জামায়াত
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তির দোয়া
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি ও সুস্থতার জন্য দোয়া করা হয়েছে।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়। এতে নায়েবে আমীর, সেক্রেটারি জেনারেল, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া ও জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহেরের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দোয়া করা হয়।
সভায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও ভয়মুক্ত পরিবেশে সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয়তা এবং দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘হ্যাঁ’ ভোটের পক্ষে জনমত সৃষ্টির জন্য প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে আগামী ২৮ ও ২৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার বার্ষিক অধিবেশনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা হয়।
সভার সমাপ্তিতে দেশ ও জাতির কল্যাণ, ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠা এবং শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের জন্য জনগণের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করা হয়।
৮ দিন আগে
নির্বাচনের দিন গণভোট হলে জেনোসাইড হতে পারে: জামায়াত আমীর
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট হলে নির্বাচন জেনোসাইড (জাতিগত গণহত্যা) হওয়ার আশঙ্কা আছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের জন্য এখনো লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি হয়নি। আমাদের সবাইকে নিয়ে লেভেল প্লেইং তৈরি করতে হবে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন বিকেলে একটি বেসরকারি হেলিকপ্টারযোগে নগরীর চকবাজারস্থ চট্টগ্রাম কলেজ মাঠ প্যারেড ময়দানে পৌঁছান ডা. শফিকুর রহমান। এ সময় দলের নেতারা ফুল দিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের দলের সংগ্রাম দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘোষিত সময়েই হতে হবে। যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে জাতীয় সংকট দেখা দিতে পারে। তাই জনগণকে নিয়ে নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেইন ফিল্ড তৈরি করতে হবে।
ক্ষমতায় গেলে জামায়াত পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়ন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা তৈরি থাকুন, নির্বাচন যথাসময়ে হতেই হবে। নির্বাচন না হলে দেশের সংকট তৈরি হবে। আমরা দেশে কোনো সংকট তৈরি হতে দেব না। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। আমাদের দাবি অব্যাহত আছে। এই দাবি বাস্তবায়ন হবে জনগণের স্বার্থে, এমনকি আমরা ক্ষমতায় গেলেও পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়ন করব।
নির্বাচনের দিন গণভোট প্রসঙ্গে জামায়াতের অবস্থান জানতে চাইলে দলটির আমীর বলেন, ‘এটা আমরা ভালোভাবে দেখছি না। আমরা আগেই বলেছি, নির্বাচনের দিন গণভোট হলে নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা আছে।’
এই সময় চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর দক্ষিণ জামায়াতের নেতারা তার সঙ্গে ছিলেন।
পরে নগরীর আকবর শাহ থানার ফিরোজ শাহ এলাকায় জামিয়াতুল ইসলামিয়ার মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ডা. শফিকুর রহমান। রাতে তার জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগের নির্বাচনি দায়িত্বশীল সম্মেলনে উপস্থিত থাকারও কথা রয়েছে।
১২ দিন আগে
গণভোটসহ ৫ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জামায়াতসহ ৮ দলের স্মারকলিপি
পাঁচ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ ৮টি রাজনৈতিক দল।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে একটি প্রতিনিধি দল এই স্মারকলিপি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যায়। এর আগে গণমাধ্যমকে ওই দাবিগুলোর বিষয়ে জানান জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে: জুলাই সনদ বাস্তবানের আদেশ জারি এবং ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের তারিখ ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া, আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, বিগত সরকারের সব নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিও রয়েছে।
আট দলের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন।
এর আগে, বেলা ১১টার দিকে দলগুলো আলাদা আলাদা মিছিল নিয়ে পল্টন মোড়ে এসে সমবেত হয়।
পরে পাঁচ দফা দাবিতে স্মারকলিপিদিতে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পল্টন থেকে মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে পদযাত্রা শুরু করে জামায়াতসহ আটটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
এরপর সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি পল্টন থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে মৎস ভবন এলাকায় এলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাতে বাধা দেয়।
এরপর ৮ দলের ৯ জন নেতা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিতে যান।
গণভোটসহ ৫ দাবিতে যমুনা অভিমুখে জামায়াতসহ ৮ দল
