ক্রিকেট
শুরুর ভাঙনরোধ করে দিন শেষ করল বাংলাদেশ
খেলা হয়েছে মাত্র দুদিনের, এর মধ্যেই হারের শঙ্কায় পড়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও একই ধারা অব্যাহত থাকার ইঙ্গিত পাচ্ছিল টাইগার সমর্থকরা, তবে শুরুর ব্যাটিং ব্যর্থতা সামলে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ।
মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার ১০১ রানে পিছিয়ে থেকে তিন উইকেট হারিয়ে ১০১ রান সংগ্রহ করে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় ওভারেই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হককে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান কাগিসো রাবাদা। ফলে মাত্র ৪ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এসে আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে বড় জুটি গড়ার ইঙ্গিত দিয়েও দলীয় ৫৯ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৩ রান করে ফিরে যান।
তারপর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জুটি গড়ে আর উইকেট পড়তে না দিয়ে ১০১ রান তুলে দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। দিন শেষে মুশফিকের (৩১*) সঙ্গে ৪২ রানের জুটি গড়ার পথে ৩৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন জয়।
আরও পড়ন: ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ১০৬ রানে অলআউট বাংলাদেশ
আগের দিন আলোকস্বল্পতায় ৬ ওভার কম খেলায় এদিন ১৫ মিনিট আগে শুরু হয় খেলা। তবে দিন শেষে আবারও আলোকস্বল্পতার কারণে বাকি থাকে ১৬.৫ ওভার।
এর আগে, চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১০৬ রানে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ার পর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার কাইল ভেরেইনের অনবদ্য ১১৪ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে প্রথম ইনিংসে ২০২ রানের লিড পায় প্রোটিয়ারা।
১৭ ঘণ্টা আগে
ঢাকা টেস্ট: ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ১০৬ রানে অলআউট বাংলাদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
সফল পার্টনারশিপ গড়তে না পারায় হোঁচট খেয়েছেন স্বাগতিক ব্যাটাররা।
সফরকারীদের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন উইয়ান মুল্ডার, কাগিসো রাবাদ ও কেশব মহারাজ। এই ম্যাচে তিন উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক পূর্ণ করেন রাবাদা।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ৬০। তাদের দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর প্রয়োজন ছিল, কিন্তু তারা তা করতে ব্যর্থ হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা টেস্ট: প্রথম দিনে লাঞ্চের আগেই ৬ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের শীর্ষ ছয় ব্যাটসম্যানের চারজনই দুই অঙ্কের রান তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন।
সর্বোচ্চ ৯৭ বলে ৩০ রান করেন মাহমুদুল হাসান জয়। তাইজুল ইসলাম করেন ১৬ রান।
প্রথম দিন চা বিরতির এক ঘণ্টারও বেশি সময় আগে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ১৪ ম্যাচ খেলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কোনো টেস্ট জিততে পারেনি তারা।
১ দিন আগে
ঢাকা টেস্ট: প্রথম দিনে লাঞ্চের আগেই ৬ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ
সোমবার ঢাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে দিনের প্রথমার্ধে ছয় উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
লাঞ্চের আগে মাহমুদুল হাসান জয় ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন এবং বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেটে ৬০।
মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্তসহ তিনটি উইকেট নেন ডানহাতি পেসার উইয়ান মুল্ডার।
