শহীদ পরিবারের খোঁজ খবর নেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, জুলাই আন্দোলনের শহীদরা দেশ গড়ার জন্য জীবন দিয়েছেন। তাই দেশ গড়ার দায়িত্ব আমাদের আছে। দেশ গড়ার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। শহীদেরা দেশের স্বার্থে জীবন দিয়েছেন, তাই আমাদেরও দল-মতের ঊর্ধ্বে গিয়ে দেশের স্বার্থেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
১৮০ দিন আগে
আওয়ামী লীগের খুনিদের বিচারই হচ্ছে প্রধান ও প্রথম সংস্কার: হাসনাত আবদুল্লাহ
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগের খুনিদের বিচার করাই হচ্ছে এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান ও প্রথম সংস্কার। আমরা এই সংস্কারটা প্রথমে দেখতে চাই।
শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত ছাত্র জনতার গণআন্দোলনে ‘কুমিল্লায় আহত-শহীদ ও বীর সন্তানদের সম্মানে জুলাই সমাবেশ সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টাদের উদ্দেশে হাসনাত বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিচার ও খুনিদের বিচার ছাড়া উপদেষ্টারা যদি মনে করেন, অন্য কোনো বড় সংস্কার তাদের রয়েছে—তাহলে আপনারা ভুলের মধ্যে রয়েছেন।’
আরও পড়ুন: আগামী ডিসেম্বর-জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: প্রেস সচিব
সমাবেশে বক্তব্য দেন ফেস দ্যা পিপলের সম্পাদক সাইফুর রহমান সাগর, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, যুগ্ম সদস্য সচিব রিফাত রশিদ, যুগ্ম সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম, আবু বাকের মজুমদার প্রমুখ।
২০২ দিন আগে
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বাদ জুমা বড় জমায়েতের ডাক
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আজ বাদ জুমা বড় জমায়েতের ডাক দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার পূর্ব পাশে ফোয়ারার সামনে এই জমায়েত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (৯ মে) এই জমায়েতে সর্বস্তরের জনগণকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হাসনাত।
তিনি বলেন, ‘সার্ক ফোয়ারার সামনে মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে বাদ জুমা জনসমুদ্র হবে। আজ তারা বুঝতে পারবেন কারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায়।’
‘ব্যান ব্যান আওয়ামী লীগ’, ‘সারা বাংলায় খবর দে’, ‘২৪ এর বাংলায়, ‘আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ ইত্যাদি স্লোগানে আজ সকাল থেকেই উত্তাল রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন তথা যমুনা প্রাঙ্গণ।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত ১০টার পর থেকে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
রাত ১০টায় যমুনার সামনে উপস্থিত হন হাসনাত। এরপর থেকেই গণহত্যাকারী হিসেবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা।
২১০ দিন আগে
ডামি, মিডনাইট ইলেকশনের সময় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন কোথায় ছিল, প্রশ্ন হাসনাতের
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘যে বাংলাদেশে দুই হাজার শহিদের রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি। সেই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো আপোস হবে না। যে বাংলাদেশে পিলখানা হত্যার বিচার হয় নাই, ভারতবিরোধী আগ্রাসন-হত্যাকাণ্ডের বিচার হয় নাই, সেই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো ইনক্লুসিভ ইলেকশন (অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন) দেওয়া হবে না।’
শনিবার (২২ মার্চ) আওয়ামী লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে শাহবাগে ঢাকা মহানগর এনসিপির বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত বলেন, ‘যে বাংলাদেশে আবরার হত্যার বিচার এখনও হয় নাই, জুলাই গণহত্যার বিচার হয় নাই, গুম, খুন, হত্যার বিচার হয় নাই, সে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো নির্বাচন হবে না।’
‘বিএনপিকে ক্ষমতা কাঠামোর বাইরে রেখে, গণতন্ত্র কাঠামোর বাইরে রেখে ২০১৪ সালে যখন ডামি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো, তখন আপনাদের ইনক্লুসিভ ইলেকশন কোথায় ছিল? ২০১৮ সালে যখন মিডনাইট (মধ্যরাতে) ইলেকশন হলো, তখন আপনাদের ইনক্লুসিভ ইলেকশন কোথায় ছিল?’