তারা হলেন: জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ফজলুল বারী মাসউদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক মূসা, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব ইউসুফ সাদিক হক্কানী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন ইযহার, জাগপার সহসভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম।
স্মারকলিপি দেওয়ার পর গণমাধ্যমে কথা বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
পরওয়ার বলেন, ১১ই নভেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করবে জামায়াতসহ আটটি রাজনৈতিক দল। তার আগেই সরকারকে দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান পরওয়ার।
নির্বাচনে কোনো জোট গঠন করবে না জামায়াত: শফিকুর রহমান
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ১১ই নভেম্বরের আগে দাবি না মানলে ওই দিন ঢাকার চিত্র ভিন্ন হবে বলে সরকারকে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়ে জুলাই সনদের প্রতি এই গণআকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করুন। তা না হলে ১১ তারিখে রাজধানী ঢাকার চিত্র ভিন্ন হবে।’
এর আগে, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর পল্টন মোড়ে বিক্ষোভ মিছিলের আগে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, সোজা আঙুলে যদি ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকা করব।’
তিনি বলেন, সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছে। ফেব্রুয়ারি কাছাকাছি চলে এসেছে, কিন্তু গণভোটের তারিখ ঘোষণা হচ্ছে না। নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেও গণভোট করতে আইনি বাধা নেই। এ বিষয়ে সময়ক্ষেপণ অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলবে।
২৮ দিন আগে
গণভোটসহ ৫ দাবিতে যমুনা অভিমুখে জামায়াতসহ ৮ দল
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট ও জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারিসহ পাঁচ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি ইসলামি দল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিতে পদযাত্রা নিয়ে যমুনা অভিমুখে অগ্রসর হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড় থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রায় দলগুলোর শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ সবস্তরের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন। এ সময় পল্টন এলাকায় অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
দলগুলোর পাঁচ দফা দাবি হলো—জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং ওই আদেশের ওপর নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে বা উচ্চকক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের সব জুলুম–নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
ইসলামি আটটি দলের মধ্যে রয়েছে—জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।
২৮ দিন আগে
নির্বাচনে কোনো জোট গঠন করবে না জামায়াত: শফিকুর রহমান
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী কোনো জোট গঠন করবে না বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসব বলেন তিনি।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াতের জোট করার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে নির্বাচনী সমঝোতার সম্ভাবনা রয়েছে’।
আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন আদায় করা হবে বলেও জানান জামায়াত আমির। অন্যথায় দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের থাকার সুযোগ নেই।
সম্প্রতি নিজের বিদেশ সফর প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, ‘বিদেশে প্রবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। প্রবাসী বাংরাদেশিরা তাদের বুকের উষ্ণতা ও ভালোবাসা নিয়েই এগিয়ে এসেছেন। তাদের বুকভরা ভালোবাসায় আমি আপ্লুত। তাদের আকাশ সমান প্রত্যাশা এই জাতির কাছে। তারাও জাতি বিনির্মাণে অবদান রাখতে চান। এই জাতির কাছে তাদের পাবার কিছু নেই। তারা একটু সম্মান চান।’
শফিকুর রহমান তৃতীয়বারের মতো দলের সর্বোচ্চ পদে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো সিলেটে এলেন।
৩০ দিন আগে
৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে পূর্ণ নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জামায়াত: গোলাম পরওয়ার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার মাধ্যমে পূর্ণ নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
তিনি বলেন, ‘জামায়াতের প্রতিটি কর্মীকে এখন নির্বাচনী মাঠে নেমে পূর্ণ শক্তিতে কাজ করতে হবে।’
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে খুলনার আল ফারুক সোসাইটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগর শাখা আয়োজিত সদস্য পুনর্মিলনী (১৯৭৭–২০২৫) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘দ্বীনকে সংসদে পাঠানোর জন্য এ সময়টিই সবচেয়ে উপযুক্ত। যারা একসময় ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের সবাইকে এখন আবার সক্রিয় হয়ে দেশের জন্য ভূমিকা রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম।
‘সম্প্রীতির টানে শিকড়ের পানে’— এ স্লোগানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেন।
