������������������
হামাসের শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
গাজায় বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে চালানো হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের শীর্ষ পর্যায়ের এক সামরিক কমান্ডার নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। এই হামলায় আরও ২ জন আহত হয়েছে বলে দাবি তাদের।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) গাজার শহরের উপকণ্ঠে এই হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত ওই কমান্ডারের নাম রায়েদ সাদ বলে দাকি করেছে ইসরায়েল।
এক বিবৃতি দিয়ে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও নিহত ব্যক্তি সাদই কি না তা স্পষ্ট করেনি হামাস। বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ইসরায়েল একটি বেসামরিক গাড়িতে হামলা করেছে যা যুদ্ধবিরতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
হামাসের উৎপাদন বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন সাদ। তার আগে তিনি এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটির অপারেশন বিভাগের নেতৃত্বে ছিলেন।
এদিকে ইসরায়েলের বিবৃতিতে তাকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তিনি হামাসের পুনর্গঠনে যুক্ত ছিলেন, যা যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) একজন সাংবাদিক জানান, গাজা শহরের পশ্চিমে ইসরায়েলের এই হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। শিফা হাসপাতালে তাদের মরদেহ দেখেছেন তিনি। আল-আওদা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ওই হামলায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
এদিকে, ইসরায়েল এবং হামাস বারবার একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ১০ অক্টোবর সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা ও গুলিবর্ষণে অন্তত ৩৮৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তবে ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের সৈন্যদের ওপর সশস্ত্র হামলার জবাবেই সাম্প্রতিক এসব হামলা চালানো হয়েছে। এ ছাড়া গাজার ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত অংশের এবং বাকি অংশের মধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখা ‘ইয়েলো লাইন’-এর কাছাকাছি আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর সৈন্যরা গুলি চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে তারা।
ইসরায়েলের দাবি, হামাসের হাতে থাকা শেষ ইসরায়েলি জিম্মি রান গভিলির দেহাবশেষ ফেরত দিতে হবে। এটি শান্তি চুক্তির দ্বিতীয় ও সবচেয়ে জটিল ধাপে প্রবেশের একটি শর্ত। ওই ধাপে হামাসের শাসনের অবসান এবং আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে একটি নিরস্ত্রীকৃত গাজা পুনর্গঠনের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
২০২৩ সালে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন এবং ২৫১ জনকে আটক করা হয়। যুদ্ধবিরতি বা অন্যান্য চুক্তির মাধ্যমে আটককৃত প্রায় সবাইকে ও নিহতদের মরদেহকে ফেরত দেওয়া হয়েছে ইসরায়েলকে।
অপরদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলের দুই বছরের অভিযানে ৭০ হাজার ৬৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই নারী ও শিশু। তবে এদের মধ্যে কতজন বেসামরিক নাগরিক ও কতজন সেনা তা আলাদা করে বলা হয়নি।
এ যুদ্ধে গাজার বেশিরভাগ এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি উপত্যকার ২০ লক্ষাধিক জনসংখ্যার অধিকাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, যে পরিমাণ মানবিক সহায়তা প্রবেশের কথা ছিল, তার চেয়ে কম সহায়তা প্রবেশ করছে গাজায়। এ ছাড়া, যুদ্ধে যারা অঙ্গ হারিয়েছেন, তারা কৃত্রিম অঙ্গের সংকটে ভুগছেন এবং চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘ বিলম্বের শিকার হচ্ছেন।
২৩ ঘণ্টা আগে
জাপানে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প, আহত ২৩, সাগরে ২ ফুট সুনামি
জাপানের উত্তরাঞ্চলে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছেন। পাশাপাশি প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলীয় এলাকায় সুনামির সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ১১টার দিকে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটি হাচিনোহের উত্তর-পূর্বে প্রায় ৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল) দূরে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩০ মাইল) গভীরে আঘাত হানে।