এই ম্যাচে শক্ত ভিত গড়তে ব্যর্থ হন সাদমান ইসলাম। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে উইয়ান মুল্ডারের বলে আউট হন তিনি।
আরও পড়ুন: মিরপুরে সাকিব-ভক্তদের সঙ্গে বিরোধীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
মমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেটও নেন ডানহাতি পেসার। তারা সবাই ম্যাচের প্রথম আধ ঘণ্টার মধ্যেই পড়ে যান।
মাত্র ২১ রানে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলকে গাইড করা ও ইনিংস গড়ার দায়িত্ব ছিল মুশফিকুর রহিমের। কিন্তু কাগিসো রাবাদার চমৎকার এক বলে ১১ রান করে আউট হন তিনি।
এরপর লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজও ছাপ রাখতে পারেননি। কেশব মহারাজের বলে আউট হন মেহেদি।
ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টে যে একাদশ মাঠে নেমেছিলম সেখানে তিনটি পরিবর্তন করেছে। সাকিব আল হাসান, জাকির হাসান ও খালেদ আহমেদের পরিবর্তে মাহমুদুল হাসান জয়, জাকের আলী অনিক ও নাঈম হাসানকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নজর সিমন্সের
১ দিন আগে
মিরপুরে সাকিব-ভক্তদের সঙ্গে বিরোধীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সাকিবের অবস্থানের কারণে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা ও ক্ষোভের কারণে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে দেশে আসতে পারেননি সাকিব আল হাসান। তবে এরপর থেকেই বিক্ষোভে মূখর হয়েছে সাকিব-ভক্তরা।
বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট ম্যাচের ঠিক একদিন আগে রবিবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম এলাকায় সাকিব আল হাসানের ফেরার পক্ষে সমর্থকর ও সাকিব-বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
এদিন সাকিবকে দেশে ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামানো এবং বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের পদত্যাগ নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন ‘সাকিবিয়ান’রা। কিন্তু সাকিব-বিরোধী একদল যুবক সেখানে গিয়ে তাদের বাধা দিলে দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এরপর সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
আরও পড়ুন: সাকিবের প্রতি মানুষের ক্ষোভ অযৌক্তিক নয়: আসিফ নজরুল
উল্লেখ্য, ভারত সফর চলাকালে সংবাদ সম্মেলন করে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা জানিয়ে দেন সাকিব। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, সরকার পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে দেশে ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে চান তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে জরিমানার মুখেও পড়তে হয়েছে এই অলরাউন্ডারকে। ফলে তার দেশে ফেরা নিয়ে জটিলতা ছিলই।
এরপর গত রবিবার সাকিবকে দেশে ফেরাতে সবরকম নিরাপত্তা দেওয়ার কথা জানান ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া। এমনকি বুধবার মিরপুর টেস্টের জন্য তাকে নিয়েই স্কোয়াড ঘোষণা করে বিসিবি।
আরও পড়ুন: দ. আফ্রিকা টেস্টে সাকিবের পরিবর্তে খেলবেন হাসান মুরাদ
কিন্তু পরের দিনই ঘটনা বিপরীত দিকে মোড় নেয়। ১৭ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারের অবসান করতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশের পথে ছিলেন সাকিব। মাঝে দুবাইয়ে তার যাত্রাবিরতির সময় বদলে যায় দৃশ্যপট।
সেখান থেকে সাকিব নিজেই জানান, আপাতত দেশে ফেরা হচ্ছে না তার। নিরাপত্তার কথা ভেবেই সংশ্লিষ্টরা তাকে এমন পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
ফলে নিজ ভূমি থেকে টেস্টে বিদায় নেওয়া আর হয়ে উঠল না দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটারের। ভারতের বিপক্ষে কানপুরে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিই ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট হয়ে থাকল সাকিবের।
