������������������
তারেক রহমানের দেশে ফেরার সংবর্ধনা হবে নজিরবিহীন: মির্জা ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার পর তাকে নজিরবিহীন সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এমন সংবর্ধনা দেওয়া হবে, যা অতীতে কোনো নেতা এই দেশে পাননি।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা দলের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া আদায় করতে চাই যে, আমাদের আমাদের নেতা দীর্ঘ ১৮ বছর নির্বাসনে থাকার পরে আগামী ২৫ ডিসেম্বর আমাদের মাঝে এসে উপস্থিত হবেন। এটা আমাদের জন্য অনেক অনুপ্রেরণার বিষয়।’
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আসুন, আমরা ২৫ তারিখে তাকে এমন এক সংবর্ধনা জানাই, যেটা অতীতে কখনো কোনো নেতা বাংলাদেশে পায়নি। আমরা সবাই প্রস্তুত আছি, ইনশাল্লাহ।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এত উদ্বেগের মধ্যে এই সংবাদে অনুপ্রাণিত হয়েছি। একদিকে আমাদের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনি অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আছেন। অন্যদিকে এক অনিশ্চয়তা, তার মধ্যে আমাদের সেই নিশ্চয়তার (তারেক রহমান) আলো যিনি আমাদের দেখাচ্ছেন, আমাদের যিনি সামনে পথ দেখাচ্ছেন, সেই নেতা আমাদের মাঝে এসে উপস্থিত হবেন ২৫ তারিখে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, জকে বাংলাদেশের মানুষকে ভাবতে হবে, তারা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষে থাকবে নাকি স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির পক্ষে থাকবে। আমি মনে করি, যারা স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে দুইটা শক্তি আছে। একটা উদার গণতন্ত্রপন্থি শক্তি। আরেকটা পিছিয়ে পড়া শক্তি। যারা ধর্মের নামে দেশকে বিভক্ত করতে চায়, সেই শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, যেভাবে উঠেছিল ১৯৭১ সালে। তারা এখন এমনভাব দেখাচ্ছে যে, তারা নতুন বাংলাদেশ বির্নিমাণ করবে।
তিনি আরও বলেন, নতুন ফ্যাসিস্ট আবার জাগতে আমরা দিতে পারি না। পিছিয়ে পড়তে দিতে পারি না। আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।
কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের হলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘জাতির ক্রান্তিলগ্নে গণতন্ত্র রক্ষায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল জয়নুল আবেদিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের অবসরপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান, নজরুল ইসলাম, এম এ হালিম, এম এ হাকিম খান, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের সদস্য সচিব কেএম কামরুজ্জামান নান্নুনহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
১ দিন আগে
হাদিকে গুলির মতো ঘটনা আরও ঘটতে পারে: আশঙ্কা ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশ যখন একটা নতুন অধ্যায়ের দিকে একটা নতুন সূর্য দেখছে, বাংলাদেশর মানুষ স্বপ্ন দেখছে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণ করবে। ঠিক সেই সময় আবার নতুন করে বাংলাদেশের শত্রুরা হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছে। গত পরশু যে ঘটনা ঘটেছে (ওসমান হাদির ওপর হামলা) আমরা তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছি এবং আমরা আশঙ্কা করছি যে এরকম আরও ঘটনা ঘটতে পারে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, যখন পাক হানাদার বাহিনীর পরাজয় অসাধ্য হয়ে উঠেছে, চতুর্দিক থেকে যখন মুক্তিবাহিনী ঢাকা ঘিরে ফেলেছে, সেই সময়ে পাক হানাদার বাহিনী এই বাংলাদেশে সমস্ত মেধাকে বিনষ্ট করে দেওয়ার জন্য এই দেশের সমস্ত বুদ্ধিজীবীদের তুলে তুলে নিয়ে গিয়ে দোসরদের সঙ্গে তারা যোগসাজশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, গবেষক, কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ অনেককেই তারা তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে। এভাবেই আমরা আমাদের সর্বশেষ্ঠ সন্তানদের হারাই। এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে মেধাহীন করে দেওয়ার জন্য এই হত্যাকাণ্ডটা ঘটানো হয়। আজকে আমাদের এই দিনে বার বার আমরা সেই কথা মনে করি। একইভাবে আমরা সবাই জানি যে, ২০২৪ সালে আমাদের সন্তানদের গণহত্যা করা হয়েছে। আজকে বাংলাদেশ যখন একটা নতুন অধ্যায়ের দিকে একটা নতুন সূর্য দেখছে, বাংলাদেশর মানুষ স্বপ্ন দেখছে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণ করবে সেই সময় আবার নতুন করে বাংলাদেশের শত্রুরা এই হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছে। গত পরশু যে ঘটনা ঘটেছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছি এবং আমরা আশঙ্কা করছি যে, এইরকম আরও ঘটনা ঘটতে পারে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে আমাদের নেত্রী যিনি অসুস্থ, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া তার পক্ষ থেকে আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এসেছি, শ্রদ্ধা জানিয়েছি। আমরা এই শপথ নিয়েছি যে, আমরা যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করবো, স্বর্বভৌমত্বকে রক্ষা করবো এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। এই দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের সবার প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আমাদের নেতা আমাদের প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই বাংলাদেশের যে আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলেন তার প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সিনিয়র নেতারা এবং ঢাকা মহানগর ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
১ দিন আগে
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন খন্দকার মোশাররফ
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খন্দকার মোশাররফের ছোট ছেলে খন্দকার মারুফ হোসেন ইউএনবিকে বলেছেন, সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে তিনি ডাক্তার দেখাবেন। মস্তিষ্কে টিউমারের ফলো-আপ চিকিৎসার জন্য তাকে একাধিক পরীক্ষা করা হবে।
পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি দেশের মানুষের কাছে তার বাবার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনায় দোয়া চেয়েছেন।
‘ফ্যাসিবাদবিরোধী’ আন্দোলনের সময়ে ২০২৩ সালের ১৭ জুন রাজধানীতে বিএনপির এক পদযাত্রায় অসুস্থ হয়ে পড়লে খন্দকার মোশাররফকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আট দিন চিকিৎসা নেন তিনি। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে ২৭ জুন তাকে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়ে। সেখানে দুই মাস ১০ দিন চিকিৎসার পর ৫ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকায় ফেরেন।
কিন্তু আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে ৫ ডিসেম্বর তাকে ফের এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকেরা পরবর্তীতে তাকে আবারও সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার করার পরামর্শ দেন।
২০২৪ সালের ২৭ জানুয়ারি সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে খন্দকার মোশাররফের মস্তিস্কে টিউমারের সফল অস্ত্রোপচার হয়। চিকিৎসা শেষে তিনি ২১ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরেছিলেন।
১ দিন আগে
হাদিকে গুলি: সহিংসতা ঠেকাতে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চায় বিএনপি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনার মতো সহিংসতার পুনরাবৃত্তি ঠেকানো এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তড়িৎ ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলা, প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের ওপর হামলা। এটা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা বলে আমরা মনে করি না। নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হয়েছে ১০ তারিখ, তার পরের দিনই বাংলাদেশে একজন সম্ভাব্য জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর ওপরে প্রাণবিনাশী হামলা হলো। হামলার ধরন দেখে বোঝা যায়, এটা পেশাদার খুনির কাজ।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের আলোচনা হলো, আমরা ফ্যাসিবাদরিবোধী জাতীয় ঐক্য অটুট রাখব। আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক বিতর্ক হতে পারে। সামনে নির্বাচন, বিভিন্ন রাজনৈতিক বিতর্ক হবে। কিন্তু ঐক্য বিনষ্ট হয়—আমরা ঐ পর্যায়ে বিতর্ক করব না।’