এরপর সম্ভাব্য আফটারশক ও বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকির বিষয়ে সতর্কতা জারি করে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল জাপানের প্রধান দ্বীপ হোনশুর উত্তরে আওমোরির উপকূল থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে প্রশান্ত মহাসাগরে। তবে, জাপান সরকার এখনো সুনামি ও ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করছে বিধায় চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।
জাপানের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর আওমোরির ঠিক দক্ষিণে ইওয়ার কুজি বন্দরে ৭০ সেন্টিমিটার (২ ফুট ৪ ইঞ্চি) পর্যন্ত উচ্চতার সুনামি রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া এই অঞ্চলের অন্যান্য উপকূলীয় এলাকায় ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উচ্চতার সুনামি আঘাত হেনেছে।
ফায়ার অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি জানিয়েছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
এনএইচকে’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আহতদের বেশিরভাগই ধসে পড়া বস্তুর আঘাতে আহত হয়েছেন। হাচিনোহের একটি হোটেলে বেশ কয়েকজন আহত হন এবং তোহকুতে গাড়ি খাদে পড়ে এক ব্যক্তি আঘাত পেয়েছেন।
জাপানের চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি মিনোরু কিহারা ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্কতা না ওঠা পর্যন্ত উঁচু স্থান বা নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি জানান, ভূমিকম্পের ফলে প্রায় ৮০০ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং এই অঞ্চলের কিছু অংশে শিনকানসেন বুলেট ট্রেন ও লোকাল রেললাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
আওমোরি হাচিনোহে শহরের দোকান মালিক নোবুও ইয়ামাদা সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে’কে বলেন, ‘আমি এত বড় কম্পন আগে কখনো অনুভব করিনি। সৌভাগ্য যে আমাদের এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ সচল রয়েছে।’
ওই অঞ্চলের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা পরীক্ষা চালানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন কিহারা।
পারমাণবিক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আওমোরির রোক্কাশো জ্বালানি পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্টের জ্বালানি শীতলীকরণ এলাকা থেকে প্রায় ৪৫০ লিটার পানি উপচে পড়েছে। তবে পানির স্তর স্বাভাবিক সীমার মধ্যেই রয়েছে এবং কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি জানান, হাচিনোহে বিমান ঘাঁটিতে প্রায় ৪৮০ জন বাসিন্দা আশ্রয় নিয়েছেন এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের জন্য ১৮টি প্রতিরক্ষা হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে।
এনএইচকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে হোক্কাইডোর নিউ চিটোস বিমানবন্দরে প্রায় ২০০ যাত্রী সারা রাত আটকা পড়েছিলেন।
এদিকে, আগামী কয়েকদিনে সম্ভাব্য আফটারশকের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া সংস্থা। তারা জানিয়েছে, টোকিওর পূর্বে চিবা থেকে হোক্কাইডো পর্যন্ত জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূলজুড়ে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প এবং সম্ভাব্য সুনামির ঝুঁকি কিছুটা বেড়েছে।
সংস্থাটি এই এলাকার ১৮২টি পৌরসভার বাসিন্দাদের আগামী সপ্তাহে তাদের জরুরি প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি সাংবাদিকদের জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দ্রুত নিরূপণের জন্য সরকার একটি জরুরি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। তিনি বলেন, আমরা মানুষের জীবনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি এবং আমাদের পক্ষে যা সম্ভব সবই করছি।
তিনি ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের স্থানীয় পৌরসভাগুলোর সর্বশেষ তথ্যের দিকে নজর রাখার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, ‘দয়া করে প্রস্তুত থাকুন যাতে কম্পন অনুভব করার সাথে সাথেই আপনারা নিরাপদ স্থানে সরে যেতে পারেন।’
আবহাওয়া অফিসের ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি বিভাগের কর্মকর্তা সাতোশি হারাদা বলেন, ‘আপনাদের এমন একটি দুর্যোগ আবারও ঘটতে পারে ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নিতে হবে।’
তবে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে কর্তৃপক্ষ উত্তর জাপানের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলের জন্য জারি করা সব সুনামি সতর্কতা তুলে নেয় বলে খবরে বলা হয়েছে।
৫ দিন আগে
সীমান্তে ফের উত্তেজনা, কম্বোডিয়ায় থাইল্যান্ডের বিমান হামলা