২ দিন আগে
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নজর সিমন্সের
মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট শুরু হতে বাকি আর দুদিন। কিন্তু এমন সময়েও মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরের বিষয়ে নিয়েই আলোচনায় মাতোয়ারা দেশের ক্রিকেট পাড়া। এমন কঠিন সময়ে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নিয়েছেন ক্যারিবীয় কোচ ফিল সিমন্স। তবে এই কঠিন সময়ের মধ্যেও খেলোয়াড়দের মনোযোগ মাঠে ফিরিয়ে বড় লক্ষ্যে পৌঁছানোর কথা জানিয়েছেন তিনি।
দুই দিন অনুশীলনের পর শনিবার গণমাধ্যমের সামনে হাজির হন কোচ সিমন্স। এসেই তার কণ্ঠে ঝরল বড় কিছুর আশা। দলকে আসন্ন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তুলতে চান তিনি।
‘ভালো ব্যাপার হচ্ছে আমাদের সামনে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু টেস্ট ম্যাচ রয়েছে। আমরা যদি পরের কয়েকটি টেস্ট জিতি, তাহলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের লড়াইয়ে চলে আসতে পারি। ক্রিকেটই আমার কাছে সবার আগে এবং সোমবারের জন্য (প্রথম টেস্টের প্রথম দিন) স্কোয়াডকে প্রস্তুত করার দিকেই (এখন) মনোযোগ দিচ্ছি।’
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্যাপক পরিবর্তন আসায় নানা অনিশ্চয়তায় অবশেষে দেশে ফেরা হচ্ছে না সাকিব আল হাসানের। এ নিয়েই গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তাল দেশের ক্রীড়াঙ্গন।
আরও পড়ুন: সাকিবের প্রতি মানুষের ক্ষোভ অযৌক্তিক নয়: আসিফ নজরুল
এরই মাঝে হাথুরুসিংহেকে সরিয়ে সিমোন্সকে নিয়োগ দেওয়ার পর বুধবার সকালে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সঙ্গে একই ফ্লাইটে ঢাকায় পা রাখেন তিনি। এসেই ছুটে যান মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। প্রাথমিক পরিচয়পর্ব সেরে বৃহস্পতিবার থেকে কাজে যোগ দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই সাবেক ক্রিকেটার।
দুই দিন দলকে অনুশীলন করিয়ে এরইমধ্যে স্কোয়াডের শক্তি ও সম্ভাবনার বিষয়ে জেনেছেন তিনি।
এ বিষয়ে সিমন্স বলেন, ‘গত দুই দিন দুর্দান্ত ছিল। ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করছে। ক্রিকেটকে ঘিরে যত সংশয় ছিল, সেগুলো দূরে রাখার চেষ্টা করছি; চেষ্টা করছি মনোযোগ ধরে রেখে সোমবারের জন্য প্রস্তুত হতে।’
তবে সাকিবকে নিয়ে বাইরে যে আলোচনা চলছে, তার প্রভাব একেবারেই অস্বীকার করছেন না ৬১ বছর বয়সী এই কোচ।
‘বাইরে যে আলোচনা হচ্ছে সেটিও একটি ব্যাপার। তবে আগামী কয়েকদিন আমাদের কাজের বড় একটি অংশ হচ্ছে, সব মনোযোগ ক্রিকেটে যেন থাকে- তা নিশ্চিত করা। আমরা কেবল সেসব নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, যা আমাদের হাতে আছে। সোমবারের জন্য কীভাবে প্রস্তুত হব, আমরা তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি এবং এভাবেই দলের মনোযোগ ঠিক রাখার চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: বরখাস্ত হচ্ছেন হাথুরুসিংহে, আসছেন ফিল সিমন্স
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের স্বপ্ন অনেকের কাছে একটু বাড়াবাড়ি মনে হতে পারে। তবে কাগজে-কলমে এখনও তা অসম্ভব নয়।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচে তিন জয়ে ৩৪.৩৮ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সাত নম্বরে বাংলাদেশ। ফাইনাল খেলতে হলে থাকতে হবে সেরা দুইয়ে।
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও দুটি টেস্ট খেলবে টাইগাররা। এই চার ম্যাচের সবকটিতে দারুণ ফল আনতে পারলে, অন্য দলগুলোর সঙ্গে সমীকরণ মিলিয়ে ফাইনালের জন্য লড়াই করতে পারে বাংলাদেশ।
৩ দিন আগে
সাকিবের প্রতি মানুষের ক্ষোভ অযৌক্তিক নয়: আসিফ নজরুল