‘আমাদের চেতনা হচ্ছে জুলাই, ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের চেতনা। এটাকে আমরা ঊর্ধ্বে তুলে ধরব। আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য দিয়ে একে (ফ্যাসিবাদ) প্রতিহত করব। এই জায়াগাতে আমাদের কোনো আপোস নেই।’
তিনি বলেন, ‘যারা বাংলাদেশে নির্বাচন চায় না এবং নির্বাচনকে যারা গণতন্ত্রে উত্তোরণের পথ হিসেবে দেখতে চায় না… প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধের শক্তি, তাদেরই কাজ এটা (হামলা)। তারা বাংলাদেশে আছে, দেশের বাইরেও আছে।’
‘প্রতিটি ফ্যাসিবাদকে আমরা এই বার্তা দিতে চাই, এ জাতীয় কোনো ধরনের হামলা করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তোরণকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। আমরা সকল ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দল জাতীয় ঐক্যে অটুট থাকব এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনকে আমরা যেকোনো মূল্যে অর্থবহ ও বিশ্বাসযোগ্য করব। এমন একটি বিশ্বাসযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, যা সারা বিশ্বে স্বীকৃত হবে। সে জন্যে আমরা কাজ করছি।’
এ সময় হাদির ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে আয়োজিত জাতীয় প্রতিরোধ সভায় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বানে বিএনপি সাড়া দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমাদের ভেতরে যেন এমন একটি ঐক্য থাকে, যাতে করে আমরা সকল রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যকে সবাই মিলে আমরা আঁকড়ে ধরি। তাহলে জাতীয়ভাবে আমরা এই সন্ত্রাসকে মোকাবিলা করতে পারব।… আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আহ্বান জানিয়েছি।’
এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গত ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদুল্লাহর ওপরে প্রাণবিনাশী হামলা হয়েছে। কিন্তু তারপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ওই ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে যদি সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা যেত, তাহলে হয়তো এমন ঘটনা আর ঘটাতে উৎসাহিত হতো না। যারা এগুলো করছে, তারা যখন মনে করছে, তারা নিরাপদ থাকতে পারে, তখন এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটে।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এ জন্য আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আরও বেশি সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছি, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা যেন প্রধান উপদেষ্টা নেন। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি—আমরা এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।’
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনের বিজয়নগর এলাকায় মোটরসাইকেলে এসে দুই দুর্বৃত্ত শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই চলছে তার চিকিৎসা।
হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিদের ধরতে এরই মধ্যে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাপিড অ্যানকশন ব্যাটালিয়নসহ (র্যাব) যৌথবাহিনী।
২ দিন আগে
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠকটি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জুলাই সনদ নিয়ে গণভোটের তফসিল ঘোষণার দুই দিন পর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বৈঠকের নির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি সম্পর্কে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে দলীয় সূত্রে ধারণা করা হচ্ছে, দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের প্রেক্ষাপটে তার নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়গুলো নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করতে পারেন।