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য একে অপরকে দোষারোপের মধ্যেই কম্বোডিয়ার সঙ্গে বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড।
থাই সামরিক বাহিনীর অভিযোগ, সোমবার (৮ নভেম্বর) সকালে থাইল্যান্ডের সিসাকেট প্রদেশে কম্বোডিয়ান বাহিনীর গুলিতে এক থাই সেনা নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। এরপরই বিমান হামলা চালিয়েছে তারা। অন্যদিকে কম্বোডিয়ার দাবি, থাই বাহিনীই প্রথমে হামলা চালায়।
সীমান্ত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিরোধ চলতি বছরের জুলাইয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। পাঁচ দিন ধরে চলা ওই সংঘর্ষে বহু সেনা ও বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এই দুই দেশ অক্টোবরে এক যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করে। তবে তারপরও উত্তেজনা পুরোপুরি শেষ হয়নি।
সর্বশেষ সংঘর্ষের পর থাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকা থেকে দেশটির ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে সরে গেছে। এ ছাড়া আরো অনেকে স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে থাই প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল বলেছেন, দেশের প্রতিরক্ষা ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হবে।
তিনি বলেন, ‘থাইল্যান্ড কখনো সহিংসতা চায়নি। আমি আবারও বলতে চাই, থাইল্যান্ড কখনো লড়াই বা আগ্রাসন শুরু করেনি। তবে দেশের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।’
অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী নেথ ফিয়াকত্রা জানিয়েছেন, থাই সীমান্তের কাছে কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রবিবার গুলি বিনিময়ের মাধ্যমে শুরু হয় সংঘর্ষ
নভেম্বরের শুরুর দিকে ল্যান্ড মাইনে কয়েকজন থাই সেনা আহত হওয়ার পর যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করে ব্যাংকক। যদিও মাইন অপসারণে তাদের যৌথভাবে কাজ করার কথা, কিন্তু উভয় দেশই একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে।
এর মধ্যে গতকাল (রবিবার) সীমান্তে আবারও এক দফা সংঘর্ষ ঘটে। এবারও একে অপরকে দোষারোপ করে দুপক্ষ।
থাই সেনাবাহিনী জানায়, কম্বোডিয়া থেকে চালানো গুলিতে দুই থাই সেনা আহত হয়। এরপর থাই বাহিনী পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে চলে এই গোলাগুলি।
পরে থাই সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল উইন্থাই সুবারি আজ (সোমবার) বলেন, কম্বোডিয়ার সেনারা থাই ভূখণ্ডের একাধিক স্থানে গুলি চালিয়েছে। এতে এক সেনা নিহত ও চারজন আহত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো থেকে বেসামরিক মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
‘কম্বোডিয়ার গোলাবর্ষণ দমন করতেই’ থাইল্যান্ডের বিমান বাহিনী কম্বোডিয়ার বিভিন্ন সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
অপরদিকে কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়, থাইল্যান্ড থেকেই প্রথমে গুলি চালানো হয়েছে। তাদের (কম্বোডিয়া) পক্ষ থেকে পাল্টা গুলি পর্যন্ত চালানো হয়নি।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মালি সোচেতা বলেন, ‘সোমবার থাই বাহিনীই কম্বোডিয়ার সেনাদের ওপর হামলা চালায়। প্রাথমিক আক্রমণের সময় কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে কোনো পাল্টা হামলা করা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি, এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলে—থাইল্যান্ড অবিলম্বে যেন এমন সব বৈরী তৎপরতা বন্ধ করে।’
এদিকে, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সম্ভাব্য নতুন সংঘর্ষ এড়াতে যেকোনো প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে প্রস্তুত মালয়েশিয়া।
বিরোধের নেপথ্যে
থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত বহু দশক ধরেই বিরোধপূর্ণ। এ বিরোধের মূল উৎস ১৯০৭ সালে ফরাসি উপনিবেশিক শাসনামলে আঁকা একটি মানচিত্র।
কম্বোডিয়াকে থাইল্যান্ড থেকে আলাদা করতে ওই মানচিত্র তৈরি করা হয়েছিল। ওই মানচিত্র ধরে কিছু এলাকা নিজেদের বলে দাবি করে কম্বোডিয়া। তবে মানচিত্রটি প্রত্যাখ্যান করেছে থাইল্যান্ড।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিরোধ রয়েছে প্রায় এক হাজার বছরের পুরোনো প্রেয়া ভিহেয়ার মন্দির নিয়ে। ১৯৬২ সালে কম্বোডিয়াকে এই মন্দির এলাকার মালিকানা দেয় আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। যার ফরে দেশদুটির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খারাপ হয়ে পড়ে।