জনগণের প্রতিবাদ ও ক্ষোভের মুখে দেশে ফিরে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলা হচ্ছে না সাকিব আল হাসানের। তবে বৈষম্যবিরাধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে তার অবস্থানের কারণে এ বিষয়টি অযৌক্তিক বলে মনে করেন না অন্তর্বতী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ক্রীড়াজগতের একের পর এক তারকা তাতে সমর্থন দিলেও সে সময় চুপ ছিলেন সাকিব আল হাসান। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে দেশজুড়ে গণহত্যা চললেও সরকারের পক্ষেই অবস্থান ছিল সাকিবের। এর ফলে তার প্রতি ভক্তদের মধ্যে ক্ষোভ জন্মায়। যার প্রভাবেই দেশে ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলে বিদায় নেওয়া হচ্ছে না এই অলরাউন্ডারের।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কথা বলেন ড. আসিফ নজরুল। দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে সাকিব আল হাসানের দেশে ফেরা নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়।
সে সময় তিনি বলেন, ‘সাকিব আমাকে কয়েকবার ফোন দিয়েছিল। আমি বলেছি, উপদেষ্টা আসিফের সঙ্গে কথা বলতে যেহেতু এটি আমার বিষয় নয়।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘সাকিবের মতো ক্রিকেটার বাংলাদেশের ইতিহাসে আর আসেনি। সাকিব বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি হতে পারত। কিন্তু যখন আন্দোলন চলছে, মানুষ মরছে, ঘরে ঘরে কান্না, ক্ষোভ-কষ্ট- সাকিব তখন পোস্ট দিল যে সে কোথাও আনন্দ করছে। এটা কি সম্ভব একজন মানুষের পক্ষে?’
তবে তার জুয়া ও নানা উশৃঙ্খল আচরণের জন্য শেখ হাসিনার সরকার দায়ী বলে মনে করেন ড. নজরুল।
‘(শেখ হাসিনা সরকারের আমলে) এমন একটি রাষ্ট্রযন্ত্র তৈরি করা হয়েছে, যেখানে শেখ হাসিনার প্রতি অনুগত থাকলে আপনি যা ইচ্ছা করতে পারেন; আপনার শাস্তি হবে না। এটা অনেক মানুষকে বিভ্রান্ত করে, তাকেও করেছে।’
আরও পড়ুন: দ. আফ্রিকা টেস্টে সাকিবের পরিবর্তে খেলবেন হাসান মুরাদ
সাকিবের প্রতি বর্তমানে দেশের মানুষের যে প্রতিক্রিয়া, তাতে তিনি ব্যথিত হলেও জনগণের অনভূতিকে মোটেও অযৌক্তিক বলে মনে হয় না বলে জানান আইন উপদেষ্টা।
তার কথায়, ‘মায়া লাগে। কিন্তু তার প্রতি মানুষ যে ক্ষোভ দেখায়, সেটি একটুও অযৌক্তিক লাগে না।’
উল্লেখ্য, ভারত সফর চলাকালে সংবাদ সম্মেলন করে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা জানিয়ে দেন সাকিব। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, সরকার পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে দেশে ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে চান তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে জরিমানার মুখেও পড়তে হয়েছে এই অলরাউন্ডারকে। ফলে তার দেশে ফেরা নিয়ে জটিলতা ছিলই।
এরপর গত রবিবার সাকিবকে দেশে ফেরাতে সবরকম নিরাপত্তা দেওয়ার কথা জানান ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া। এমনকি বুধবার মিরপুর টেস্টের জন্য তাকে নিয়েই স্কোয়াড ঘোষণা করে বিসিবি।
কিন্তু পরের দিনই ঘটনা বিপরীত দিকে মোড় নেয়। ১৭ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারের অবসান করতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশের পথে ছিলেন সাকিব। মাঝে দুবাইয়ে তার যাত্রাবিরতির সময় বদলে যায় দৃশ্যপট।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরছেন না সাকিব
সেখান থেকে সাকিব নিজেই জানান, আপাতত দেশে ফেরা হচ্ছে না তার। নিরাপত্তার কথা ভেবেই সংশ্লিষ্টরা তাকে এমন পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
ফলে নিজ ভূমি থেকে টেস্টে বিদায় নেওয়া আর হয়ে উঠল না দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটারের। ভারতের বিপক্ষে কানপুরে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিই ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট হয়ে থাকল সাকিবের।