এ ছাড়া ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনার পর দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার আসন্ন সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি একযোগে নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর গতকাল (শুক্রবার) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রায় ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে আগামী ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশে ফিরবেন।
২ দিন আগে
তারেক রহমান যেদিন ফিরবেন, দেশ যেন কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘শিগগিরই’ দেশে ফেরার কথা উল্লেখ করে দলীয় নেতা-কর্মীদের তাকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী বক্তব্যে দলের মহাসচিব এ কথা জানান।
রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ৭ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা এই কর্মশালায় বিএনপির অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতারা অংশ নিচ্ছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে যেহেতু বাংলাদেশের সব এখানে উপস্থিত আছেন, আমাদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত আছেন; আমি আপনাদেরকে জানাতে চাই, আমাদের নেতা খুব শিগগিরই আমাদের মাঝে আসবেন।
‘আমাদের নেতা যেদিন আমাদের কাছে আসবেন, যেদিন বাংলাদেশে পা দেবেন; সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে। এই কথাটা আপনাদের মনে রাখতে হবে…পারবেন তো? ইনশাআল্লাহ, সেইদিন আমরা গোটা বাংলাদেশের চেহারাকে বদলে দিতে চাই।’
১৭ বছর ধরে নির্বাসিত বিএনপি নেতা তারেক রহমান নভেম্বরে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরবেন বলে দলটির নেতারা বলে আসছিলেন। এর মধ্যে গুরুতর শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে তারেকের মা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি হলে তার দেশে ফেরার আলোচনা জোরালো হয়।
তবে গত ২৯ নভেম্বর তারেক নিজেই ফেইসবুক পোস্টে বলেন, দেশে ফেরার বিষয়টি তার ‘একক নিয়ন্ত্রণাধীন’ নয়। তার এমন বক্তব্যের পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি নেই।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা সামনের দিকে এগোতে চাই, প্রগতির দিকে এগোতে চাই। বাংলাদেশকে একটা মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের নেতার যে চিন্তাভাবনা, তাকে বাস্তবায়িত করার জন্য আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।’
আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন জাতির উদ্দেদে ভাষণ দিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন।
এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির সুযোগ এসেছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ গঠনের সুযোগ এসেছে, যা বাংলাদেশকে নতুন দিগন্তের দিকে নিয়ে যাবে। এর নেতৃত্বে থাকবেন তারেক রহমান।’
তিনি বলেন, ‘অনেক বাধা আসবে, অনেক বিপত্তি আসবে, আমাদের বিরুদ্ধে অনেক প্রচারণা হচ্ছে, হতে থাকবে। কিন্তু এই সবগুলোকে কাটিয়ে উঠে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই। বিএনপি কোনোদিনই পরাজিত হয়নি, পরাজিত হবে না।’
বিএনপিকে জনগণের দল, মুক্তিযুদ্ধের দল ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামের দল হিসেবে উল্লেখ করে ফখরুল নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আর অন্য কোনো কিছু আপনাদের সাফল্য দেবে না। আপনাদের সাফল্য দেবে আপনাদের মধ্যে ইস্পাতদৃঢ় ঐক্য এবং আপনাদের যে চেতনা সামনের দিকে যাওয়ার, যে জাতীয়তাবাদী দর্শনে আমরা দীক্ষিত হয়েছি, যে গণতন্ত্রের দর্শনে দীক্ষিত হয়েছি, সেদিকে এগিয়ে যাওয়ার এই চেতনা।’
এর আগে, গত ২৭ নভেম্বর বিএনপি ছয় দিনের এই কর্মশালার ঘোষণা দেয়। এতে ছাত্রদল, কৃষকদল, ওলামাদল, স্বেচ্ছাসেবকদলসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নির্বাচনপূর্ব প্রচারের জন্য প্রস্তুত করতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সেশন রাখা হয়েছে।