এরপর ২০১১ সালে নতুন করে সংঘর্ষ বাঁধে, যেখানে ২০ জনের মতো নিহত হন এবং বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। এরপর কম্বোডিয়া আবার বিচার আদালতের দ্বারস্থ হয় এবং ২০১৩ সালে আদালত আবারও তাদের পক্ষে রায় দেয়।
সম্প্রতি কম্বোডিয়া আবার আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। তবে আদালতের এখতিয়ার মানতে অস্বীকৃতি জানায় থাইল্যান্ড।
৭ দিন আগে
ভারতের গোয়ায় নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত অন্তত ২৫
রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ভারতের গোয়া রাজ্যের একটি জনপ্রিয় নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় পর্যটকসহ অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) মধ্যরাতের পরপর উত্তর গোয়ার আরপোরা এলাকায় অবস্থিত ওই নাইটক্লাবে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত আজ (রবিবার) জানিয়েছেন, নিহতদের অধিকাংশই ক্লাবটির রান্নাঘরের কর্মী। এ ছাড়া তিন থেকে চারজন পর্যটকও রয়েছেন। অগ্নিকাণ্ডে আরও অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। তবে তারা আশঙ্কামুক্ত আছেন বলে তিনি জানান।
স্থানীয় পুলিশের বরাতে ভারতীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) জানিয়েছে, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার সময় ক্লাবটির নাচের ফ্লোরে অন্তত ১০০ জন উপস্থিত ছিলেন। আতঙ্কের কারণে অনেকেই নিচতলার রান্নাঘরের দিকে ছুটে গেলে কর্মীদের সঙ্গে তারাও আটকা পড়েন।
আগুন ইতোমধ্যে নির্বাপণ করা হয়েছে এবং সব মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থাটির খবরে আরও বলা হয়েছে, আরপোরা নদীর তীরে অবস্থিত ক্লাবটির প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ ছিল অত্যন্ত সরু। এর ফলে ফায়ার সার্ভিসের টিমকে প্রায় ৪০০ মিটার দূরে পানি সরবরাহকারী ট্যাংকার রাখতে হয়। ঘটনাস্থলে যাতায়াতের পথ খুব বেশি প্রশস্ত না হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগে যায়।
স্থানীয় গ্রাম পরিষদের কর্মকর্তা রোশন রেডকার পিটিআইকে বলেন, ক্লাবটি নির্মাণের অনুমোদন না থাকায় বেশ আগেই এটি ভেঙে ফেলার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরে সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেয়।
আগুন লাগার সঠিক কারণ এবং ভবনটি নির্মাণে অগ্নিনিরাপত্তা ও নির্মাণবিধি সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়েছিল কি না, তা জানতে রাজ্য সরকার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সাওয়ান্ত।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা এক পোস্টে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘটনাটিকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সাওয়ান্তের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মোদি বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের রাজ্য সরকার ‘সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা’ করছে।
৮ দিন আগে
ভারত সফরে যাচ্ছেন পুতিন, গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয়
দ্বীপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিতে চলতি সপ্তাহে ভারত সফরে যাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুই দেশের মধ্যে অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি সহযোগিতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়াও মস্কো ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে নয়াদিল্লির ভারসাম্য রক্ষার যে প্রচেষ্টা, তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে এই সফর।
চার বছর পর বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে পুতিনের। এরপর শুক্রবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় অগ্রগতি পর্যালোচনা, পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা এবং বিভিন্ন আন্তঃমন্ত্রণালয় ও বাণিজ্যিক চুক্তিতে সই করা হবে বলে উভয় দেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ওয়াশিংটনের শুল্কারোপ সত্ত্বেও মূল্যছাড়ে রাশিয়ার তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, তেল কেনার ফলে যে অর্থায়ন করা হচ্ছে, তা ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখছে। অবশ্য ভারতের দাবি, দেশটির ১৪০ কোটি মানুষের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে (রাশিয়া থেকে) এই তেল আমদানি অপরিহার্য।
গত চার বছরে পুতিন ও মোদির খুব বেশি সাক্ষাতের সুযোগ হয়নি। সর্বশেষ ২০২১ সালে ভারত সফর করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এরপর গত বছর মস্কো সফরে যান মোদি। এ ছাড়া চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে চীনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সম্মেলনে এ দুই নেতার সাক্ষাৎ হয়।
গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক মুহূর্তে হচ্ছে এই বৈঠক
সম্প্রতি নতুন করে ইউক্রেন শান্তি প্রস্তাব নিয়ে তৎপরতা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ের সমাধানে অংশীদারদের সহযোগিতা চাইছে ওয়াশিংটন। ঠিক তখনই ভারতে পুতিন-মোদি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
ট্রাম্পের প্রাথমিক শান্তি পরিকল্পনায় রাশিয়ার স্বার্থকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে সমালোচনা রয়েছে। এ নিয়ে ইতোমধ্যে জেনেভায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর গত সপ্তাহে প্রস্তাবটি সংশোধন করা হয়। এর ফ্লোরিডায় কিয়েভের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আরও এক দফা বৈঠকের পর মস্কোয় ক্রেমলিনের আলোচকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল। এর মধ্যেই ভারত সফর করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
যুদ্ধের ময়দানে রাশিয়াকে চাপে রাখতে ভারতের ওপর কৌশলগত চাপ সৃষ্টি করেছেন ট্রাম্প। এমন বাস্তবতায় পুতিনের সঙ্গে মোদির এই বৈঠক কূটনৈতিক অঙ্গনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে মোদির অবস্থান হচ্ছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে নিন্দা নয়, বরং যুদ্ধ বন্ধে শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দেওয়া উচিৎ।
এ বিষয়ে জিন্দাল স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ শ্রীরাম সুন্দর চৌলিয়া বলেন, ভারত প্রকাশ্যে মধ্যস্থতার ভূমিকা এড়িয়ে চলেছে। কারণ, অন্যথায় রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ক জটিল হয়ে উঠতে পারে।
তিনি বলেন, ‘তবে পর্দার আড়ালের কূটনীতির চর্চা মোদির পক্ষে অসম্ভব নয় এবং ইতোমধ্যে তার কিছুটা হয়েছেও।’
ইউক্রেন ও ইউরোপের ব্যাপারে কিছু উদ্বেগ বিবেচনায় নিয়ে পুতিন যাতে যুদ্ধবিরতির পথ তৈরি করেন, সে বিষয়ে মোদি তাকে উৎসাহ দিতে পারেন বলে মনে করেন চৌলিয়া।
সফরের কেন্দ্রীয় লক্ষ্য অর্থনৈতিক সহযোগিতা
ভারত–রাশিয়া আলোচনায় অর্থনীতি, বাণিজ্য সহজীকরণ, সামুদ্রিক সহযোগিতা ও স্বাস্থ্যসেবা বিনিময়কে কেন্দ্র করে বেশ কিছু নথি চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে তারা বলেন, তবে এসব বিষয়ে এখনও প্রকাশ্যে কিছু জানানো হয়নি।
রাশিয়ায় ওষুধ, কৃষিপণ্য ও পোশাক রপ্তানি বাড়াতে আগ্রহী ভারত। এসব পণ্যে শুল্ক বাধা সরাতে চায় দিল্লি। এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি সার সরবরাহের ব্যাপারেও মস্কোর সঙ্গে আলোচনা করবে মোদি সরকার।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হলো, রাশিয়ায় দক্ষ ভারতীয় কর্মীদের নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত অভিবাসন। এ বিষয়ে সম্ভাব্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে কাজ করছে দুপক্ষ।
রাশিয়ার তেল কেনায় যুক্তরাষ্ট্রের চাপ
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে ভারতকে ছাড়কৃত মূল্যে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে চাপ দিয়ে আসছে। কিন্তু তা না মানায় ভারতীয় পণ্যে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যার ফলে ভারতীয় পণ্যে মার্কিন শুল্কের পরিমাণ বেড়ে ৫০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অস্বীকার করে ভারতের দাবি, জাতীয় স্বার্থ ও জ্বালানি নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিলেও ভারত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে না।
তবে রাশিয়ার তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকওয়েলের ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা জটিলতায় পড়তে পারে।
এ বিষয়ে ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা কোম্পানির তেল কেনা থেকে দূরে থাকবে, তবে নিষেধাজ্ঞামুক্ত অন্যান্য কোম্পানিগুলোকে বিকল্প হিসেবে বিবেচনায় রাখছে নয়াদিল্লি।
নয়াদিল্লিভিত্তিক থিংক ট্যাংক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের বৈদেশিক নীতিবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হর্ষ পান্ত বলেন, ‘ভারত নিশ্চয়ই এ বিষয়টিতে জোর দেবে যে রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করার ইচ্ছা দিল্লির নেই।’
তিনি বলেন, বাজার পরিস্থিতি ও নিষেধাজ্ঞা কতটা কার্যকরভাবে ভারতের বেসরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোকে রাশিয়ার জ্বালানি থেকে দূরে রাখতে পারবে, তার ওপর ভবিষ্যৎ আমদানি নির্ভর করবে।