৪ দিন আগে
দ. আফ্রিকা টেস্টে সাকিবের পরিবর্তে খেলবেন হাসান মুরাদ
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের জন্য হাসান মুরাদকে টেস্ট দলে যুক্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সিরিজটি শুরু হবে ২১ অক্টোবর থেকে।
বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ সাকিব আল হাসানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। সাকিব জনরোষের কারণে তার নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে ঢাকায় ম্যাচ খেলতে দেশে ফিরছেন না।
আগস্টে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পতন হওয়া বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য ছিলেন সাকিব।
২০২১ সালে অভিষেকের পর প্রথম শ্রেণির ৩০ ম্যাচে ১৩৬ উইকেট নিয়েছেন ২৩ বছর বয়সী মুরাদ।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরছেন না সাকিব
বিসিবি চেয়ারম্যান ও বিসিবির নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান গাজী আশরাফ হোসেন বলেন, 'আমাদের জানানো হয়েছে প্রথম টেস্টে সাকিব থাকছেন না।’
তিনি বলেন, ‘সে (সাকিব) তার টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে, কিন্তু তার অভিজ্ঞতার পাশাপাশি ব্যাট ও বল উভয় ক্ষেত্রেই তার বিকল্প হিসেবে আমাদের এখনও সেই মানের কেউ নেই।’
তিনি আরও বলেন, হাসান মুরাদের প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার ইতিহাস ইঙ্গিত দেয় যে, তিনি স্পিনার হিসাবে ঘরের মাঠে ভাল করতে পারেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের বাংলাদেশ স্কোয়াড:
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস (উইকেট রক্ষক), জাকের আলী, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা ও হাসান মুরাদ।
আরও পড়ুন: আনুষ্ঠানিকভাবে বরখাস্ত হাথুরুসিংহে, সিমন্সকে নিয়োগ বিসিবির
৪ দিন আগে
আনুষ্ঠানিকভাবে বরখাস্ত হাথুরুসিংহে, সিমন্সকে নিয়োগ বিসিবির
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচের পদ থেকে চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরখাস্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেইসঙ্গে নতুন কোচ ফিল সিমন্সের সঙ্গে চুক্তিরও অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি।
রাজধানীর মিরপুরে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দেশে না থাকায় দুবাই থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যোগ দেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি। এ নিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশও পাঠায় তারা।
এ বিষয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছিলেন, ‘আইনি জটিলতার কারণে প্রাথমিকভাবে তাকে শোকজ ও সাসপেন্ড করা হয়েছে। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে বরখাস্ত করা হবে।’
আরও পড়ুন: বরখাস্ত হচ্ছেন হাথুরুসিংহে, আসছেন ফিল সিমন্স
মূলত অসদাচরণের জন্যই হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে বলে জানান বিসিবি সভাপতি। এমনকি চুক্তি নিয়ে বিসিবির সঙ্গেও তিনি অসদাচরণে জড়িয়েছিলেন।
এ বিষয়ে ফারুক বলেন, ‘দুই তিনটি ঘটনা ঘটেছে, যেগুলো একজন সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে আমার জন্য খুব পীড়াদায়ক ছিল। পাশাপাশি এটা দলের জন্যও খুব একটা ভালো উদাহরণ ছিল না। সেসব বিবেচনা করে আজকে আমরা তাকে একটা কারণ দর্শাও নোটিশ এবং দায়িত্ব থেকে অব্যহতির চিঠি দিয়েছি।’