আজ কর্মশালার পঞ্চম দিনের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মির্জা ফখরুল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় বিএনপি নেতারা অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখছেন। কর্মসূচিতে বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৪ দিন আগে
যারা সংস্কারের কথা বলছেন, তারা জানেনই না কী সংস্কার করতে হবে: মির্জা আব্বাস
যারা সংস্কারের কথা বলছেন তারা নিজেরাই জানে না কী সংস্কার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, তারা শুধু জানে ক্ষমতায় যাবার সংস্কার।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অডিটোরিয়ামে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালার চতুর্থ দিনের কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ৭ দিনব্যাপী এই কর্মশালায় চতুর্থদিনের এই কর্মসূচিতে যুবদল ও কৃষক দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।
মির্জা আব্বাস বলেন, যারা সংস্কারের কথা বলেন, তারা জানেনই যে না কী সংস্কার করতে হবে। তার শুধু একটাই সংস্কার জানেন, তাদের এমন একটা সংস্কার করতে হবে, যে সংস্কার করলে তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে। এমন চিন্তাভাবনা তারা করে।
তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে আজকে আমি গভীল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করব এই কারণে যে, তিনি এমন সব কাজ করেছিলেন, যেগুলো তিনি কখনো ঘোষণা দেননি। উনি গার্মেন্টস সেক্টরটা বাংলাদেশে আনলেন, অথচ কোনো (সংস্কারের) দফা ছিল না। এটাই একটা সংস্কারম বিশাল বড় সংস্কার। এ দেশের অর্থনীতি আজকে গার্মেন্টসের ওপর নির্ভর করে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ৫০ শতাংশ এখন গার্মেন্টসের ওপর নির্ভরশীল।
এই বিএনপি নেতা বলেন, কর্মক্ষম মানুষ বিদেশে রপ্তানি করাও জিয়াউর রহমানের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটিও সংস্কার। যুব মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠাও তার সংস্কারের মধ্যে পড়ে। ঘোষণা ছাড়াই এমন বহু সংস্কার তিনি করেছেন।
এ সময় কীভাবে জনগণের কাছে ভোট চাইতে হবে, তার দিকনির্দেশনা দেন এই বিএনপি নেতা।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী।
কর্মসূচিতে বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৫ দিন আগে
প্রতিশোধের রাজনীতি নয়, বিএনপি সমাধানে বিশ্বাসী: তারেক রহমান
সমাধানের পথে বিশ্বাস রেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি আজ প্রতিশোধের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করছে। আমরা এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, কোনো বাংলাদেশিকে রাষ্ট্রের ভয়ে বাঁচতে হবে না, তা সে সরকারের সমর্থক হোক বা বিরোধী।
জাতীয় মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেছেন।
তারেক রহমান লিখেছেন, ‘১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়- মানবাধিকারই মানুষের দৈনন্দিন বেঁচে থাকার মৌলিক শর্ত। আমরা আবরার ফাহাদ, মুশতাক আহমেদ, ইলিয়াস আলী, সাজেদুল ইসলাম সুমন, সাগর-রুনি- আর অসংখ্য শহীদের গল্প মনে রাখি, যেন ভবিষ্যতে এমন নিপীড়ন আর দায়মুক্তি আর কখনো ফিরে না আসে।’
১৬টা বছর ধরে বাংলাদেশ যেন একটা কালো মেঘের নিচে চাপা পড়ে ছিল উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘কেউ সেই অন্ধকারকে খুব তীব্রভাবে টের পেয়েছে, কেউ চুপচাপ বয়ে বেড়িয়েছে। কিন্তু যাদের রাজনৈতিক অবস্থান তখনকার পতিত সরকারের বিপরীতে ছিল, তাদের জন্য এই অন্ধকার ছিল নিত্যদিনের বাস্তবতা। রাতের বেলা দরজায় কড়া নাড়া, মিথ্যা মামলা, নির্যাতন, ভয়কে সংস্কৃতি বানিয়ে ফেলা। অসংখ্য পরিবার অপেক্ষা করেছে সেই প্রিয়জনদের জন্য, যারা আর কোনোদিন ঘরে ফিরে আসেনি।