ফলে পুতিনের সফরকালে জ্বালানি সহযোগিতাবিষয়ক আলোচনা বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর সঙ্গে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে ভারতের বিনিয়োগ এবং সম্প্রসারিত বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়টিও আলোচনায় থাকবে।
এ ছাড়াও রাশিয়ার সহযোগিতায় নির্মিত ভারতের তামিলনাড়ুর কুদানকুলম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও দুই দেশের অংশীদারত্বের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয়ভাবে যন্ত্রাংশ উৎপাদন ও তৃতীয় দেশে যৌথ প্রকল্প নিয়েও আলোচনা চলছে।
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা
২০১৮ সালের ৫৪০ কোটি ডলারের চুক্তির আওতায় রাশিয়া থেকে তিনটি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনে ভারত। আরও দুটি এস-৪০০ দ্রুত পাওয়ার জন্য রাশিয়ার ওপর চাপ দেবে নয়াদিল্লি।
ভারত আরও এস-৪০০ বা এর উন্নত সংস্করণ কেনার সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছে, তবে পুতিনের এবারের সফরে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আশা করা হচ্ছে না।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা পরিকল্পনাকারীরা বলছেন, গত মে মাসে পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার সময় এস-৪০০-এর কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়।
গত সপ্তাহে নয়াদিল্লির একটি নিরাপত্তা সম্মেলনে ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং বলেন, ‘বৈঠকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নিয়ে (পুতিনের সঙ্গে) আলোচনা হবে এবং সরবরাহের বিলম্ব দূর করার চেষ্টা চলবে। এ ছাড়া আরও এস-৪০০ কেনার ব্যাপারে আলোচনার সম্ভাবনাও পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে এ বিষয়ে এখন কোনো ঘোষণা আশা করবেন না।’
এ ছাড়া ভারতীয় এসইউ-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান আধুনিকায়ন, গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সরঞ্জাম দ্রুত সরবরাহ এবং যৌথ মহড়া ও দুর্যোগ ত্রাণ সহযোগিতা বৃদ্ধির মতো বিষয়াবলিও আলোচনায় থাকবে।
গত কয়েক বছরে ভারত সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহের ক্ষেত্রে বহুমুখী উৎসের ওপর নির্ভর করলেও রাশিয়াই এখনও দেশটির সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী। অন্যদিকে, রাশিয়া ভারতের কাছে তাদের এসইউ-৫৭ স্টেলথ যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে আগ্রহী, তবে নয়াদিল্লি এ ব্যাপারে অন্যান্য দেশের দিকেও নজর রাখছে।
১১ দিন আগে
শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে নিহত বেড়ে ১৩২, এখনও নিখোঁজ ১৭৬
ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়া’র কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে শ্রীলঙ্কায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আরও অন্তত ১৭৬ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রশাসন।
দক্ষিণ এশীয় এই দ্বীপদেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকেন্দ্র স্থানীয় সময় শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাতে জানায়, দুর্যোগকবলিত হয়ে প্রায় ৭৮ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন পোস্টে দেখা যায়, রাতের ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত বহু এলাকায় উদ্ধারকর্মীরা এখনো পৌঁছাতে পারেনি।
গত সপ্তাহ থেকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। বৃহস্পতিবার থেকে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। মুষলধারে বৃষ্টিপাতের কারণে ঘরবাড়ি, কৃষিজমি ও সড়ক প্লাবিত হয় এবং চা বাগান-প্রধান মধ্যাঞ্চলীয় পার্বত্য জেলাগুলোতে ভূমিধস শুরু হয়। দুর্যোগের কারণে সরকার স্কুল ও সরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করে; স্থগিত করা হয় বিভিন্ন পরীক্ষা।
১৫ দিন আগে
শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে নিহত বেড়ে ১২৩, নিখোঁজ আরও ১৩০
ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়া’র কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে শ্রীলঙ্কায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আরও অন্তত ১৩০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রশাসন।
দক্ষিণ এশীয় এই দ্বীপদেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকেন্দ্র শনিবার (২৯ নভেম্বর) জানায়, দুর্যোগকবলিত হয়ে প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন পোস্টে দেখা যায়, রাতের ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত বহু এলাকায় উদ্ধারকর্মীরা এখনো পৌঁছাতে পারেনি।