উল্লেখ্য, বিসিবি সভাপতি হওয়ার আগেই হাথুরুসিংহেকে ছাঁটাই করবেন বলে জানিয়েছিলেন ফারুক আহমেদ। পরবর্তীতে পাকিস্তান সফরে টাইগারদের দারুণ সাফল্যের কারণে টিকে গিয়েছিলেন ৫৬ বছর বয়সী এই কোচ। তবে ভারত সফরে ভরাডুবির পর শেষ রক্ষা আর হলো না তার।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে এটা ছিল হাথুরুসিংহের দ্বিতীয় অধ্যায়। এর আগে, ২০১৪ সালের জুন থেকে ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম দফায় টাইগারদের কোচ হন তিনি। তবে, শ্রীলঙ্কার কোচ হতে সে সময় দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মাঝপথেই বাংলাদেশের দায়িত্ব ছাড়েন তিনি। এ নিয়ে তখন ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। অবশ্য নিজ দেশেও তিনি বেশি দিন স্থায়ী হতে পারেননি।
এরপর ২০২৩ সালে তৎকালীন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হোসেন পাপন দ্বিতীয় মেয়াদে ফের হাথুরুসিংহকে ফিরিয়ে আনলে বিষয়টি আবারও সমালোচনার জন্ম দেয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নতুন কোচ ফিল সিমন্স ঢাকায়
দ্বিতীয় দফায় তার সঙ্গে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত চুক্তি করা হয়েছিল। অর্থাৎ সেই মেয়াদ ছিল আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, কিন্তু তার আগেই বরখাস্ত করা হলো এই কোচকে।
হাথুরুসিংহের কোচিংয়ে ১০ টেস্ট, ৩৫ ওয়ানডে ও ৩৫ টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। টেস্টে জয়-হার সমান ৫টি করে। তবে ওয়ানডেতে জয় এসেছে মাত্র ১৩টি, আর হার ১৯টিতে। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে ১৯টি ম্যাচে জয়, ১৫টিতে হার এবং পরিত্যক্ত হয়েছে একটি ম্যাচ।
অন্যদিকে, দুই দফায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের দায়িত্বে ছিলেন সিমন্স। তার অধীনেই ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় করে ক্যারিবীয়রা। এছাড়া জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডেরও প্রধান কোচ ছিলেন তিনি। এরপর আফগানিস্তান দলের ব্যাটিং কোচের ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। এ ছাড়াও বিভিন্ন দলের পরামর্শক ও বিশেষজ্ঞ কোচ হিসেবেও কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে সিমন্সের।
৫ দিন আগে
দেশে ফিরছেন না সাকিব
টেস্ট ম্যাচ খেলতে ঢাকায় ফিরছেন না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
এর আগে তার শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলতে ঢাকায় আসবেন বলে জানালেও ছাত্র আন্দোলনে তার ভূমিকার জন্য জনরোষের আশঙ্কায় তিনি আসছেন না বলে জানান।
এর ফলে কানপুরে অনুষ্ঠিত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার সিরিজের টেস্টটিই ছিল সাকিবের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট।
কানপুরে সেই ম্যাচের আগে সাকিব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। ঢাকায় দেশের দর্শকদের সামনে তার শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু সেই ইচ্ছে অপূর্ণ থেকে যাচ্ছে।
দুবাই থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রানজিট স্টপেজে থাকা সাকিব নিজের পরিকল্পনা পরিবর্তনের কথা জানান।
আরও পড়ুন: সাকিবকে নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দল ঘোষণা
তিনি বলেন, 'আমার দেশে ফেরার কথা ছিল, কিন্তু এখন নিরাপত্তাজনিত কারণে, নিজের নিরাপত্তার কারণে আমি হয়তো তা করতে পারব না।
এটা স্পষ্ট যে, সাকিবের দেশে ফেরা নিয়ে চলমান বিক্ষোভের কারণে তার পরিকল্পনা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করেন একদল শিক্ষার্থী। আরেক দল সাকিবকে স্টেডিয়ামে ঢুকতে না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বিসিবিকে চিঠি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।
শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সাকিবের নীরবতার কারণেই শিক্ষার্থীদের এই প্রতিরোধ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন পতনের আগে মারণাস্ত্র ব্যবহার করে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করেছিল এবং শেষ পর্যন্ত কমপক্ষে ১০০০ জনকে হত্যা করেছিল।
বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেলিব্রেটি ক্রিকেটার হওয়া সত্ত্বেও সাকিব আন্দোলনের সময় নীরব ছিলেন। এর কারণে আন্দোলনকারীদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তারা আশা করেছিলেন, সাকিব তাদের পাশে দাঁড়াবেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য সাকিব আন্দোলন চলাকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের হাসিখুশি ছবি পোস্ট করেন, যা তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উসকে দেয়।
কানপুরে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার সময় সাকিব দেশে ফেরার পর নিজের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। ঢাকায় অবস্থানকালে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বোর্ডের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। কিন্তু বোর্ড ও ক্রীড়ামন্ত্রণালয় কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ সংগঠক আসিফ মাহমুদ।
পরে ক্রীড়া উপদেষ্টা জানান, সাকিব দেশে ফিরলে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন তারা। তবে সাকিবের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের প্রতিক্রিয়ায় সরকার তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছে।
সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বুধবার রাতে নিশ্চিত করেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সাকিবকে তার দেশে ফেরার পরিকল্পনা বাদ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এ অবস্থা থেকে বোঝা যায়, সাকিবের টেস্ট ক্যারিয়ার এখন হয়তো অনানুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নতুন কোচ ফিল সিমন্স ঢাকায়
৫ দিন আগে
সাকিবকে নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দল ঘোষণা
আইনগত জটিলতা ও অনিশ্চিত নিরাপত্তা পরিস্থিতির মাঝে নিজ ভূমিতে টেস্ট খেলে সাকিব আল হাসান বিদায় নিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে ছিল সংশয়। তবে সংশয়ের মধ্যে তাকে নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) ১৫ সদস্যের টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। খালেদ আহমেদ ছাড়া সর্বশেষ ভারত সফরের স্কোয়াডের সবাইকে দলে রাখা হয়েছে।
ভারত সফর চলাকালেই সংবাদ সম্মেলন করে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা জানিয়ে দেন সাকিব। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, সরকার পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে দেশে ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে চান তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে জরিমানার মুখেও পড়তে হয়েছে এই অলরাউন্ডারকে। ফলে তার দেশে ফেরা নিয়ে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা ছিলই।
আরও পড়ুন: দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে ঢাকায় দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল
তবে রবিবার সাকিবকে দেশে ফেরাতে সবরকম নিরাপত্তা দেওয়ার কথা জানান ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া। সাকিবের দেশে ফেরার বিষয়টি নিয়ে যারা বিক্ষোভ করছেন, তাদের ক্ষোভকে তিনি ‘আবেগের বহিঃপ্রকাশ’ হিসেবে বর্ণনা করেন। এর তিন দিনের মাথায় মিরপুর টেস্টের জন্য সাকিবকে নিয়েই স্কোয়াড ঘোষণা করল বিসিবি।
মিরপুরে আগামী ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটি। এ উপলক্ষে বুধবার সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে প্রোটিয়ারা। এছাড়া, চন্ডিকা হাথুরুসিংহের স্থলাভিষিক্ত হতে আজই ঢাকায় এসেছেন টাইগারদের নতুন কোচ ফিল সিমন্সও।
প্রথম টেস্টের বাংলাদেশ স্কোয়াড
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, জাকের আলী, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নতুন কোচ ফিল সিমন্স ঢাকায়
৬ দিন আগে