‘এই বোঝা বিএনপির চেয়ে বেশি আর কেউ বহন করেনি। বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, হেফাজতে মৃত্যু, মিথ্যা মামলা—সব জায়গায় বিএনপির নেতা-কর্মীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানেও সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরেছে বিএনপির ঘরেই।’
‘কিন্তু অত্যাচারের শিকার শুধু বিএনপি ছিল না; ছাত্র, সাংবাদিক, লেখক, পথচারী, সাধারণ মানুষ—সবাই সেই ভয়ঙ্কর পরিবেশের ক্ষত বয়ে বেড়িয়েছে। নূন্যতম মানবাধিকার হিসেবে বিবেচিত মর্যাদা, নিরাপত্তা, মত প্রকাশের অধিকারের মতো মৌলিক সব বিষয়গুলো ছিল হুমকির মুখে।’
তিনি বলেন, ‘এই বছরগুলোতে আমাকেও কথা বলার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। ২০১৫ সাল থেকে আমার কথা বলার অধিকার সম্পূর্ণভাবে কেড়ে নেওয়া হয়। দেশের কোনো পত্রিকা, টিভি বা সোশ্যাল মিডিয়া যেন আমার কোনো বক্তব্য প্রকাশ না করা হয়, এমন নির্দেশনা জারি ছিল। তবুও এই চাপিয়ে দেওয়া নীরবতার মধ্যেও আমি অধিকার, গণতন্ত্র আর মানুষের ন্যায্য দাবির পক্ষে লড়াই চালিয়ে গেছি, কারণ সত্যের স্পিরিটকে আদেশ দিয়ে থামানো যায় না।’
‘এই পুরো অন্ধকার সময়টায় দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ছিলেন আমাদের ধৈর্য ও প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় প্রতীক। মিথ্যা মামলা, কারাবাস, তাকে রাজনৈতিকভাবে নিঃশেষ করে দেওয়ার চেষ্টা—এ সবই পুরো দেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া এক কর্তৃত্ববাদী শাসনের প্রতিফলন। তবুও তিনি তার গণতান্ত্রিক আদর্শ থেকে কখনো সরে যাননি। তার বিশ্বাস একটাই— অধিকার সবার; ভয় দেখিয়ে দেশকে এগোনো যায় না।’
দেশকে বদলাতে হলে ঘৃণার পথ নয়, ন্যায়, নৈতিকতা আর ক্ষমাশীলতার পথই ভবিষ্যত গড়ে বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন। তার মতে, ‘আজ বাংলাদেশের প্রয়োজন রাজনীতির চেয়েও বড় কিছু—একটি ঐক্যবদ্ধ দেশ, যেখানে সবার জন্য মানবাধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে, যেখানে কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে, বিরোধী মত যেখানে হুমকি না হয়ে বরং গণতন্ত্রের অংশ হবে। যেখানে ভিন্ন মতের কারণে কাউকে নিপীড়িত হতে হবে না বা গুম হয়ে যেতে হবে না।’
ক্ষমাশীলতার সূত্র ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি আজ প্রতিশোধের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করছে, আমরা সমাধানের পথে বিশ্বাসী। আমরা এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, কোনো বাংলাদেশিকে রাষ্ট্রের ভয়ে বাঁচতে হবে না, তা সে সরকারের সমর্থক হোক বা বিরোধী।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি মারাত্মক ক্ষতি সহ্য করেছে, কিন্তু ভেঙে যায়নি। বরং সত্য, ন্যায়, জবাবদিহি, পুনর্মিলন আর আইনের শাসনে বিশ্বাস রেখে আরও দৃঢ় হয়েছে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে প্রতিটি মানুষের কণ্ঠ, অধিকার ও জীবন মূল্যবান; যেখানে মানবাধিকার আমাদের ভবিষ্যতের ভিত্তি।’
৫ দিন আগে
জনগণ দায়িত্ব দিলে বিএনপি আবারও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়বে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরার ক্ষেত্রে ধারাবাহিক অগ্রগতির রেকর্ড একমাত্র বিএনপিরই আছে এবং জনগণকে দায়িত্ব দেওয়া হলে দলটি আবারও এই লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবসকে সামনে রেখে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘দুর্নীতি কিভাবে বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দিচ্ছে—তা বুঝতে দূরে যাওয়ার দরকার নেই। মেধার ভিত্তিতে চাকরি খুঁজতে বের হওয়া একজন গ্র্যাজুয়েটের সঙ্গে কথা বললেই বুঝবেন। মাসের পর মাস ধরে একটি সাধারণ সরকারি সেবা পেতে হিমশিম খাওয়া কৃষকের দিকে তাকান। হাসপাতালে গিয়ে এক তরুণের পরিবার কিভাবে ভোগান্তিতে পড়ে, সেটা শুনুন।’
তিনি বলেন, ‘খাবারের দাম কেন বাড়ে, স্কুলে ভালো পড়াশোনা কেন মেলে না, রাস্তায় কেন নিরাপত্তা নেই—সব কিছুর পেছনে সেই একই কারণ: দুর্নীতি। এটা লাখো মানুষের প্রতিদিনের জীবনকে দমবন্ধ করে ফেলেছে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই নতুন নয়, এটা বহু যুগের আলোচনার বিষয়।
আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস আমাদের সেই লড়াইয়ের কথা মনে করিয়ে দেয়, আর মনে করিয়ে দেয় সেই সময়টাও, যখন বাংলাদেশ সত্যিকারের অগ্রগতি করেছিল। আর সেই সময়টা এসেছে মূলত বিএনপির আমলে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরানো, পরিচ্ছন্ন সরকারি সেবা আর অর্থনীতিকে মুক্ত করার কাজে হাত দিয়েছিলেন—যা অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার কমিয়ে দিয়েছিল। তারপর প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সময়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানে আধুনিকায়ন শুরু হয়; নতুন ক্রয় নীতিমালা, কঠোর আর্থিক আইন, শক্তিশালী অডিট ব্যবস্থা, আর পরিষ্কার নজরদারি।
সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ ছিল ২০০৪ সালে ‘দুদক’ গঠন; একটি স্বাধীন কমিশন, যেখানে সরকার চাইলে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বিশ্বব্যাংক, এডিবি সবাই বলেছিল—এটা বাংলাদেশের জবাবদিহিতার বড় অগ্রগতি। টিআইবির জরিপেও দেখা গেছে—২০০২ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। মানুষ নিজেরাই বলেছে—দুর্নীতি কমেছে। এটা কোনো গল্প নয়, এটা তখনকার সংস্কারের প্রমাণ।
বিএনপি গর্ব করতে পারে কিছু বড় পরিবর্তনের জন্য:
· শক্তিশালী অর্থ ব্যবস্থাপনা: বাজেট নিয়ন্ত্রণ, অডিট, ব্যাংকিং ও মানি লন্ডারিং-বিরোধী আইন।
· স্বচ্ছ ক্রয় নীতি: প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র, নিয়মের মধ্যে সরকারি ক্রয়-যা পরবর্তী সময় দেশের সবচেয়ে বড় স্বচ্ছতার আইনের ভিত্তি তৈরি করে।
· উন্মুক্ত বাজার: টেলিকম, মিডিয়া, বিমান পরিবহন; যেখানে প্রতিযোগিতা বাড়ায় দুর্নীতি কমে, সাধারণ মানুষের সুযোগ বাড়ে।
· ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ: প্রশাসন কম জটিল, কম ইচ্ছাধীন, বেশি মানুষের কাছে জবাবদিহিতা।
· তাই কথাটা স্পষ্ট—দুর্নীতি কমানোর ক্ষেত্রে ধারাবাহিক রেকর্ড একমাত্র বিএনপিরই আছে।
· আগামী দিনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ আরো শক্তভাবে চালাতে বিএনপির পরিকল্পনা:
· প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা: আদালত, দুদক, নির্বাচন কমিশন, সরকারি সেবা; কেউই যেন রাজনৈতিক চাপের মধ্যে না থাকে।
· পুরোপুরি স্বচ্ছতা: উন্মুক্ত দরপত্র ব্যবস্থা, সম্পদ বিবরণী, রিয়েল-টাইম অডিট, শক্তিশালী তথ্য অধিকার আইন।
· বিচার ও আইন-শৃঙ্খলা সংস্কার: পেশাদার পুলিশিং, দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি, ডিজিটাল তথ্য-প্রমাণ।
· ই-গভর্ন্যান্স: লাইসেন্স, জমি, পেমেন্ট; সব অনলাইনে এনে ঘুষের সুযোগ কমানো (বিশ্বমান অনুযায়ী ৩০–৬০% দুর্নীতি কমতে পারে)।
· হুইসলব্লোয়ার সুরক্ষা: অনিয়ম ফাঁস করতে যারা সাহস দেখায়, তাদের নিরাপত্তা প্রদান।
· নৈতিক শিক্ষা: স্কুল–কলেজ থেকেই সততার চর্চা পাঠ্যসূচির অন্তর্ভূক্ত করা।
· শক্তিশালী আর্থিক নজরদারি: ডিজিটাল ব্যয় ট্র্যাকিং ও স্বাধীন অডিট, সংসদের কঠোর তদারকি।
সবশেষে তারেক রহমান বলেন, ‘বহু বছর অব্যবস্থাপনার পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই অবশ্যই কঠিন হবে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসই প্রমাণ করে, যখন সৎ নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও জনগণের সমর্থন একসঙ্গে আসে, তখন পরিবর্তন অসম্ভব নয়। জনগণ যদি দায়িত্ব দেয়, বিএনপি আবারও সেই লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।’
৬ দিন আগে
ধর্মের নামে ট্যাবলেট বিক্রি করে প্রতারণা করছে একটি দল: সালাহউদ্দিন
একটি দল ‘ধর্মের নামে ট্যাবলেট বিক্রি করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তবে তারা ঠিক কোন দল, তা উল্লেখ করেননি তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘ধর্ম ব্যবসায়ীরা তরতরাইয়া জান্নাতে যাওয়ার কথা বললেও মানুষ দুনিয়ায় কীভাবে চলবে, তাদের সে পরিকল্পনা নেই।’