গত সপ্তাহ থেকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। বৃহস্পতিবার থেকে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। মুষলধারে বৃষ্টিপাতের কারণে ঘরবাড়ি, কৃষিজমি ও সড়ক প্লাবিত হয় এবং চা বাগান-প্রধান মধ্যাঞ্চলীয় পার্বত্য জেলাগুলোতে ভূমিধস শুরু হয়। দুর্যোগের কারণে সরকার স্কুল ও সরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করে; স্থগিত করা হয় বিভিন্ন পরীক্ষা।
১৫ দিন আগে
হংকংয়ে ভবনের অগ্নিকাণ্ডে নিহত বেড়ে ১২৮, গ্রেপ্তার আরও ৮
হংকংয়ের বহুতল ভবন কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সাতটি ভবন পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় শুক্রবার বাসায় বাসায় তল্লাশি চালিয়ে আরও বেশ কয়েকটি মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এর ফলে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৮ জনে।
এ ঘটনায় আরও ৭৯ জন আহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও প্রায় ২০০ জন। পাশাপাশি দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ভবন সংস্কারকাজে যুক্ত আরও আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে এই আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ভয়াবহ এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এক দিনেরও বেশি সময় লাগে এবং পুরোপুরি নেভাতে সময় প্রায় ৪০ ঘণ্টা লেগে যায়। অগ্নিকাণ্ড শুরুর দুই দিন পরেও দগ্ধ ভবনগুলো থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।
হংকং ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অ্যান্ডি ইয়ুং বলেন, কমপ্লেক্সের কিছু অগ্নি-সতর্কীকরণ অ্যালার্ম পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সেগুলো অকেজো ছিল। তবে ঠিক কতগুলো অ্যালার্ম অকেজো ছিল বা বাকিগুলোও কার্যকর ছিল কিনা, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি।
ইয়ুং বলেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তা এক ভবন থেকে আরেকটিতে ছড়িয়ে পড়ে। কারণ, নির্মাণকাজে ব্যবহৃত স্টাইরোফোমের প্যানেল ও জালে ঢাকা বাঁশের মাচায় (স্ক্যাফোল্ডিং) আগুন লেগে তা দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে, শুক্রবার ৪০ থেকে ৬৩ বছরের মধ্যে সাত জন পুরুষ ও এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হংকংয়ের দুর্নীতি দমন সংস্থা-ইন্ডিপেনডেন্ট কমিশন অ্যাগেইনস্ট করাপশন (আইসিএসি)। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন স্ক্যাফোল্ডিংয়ের সাব-কন্ট্রাক্টর, একটি ইঞ্জিনিয়ারিং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক এবং সংস্কার কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকা প্রকল্প ব্যবস্থাপকেরা।
১৬ দিন আগে
শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে নিহত বেড়ে ৩১
শ্রীলঙ্কায় গত সপ্তাহ থেকে টানা ভারী বর্ষণে সৃষ্ট ভূমিধস ও বন্যায় নিহত বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। দুর্যোগের কারণে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) শ্রীলঙ্কার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র জানায়, নিহতদের মধ্যে ১৮ জনই রাজধানী কলম্বো থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পূর্বে কেন্দ্রীয় প্রদেশের চা বাগান এলাকা বাদুল্লা ও নুয়ারা ইলিয়ায় ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছেন। ভূমিধসের কারণে এখন পর্যন্ত ওই অঞ্চলে আরও অন্তত ১৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
সপ্তাহের শেষ দিকে শুরু হওয়া ভারী বর্ষণে ঘরবাড়ি, কৃষিজমি ও সড়কে বন্যার পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে অনেক জলাশয় ও নদী প্লাবিত হয়ে সড়ক যোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে। প্লাবনের ফলে কিছু প্রাদেশিক সংযোগ সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধসের কারণে পাথর, কাদামাটি ও গাছপালা রেললাইনের ওপর পড়ায় সেখানে ট্রেন চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। স্থানীয় টেলিভিশনে দেখা গেছে, শ্রমিকরা লাইনের ওপর জমে থাকা মাটি-পাথরের স্তুপ সরানোর চেষ্টা করছেন। কিছু এলাকায় বন্যার পানিতে রেললাইন তলিয়ে গেছে।
আরও দেখা যায়, নৌবাহিনীর যানবাহনে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কলম্বো থেকে প্রায় ৪১২ কিলোমিটার পূর্বে আম্পারা শহরের কাছে বন্যার স্রোতে একটি গাড়ি ভেসে যাচ্ছে।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র জানায়, গভীর নিম্নচাপজনিত এই বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রায় ৪ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