তিনি খুলনার শিবির নেতা আমিনুল ইসলাম বিমান, মুন্সি আব্দুল হালিম, আমানুল্লাহ আমান, রহমত আলী, আবুল কাশেম পাঠান ও সাংবাদিক শেখ বেলাল উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘তাদের ত্যাগ ও অবদান আমাদের রাজনীতির ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায়।’ এ সময় মিলনায়তনে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
খুলনা মহানগর ছাত্রশিবির সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রাকিব হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মহানগর আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, খুলনা জেলা আমির মাওলানা এমরান হোসাইন, মহানগর নায়েবে আমির অধ্যাপক নজিবুর রহমান, মহানগর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, সাবেক সভাপতি ও সেক্রেটারিবৃন্দ, বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালনকারী নেতৃবৃন্দ।
অন্যান্যের মধ্যে নড়াইল জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান বাচ্চুসহ জামায়াত ও শিবিরের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
৬২ দিন আগে
নওগাঁয় মাদরাসা ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে উপজেলা জামায়াত আমির বহিষ্কার
নওগাঁয় মাদরাসা ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোনায়েম হোসাইনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে আয়োজিত এক জরুরি সভায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নৈতিক স্খলনজনিত কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে জেলা জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে তাকে নওগাঁ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদের দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ বহিষ্কারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন জেলা জামায়াতের আমির খ. মো. আব্দুর রাকিব।
এর আগে নওগাঁ সদর উপজেলার ইনায়েতপুর মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে এবং তদন্ত শেষে ইনায়েতপুর দাখিল মাদরাসার শিক্ষক ও সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোনায়েম হোসাইনের বিরুদ্ধে তা প্রমাণিত হয়।
২৩ সেপ্টেম্বর বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা তার পোস্টার সম্বলিত ছবিতে জুতার মালা পরিয়ে প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে দ্রুততম সময়ে এ ঘটনার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বর বৃষ্টির দিন দুপুরে শ্রেণিকক্ষে একা ছিলেন তিনি। ওই সময়ে সেখানে ক্লাস নিতে এসে মাওলানা মোনায়েম হোসাইন তাকে বোরকার হিজাব খুলতে বলেন। এক পর্যায়ে বাধা দিলেও তিনি শোনেননি। পরে তিনি শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় স্পর্শ করেন। পরবর্তীতে ওই ছাত্রীকে আবারও একা পেয়ে জোরপূর্বক চুম্বন করেন তিনি।
পরে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী এ ঘটনা সহপাঠীদের জানালে একইভাবে আরও বেশ কয়েকজন যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানান। পরে ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ২২ সেপ্টেম্বর এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত মোনায়েম হোসাইনকে শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি করেন ওই মাদরাসার আরেক শিক্ষক সালেক রহমান।
পুরো এ ঘটনার ১৩ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে সেখানে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের কোনো সদুত্তর দিতে দেখা যায়নি অভিযুক্ত মোনায়েম হোসাইনকে।
ওই দিন রাতে ভিডিও ধারণকারী ওই শিক্ষকের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল করে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন মোনায়েম হোসাইন।
নওগাঁ জেলা জামায়াতের আমির খ. মো. আব্দুর রাকিব বলেন, মোনায়েম হোসাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ওঠার পরপরই ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। দ্রুততম সময়ে এ কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। যেখানে মোনায়েম হোসাইনের নৈতিক স্খলন হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন থেকে মোনায়েম হোসাইনের সঙ্গে জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই।
৬৫ দিন আগে
তরুণদের হাত ধরে বারবার জুলাই ফিরে আসবে: তাহের
বাংলাদেশ আর আগের অবস্থায় ফিরে যাবে না, কারণ দেশের ৪ কোটি তরুণ ইতিবাচক পরিবর্তন চায় বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতি ও দেশ পরিচালনায় তরুণদের সেন্টিমেন্টকে সম্মান জানিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। নতুবা তরুণদের হাত ধরে বারবার জুলাই ফিরে আসবে।’
শনিবার ম্যানহাটনের নিউইয়র্ক মেরিয়ট মার্কুইসে ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশিজ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তাহের একই সফরে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক স্টেকহোল্ডারদের প্রতিনিধিত্বের বিষয়টিকে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি এজন্য খুবই আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে কৃতজ্ঞ।’তাহের প্রশ্ন রাখেন, ‘আমরা কি দেশের স্বার্থে কিছু বিষয়ে এক থাকতে পারি না?’