দলটির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেছেন, ‘যে দলের কোনো নীতি-আদর্শ নাই, পরিকল্পনা নাই, শুধুমাত্র ধর্মের নামে একটা ট্যাবলেট বিক্রি করে জনগণের সাথে প্রতারণা করার পরিকল্পনা করছে। তাদেরকে জনগণ ইতোমধ্যে চিনেছে, তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।’
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির আয়োজনে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনার কর্মসূচি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সালাহউদ্দিন আহমদ কথাগুলো বলেন।
দিনব্যাপী আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিকেলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এ সময় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আপনাদের প্রথমেই বলতে হবে, যারা বিনা কষ্টে জান্নাতে যেতে চাচ্ছেন সেটার বাসস্ট্যান্ড কোথায়, একটু জেনে নেবেন। জনগণ এগুলো বোঝে।
‘আমরা বিএনপি যা করছি, সেগুলো হচ্ছে প্ল্যানিং (পরিকল্পনা)। প্ল্যানিং ইজ হাফ অব দ্য জব। ইফ ইউ ডোন্ট প্ল্যান, ইউ আর প্ল্যানিং টু ফেইল। কারণ যদি আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আগের থেকে পরিকল্পনা প্রণয়ন না করি, তাহলে আমরা ফেইল করার জন্যই পরিকল্পনা করলাম। এই কথা আমাদের ধর্ম ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলা হয়ে গেল মনে হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের মানুষের কাছে সমর্থন চাইছি, ভোট চাইছি। জনগণ আমাদের কাছে কী চায়—তা আমাদের দিতে হবে।
‘আমরা কেবল ধর্মের ট্যাবলেট বিক্রি করতে চাই না। আমরা চাই জনগণের কল্যাণের জন্য, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমাদের সুষ্ঠু পরিকল্পনা কী আছে, সেটা জনগণের সামনে রাখা।’
দেশের জন্য বিএনপির অতীত ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘নিরক্ষরতা দূর করতে গণশিক্ষা কার্যক্রম চালু করেন জিয়াউর রহমান। তবে পরবর্তীতে এরশাদ তা বিলুপ্ত করেন। যতদিন পর্যন্ত আমরা পুরোপুরি অক্ষরজ্ঞান না হতে পারব, ততদিন চেষ্টা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া খাদ্যের বিনিময়ে শিক্ষার কর্মসূচি চালু করেন। এতে মা-বাবাদের মধ্যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়। তারা সন্তানদের স্কুলে দিতে ব্যাপক আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি মেয়েদের বিরুদ্ধে অবৈতনিক শিক্ষা চালু করেন। এগুলো যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ক্ষমতায় গেলে আমরা আরও নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করব।’
ফ্যামিলি কার্ড, ফার্মার্স কার্ড, স্বাস্থ্য কার্ডের মত বিষয়গুলো তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের কাছে সহজভাষায় তুলে ধরতে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মাস্টার ট্রেইনাররা কীভাবে ট্রেনিং দেবেন, জানি না। আমি মনে করি সহজভাবে তাদের বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনাগুলো বলতে হবে।’
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সারা দেশে যারা বয়ান দিচ্ছেন যে, জ্ঞানভিত্তিক, প্রযুক্তিভিত্তিক, মেধাভিত্তিক রাজনীতি করতে হবে, আসলে চর্চা কি আমরা করছি?’ জ্ঞান, মেধা ও প্রযুক্তিভিত্তিক রাজনীতির চর্চার জন্য বিএনপির নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এমনভাবে কাজটি করতে হবে যাতে অন্য কোনো সংগঠন ধারেকাছেও না আসতে পারে।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “শুধুমাত্র গুলিস্থান থেকে পুরানা পল্টন ‘মানি না’ ‘মানি না’ স্লোগান দিলে হবে না। যখন বিরোধীদলেও থাকব, তখনও আমাদের জ্ঞানভিত্তিক সংগ্রাম করতে হবে, যুদ্ধ করতে হবে।”
এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের আরও বেশি সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
এর আগে, গতকাল (রবিবার) সকালে সপ্তাহব্যাপী এ কর্মসূচির প্রথম দিনের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দিনব্যাপী মতবিনিময়ের সমাপনীতে বিকালে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দলের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের তৃণমূলের নেতারাও এতে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।
৭ দিন আগে