১৭ দিন আগে
কারাগারে ইমরান খানের মৃত্যুর গুজব, সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চাইল পিটিআই
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের কারাগারে মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় সরকারের কাছ থেকে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছে পিটিআই। পাশাপাশি অবিলম্বে ইমরান খান ও তার পরিবারের মধ্যে সাক্ষাতের ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছে দলটি।
গত কয়েক সপ্তাহে একাধিকবার ইমরান খানের সঙ্গে তার বোনদের সাক্ষাতের অনুমতি দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়েছে, দেশটির সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী কোথায় এবং কেমন আছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তার বোনেরা। এ ছাড়া তার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দিতে আদিয়ালা কারাগারের বাইরে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করছেন তারা।
এদিকে, বেশ কিছু এক্স অ্যাকাউন্ট (সাবেক টুইটার) থেকে তার মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে এক্স-এ ‘Where is Imran Khan?’ বা ‘ইমরান খান কোথায়?’ ট্রেন্ড চলছিল।
এ বিষয়ে আজ সকালে এক্স-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে পিটিআই জানায়, ইমরান খানের স্বাস্থ্যের বিষয়ে আফগান ও ভারতীয় গণমাধ্যমসহ বিদেশি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ‘নিকৃষ্ট প্রকৃতির গুজব’ ছড়ানো হচ্ছে।
দলটির দাবি, ‘বর্তমান সরকার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবিলম্বে ও পরিষ্কারভাবে এসব গুজব খণ্ডন করে এ বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিক। সেই সঙ্গে ইমরান খানের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাতের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা করুক।
‘ইমরান খানের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া উচিত।’
এ ছাড়া, যারা ‘সংবেদনশীল’ এসব গুজব ছড়িয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ‘জাতির সামনে সত্য উপস্থাপন করার’ দাবিও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে সতর্ক করে পিটিআই আরও বলেছে, ‘জাতি তাদের নেতার (ইমরান খান) অবস্থা নিয়ে কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা সহ্য করবে না। ইমরানের নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব।’
একই সঙ্গে দলটি ‘এসব গুজবের মোকাবিলা এবং সত্য উন্মোচনে সব ধরনের আইনি ও রাজনৈতিক পদক্ষেপ’ নেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে, আজ দুপুরে পিটিআই নেতা ও পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির মেয়ে মেহের বানো কুরেশি এক্স-এ লিখেছেন, ইমরান খানের স্বাস্থ্য নিয়ে ছড়ানো গুজব উদ্বেগজনক।
তিনি বলেছেন, ‘খান সাহেবের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের এবং জাতির সামনে হালনাগাদ তথ্য প্রকাশের বাধ্যবাধকতাও তাদের রয়েছে। এসব গুজবের সমাপ্তি টানার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হচ্ছে তার বোনদের, আইনজীবী ও দলীয় সদস্যদের তার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া।’
এর আগে, গতকাল (বুধবার) পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও পিএমএল-এন নেতা খাজা আসিফ এক্স-এ ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ কারাগারে থাকাকালীন সুযোগ-সুবিধা দাবি করায় সমালোচনা করেছিলেন ইমরান খান। অথচ, তিনি নিজেই জেলকক্ষে টিভি ব্যবহার করেন। তার খাবারও আসে কারাগারের বাইরে থেকে। সেখানে তার জন্য ব্যায়াম করার যন্ত্রপাতিও রয়েছে।
নিজের কারাভোগের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আসিফ বলেন, ‘আমরা ঠান্ডা মেঝেতে ঘুমাতাম। জেলের রান্না করা খাবারই খেতাম। জানুয়ারি মাসে আমাদের মাত্র দুটি কম্বল দেওয়া হয়। গরম পানি ব্যবহারের কোনো সুযোগ ছিল না।’
এর বিপরীতে ইমরানের জন্য ‘ডবল বেড ও মখমলের বিছানা’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তার দাবি, জেল সুপার নিজেই ইমরানের দেখভাল করেন।
আসিফ আরও বলেন, ‘ইমরান খানের উচিত কারাগারের লাউডস্পিকারে তার নিজের বক্তৃতাগুলো শোনা। তার খোদাকে ভয় করা উচিত।’
২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন ইমরান খান। ক্ষমতা হারানোর পর দুর্নীতি থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগসহ বিভিন্ন মামলার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। ২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
১৮ দিন আগে