তিনি আরও বলেন, বিদেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীরা সফলতার স্বাক্ষর রাখছেন। ‘আমাদের সেই সক্ষমতা আছে। কিন্তু দেশে আস্থার সংকট, সেবাখাত থেকে শৃঙ্খলার অভাব এবং দুর্নীতি বড় সমস্যা। এসব যদি সমাধান করা যায়, তবে বাংলাদেশ ‘টাইগার’ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পাবে।’
দেশ পুনর্গঠনে প্রবাসীদের সক্রিয় অংশগ্রহনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
জামায়াত নেতা বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ যত বড়ই হোক না কেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপোষ হবে না।’তিনি আরও জানান, দলটি টেকসই গণতন্ত্র এবং একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও জনগণের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। তবে এ অংশগ্রহণের অর্থ আওয়ামী লীগের সঙ্গে নয়, বরং জনগণের বিপুল অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
তাহের বলেন, ‘আমরা জনগণের জন্য একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাই। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি সততা, সাম্য, মর্যাদা ও সমঅধিকারের ভিত্তিতে প্রতিবেশীসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
নারী-পুরুষ, সংখ্যাগরিষ্ঠ-সংখ্যালঘু নির্বিশেষে সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করা হবে এবং সব দল, মত ও ধর্মবিশ্বাসের মানুষের মধ্যে কোনো বৈষম্য থাকবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
৬৭ দিন আগে
জামায়াত আমিরের সঙ্গে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর বসুন্ধরায় জামায়াত আমিরের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয় বলে দলটির এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এসময় হুমা খানের সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির মানবাধিকার বিষয়ক জুনিয়র উপদেষ্টা ব্যারিস্টার তাজরিয়ান আকরাম খান।
সাক্ষাতের শুরুতেই হুমা খান জামায়াত আমিরের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন ও তার পূর্ণাঙ্গ সুস্থতা কামনা করেন। পরবর্তীতে আন্তরিক পরিবেশে উভয়পক্ষ পারস্পরিক মতবিনিময় করেন।
চলতি বছরের ২৯ জুলাই রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার আয়োজিত ‘জুলাই স্মরণ সভায়’ জামায়াত আমিরের দেওয়া বক্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মিস হুমা খান।
পড়ুন: জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত মিলার
আলোচনায় তারা বাংলাদেশে বিদ্যমান মানবাধিকার পরিস্থিতি, গুম-খুনের বিচারসহ সামগ্রিক বিষয় নিয়ে খোলামেলা মতবিনিময় করেন। হুমা খান জামায়াতের প্রস্তাবিত সংস্কার কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে জামায়াত আমির তাকে বিস্তারিত অবহিত করেন।
উল্লেখ্য, এসময় ডা. শফিকুর রহমান জাতিসংঘ প্রতিনিধিদলকে নিজের দলের উদ্যোগে ‘জুলাই শহীদদের’ স্মরণে প্রকাশিত ইংরেজি সংস্করণের ১২ খণ্ডের বই উপহার দেন।
দলটির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এবং ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম আরমান প্রমুখ।
৮৭ দিন আগে
সংস্কার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে পারে না: এটিএম আজহার
সংস্কার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও রংপুর-২ আসনের এমপি পদপ্রার্থী এটিএম আজহারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, গণহত্যাকারীদের বিচার ও দৃশ্যমান সংস্কারের আগে কোনো নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করলে জনগণ তা মেনে নেবে না। সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতাও পাবে না। অবিলম্বে সংবিধান সংশোধন করে তার আলোকে ভোট করতে হবে। বাহাত্তরের সংবিধান জারি রাখার জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধরা জীবন দেননি।’
গতকাল শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের পলিপাড়া ও পাকার মাথায় উপজেলা জামায়াত আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এটিএম আজহার বলেন, ‘জামায়াত সবাইকে আপন করে নিতে চায়। এই দলের নেতা-কর্মীরা সবার আপনজন। কিন্তু মানুষকে ভুল বুঝিয়ে জামায়াত থেকে দূরে রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত হচ্ছে একটি মহল। তার পরেও এই দলের নেতা-কর্মীরা মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকে।’
আওয়ামী লীগ সরকার ষড়যন্ত্র করে আল্লামা সাঈদীকে মেরে ফেলেছে দাবি করে এই জামায়াত নেতা বলেন, ‘জোর করে ভয়ভীতি দেখিয়ে বন্দুকের নলের সামনে পরিবারকে জিম্মি করে সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী নেওয়া হয়েছিল। এখন সবাই দেখছে সেই সাক্ষীরা প্রকাশ্যে নির্ভয়ে এসে সত্য কথাগুলো বলে দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে নির্বাচনী রোডম্যাপ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা: ডা. তাহের
ভোট সম্পর্কে এটিএম আজহার বলেন, ‘অন্য দলের নেতারা বিভিন্ন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, নানা ওয়াদা দিয়ে ভোট নেয়। কিন্তু ভোট পাওয়ার পর সেই নেতারা আর এলাকায় না এসে নিজেদের উন্নয়ন করে। কারণ তারা মানব রচিত সংবিধানের আলোকে পরিচালিত সংসদের শাসক। মানব উন্নয়ন করতে হলে অবশ্যই আল কোরআনের আইন প্রয়োগ করতে হবে, সৎ লোকদের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একটাই স্লোগান— আল্লাহর আইন চাই। সেটা প্রতিষ্ঠা করতে হলে সৎ লোককে ভোট দিতে হবে। সৎ লোকের মাধ্যমে প্রচলিত আইন পরিবর্তন করে জামায়াতের ছায়াতলে আসতে হবে। জামায়াতের ছায়ায় এলে অন্তত নামাজ পড়বেন, মিথ্যা বলবেন না, রোজা রাখবেন।’
পথসভায় মধুপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস মণ্ডলের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের আমির কামরুজ্জামান কবির, নায়েবে আমির শাহ রুস্তম আলী, সেক্রেটারি মাওলানা মিজানুর রহমান, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
৯০ দিন আগে