আরও পড়ুন: আ.লীগকে রাজনীতিতে ফেরানোর যেকোনো প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে এনসিপির অঙ্গীকার
সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আপনাদের যাদের কাজ ক্যান্টনমেন্টে, আপনারা ক্যান্টনমেন্টেই থাকুন। আমরা আপনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, সম্মান জানাই। দেশের সার্বোভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে আপনাদের যে অবদান রয়েছে, সেটা আমরা অস্বীকার করি নাই।’
‘কিন্তু যত অন্যায় হয়েছে, গুম-খুন হয়েছে, আমরা আপনাদের কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে দেখি নাই; কাউকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে দেখি নাই। আমরা আপনাদের আহবান জানাব—আপনারা দূরে আছেন, দূরেই থাকুন।’
এই এনসিপি নেতা আরও বলেন, ‘আমরা ২০২৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। আপনারা যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করেছেন, আমরা সংস্কারের মধ্যে দিয়ে সেই গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে নিতে চাই। আমরা বলতে চাই, এই বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদ আর কখনও ঢুকতে দেওয়া যাবে না।’
এর আগে, হাসনাত আবদুল্লাহ ২২ মার্চ নিজের ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সমাবেশের ডাক দেন।
২৫৭ দিন আগে
স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে প্রশাসনের স্বচ্ছতা যাচাইয়ের দাবি হাসনাত আবদুল্লাহর
স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে প্রশাসনের স্বচ্ছতা যাচাইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির(এনসিপি) মুখ্য সংগঠক(দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, বিগত তিনটি নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারে নাই। ভোট দিয়েছে প্রশাসন, নির্বাচন পরিচালনা করেছে প্রশাসন। একটি স্বচ্ছ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার দক্ষতা এই আওয়ামী প্রশাসনের নেই।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, এই প্রশাসনের সংস্কার না করা পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিতে আমরা আশ্বস্ত হচ্ছি না। অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে, ৫টি বা ৬টি ধাপে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে প্রশাসনের স্বচ্ছতা যাচাইয়ে একটা পরীক্ষা হয়ে যাক।
বুধবার(১৯ মার্চ) কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছায় জাতীয় নাগরিক পার্টি আয়োজিত গণইফতারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব রিফাত রশীদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পেছাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এনসিপি: ফারুক
হাসনাত আরও বলেন, চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি মাঠ দখল পুকুর দখল শুরু হয়ে গেছে। যারা দখলবাজ চাঁদাবাজ তাদের হাত গুড়িয়ে দিয়ে পুলিশে দিন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে ফায়দা নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য চেষ্টা করছে। এক খাপে দুই তলোয়ার যেমন থাকতে পারে না ঠিক একইভাবে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে এনসিপির সঙ্গে আওয়ামী লীগ থাকতে পারে না।
২৬০ দিন আগে
গণভবনে কে বসবেন, সেই সিদ্ধান্ত দিল্লি থেকে আসবে না: হাসনাত
ভারতের দাদাগিরি বাংলাদেশে আর চলবে না বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘গণভবনে কে বসবেন, সেই সিদ্ধান্ত আর দিল্লি থেকে আসবে না। বাংলাদেশ প্রশ্নে আমরা আপসহীন।’
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর দিকে চাষাড়া শহীদ মিনারে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের দাবিতে পথসভা ও গণসংযোগে তিনি এ কথা বলেন।
‘ফ্যাসিবাদের পক্ষে যেসব মিডিয়া কথা বলবে, সেসব মিডিয়ার বিপক্ষে অবস্থান অব্যাহত থাকবে। আওয়ামী লীগ প্রশ্নে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি আসবে সেটা হচ্ছে, তাদের আগে বিচার হতে হবে,’ বলেন এই ছাত্রনেতা।
এ সময়ে ফ্যাসিবাদের পক্ষে লিখলে কলম ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হাসনাত। তিনি বলেন, ‘যেসব টকশোজীবী ও বুদ্ধিজীবী এখন আওয়ামী লীগের মানবাধিকারের জন্য সরব হয়েছেন, আপনারাই এতদিন ফ্যাসিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন। এছাড়া ফ্যাসিবাদের পক্ষে যেসব মিডিয়া, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী কথা বলবে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেব।’
আরও পড়ুন: ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দিতে হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার বলছি—আপনারা যদি তরুণ প্রজন্মের কথা বুঝতে ব্যর্থ হন, তাহলে আওয়ামী লীগের যে পরিণতি হয়েছে, পরবর্তী সময়ে যারাই নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আসবে তাদের পরিণতিও একই হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই আহ্বায়ক বলেন, ‘আজকে তরুণ প্রজন্মকে রাস্তায় নেমে আসতে হয়েছে। আমাদের রক্ত দিতে হয়েছে। ভয়কে জয় করতে হয়েছে। কারণ, আমাদের দুর্বৃত্তায়ন ও প্রতিহিংসার রাজনীতির সংস্কৃতি আশাহত করেছে। আমরা জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র করতে পারিনি।’
‘আপনারা যদি কোনো কারণে মনে করেন প্রোক্লেমেশন দিতে ও জন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে আপনাদের রাষ্ট্রীয় কোনো বাধা রয়েছে সেটি আপনারা জনগণের সামনে প্রকাশ করুন। আমরা যেভাবে আগস্ট মাসে রাস্তায় নেমেছেন একইভাবে আবার রাস্তায় নেমে আসবেন। এই প্রোক্লেমেশন দিতে আপনাদের বাধা কোথায়? কারা বাধা দিচ্ছে সেগুলো আপনারা জনগণের সামনে প্রকাশ করুন। যদি আপনারা ব্যর্থ হন তাহলে উপদেষ্টার কাতার থেকে জনগণের কাতারে নেমে আসুন। আমরা একসঙ্গে মিলে যেভাবে হাসিনার পতন ঘটিয়েছি, প্রয়োজন হলে সেভাবে আবার আমাদের প্রোক্লেমেশন আদায় করে নেব।’
আরও পড়ুন: শিক্ষকদের সর্বোচ্চ মর্যাদায় ভূষিত করতে হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জোনায়েদ, মুখপাত্র আরেফীন মুহাম্মাদ হিজবুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য শওকত আলী, তামিম আহমেদ প্রমুখ।
৩২৪ দিন আগে