নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে ঝড়ো হাওয়া ও ঢেউয়ের তোড়ে যাত্রীবাহী একটি ট্রলারডুবিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আটজন। আর ৩১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) বিকাল ৩টার দিকে মেঘনা নদীর করিম বাজার সংলগ্ন ডুবারচরের এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রলারটি হাতিয়ার ভাসানচর থেকে ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একই উপজেলার আলীবাজার ঘাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অপারেশনস) মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, রাত ৯টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভাসানচর থানায় কর্মরত জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলামসহ (২৮) এখন ও ৮ জন নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৩১ জনকে।
উদ্ধারকৃতদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক মৃত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি। স্থানীয় জেলে ও পুলিশের পাশাপাশি উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে কোস্টগার্ড।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে পাহাড় ধস ও ট্রলারডুবিতে নিহত ১২, নিখোঁজ ৫ শতাধিক জেলে
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কুতুব উদ্দিন বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে জানান, আনুমানিক ২টার দিকে হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর ঘাট থেকে ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার হাতিয়ার আলীবাজার ঘাটের উদ্দেশে যাত্রা করে। ট্রলারটি ছেড়ে আসার পরে প্রায় ৮ কিলোমিটার চলার পর করিমবাজার সংলগ্ন মেঘনা নদীর ডুবারচর এলে ঝড়ো হাওয়া এবং ঢেউ এর তোড়ে পড়ে অল্প সময় এর মধ্যে ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় যাত্রীরা প্রাণ রক্ষায় চিৎকার করতে থাকে এবং পানিতে লাফিয়ে পড়ে।
তিনি জানান, ট্রলারটিতে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কয়েকজন রোগীকে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪ পুলিশ সদস্য নিয়ে যাচ্ছিল এছাড়া ভাসানচরে কর্মরত উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) কয়েকজন কর্মী এবং আনসার সদস্য ও স্থানীয় যাত্রী ছিল।
ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী হাতিয়ার জনতা বাজার পুলিশ ফাঁড়ির এস আই শহীদ উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই ফাঁড়ি থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে স্থানীয় জেলেদের নিয়ে নিমজ্জিত ট্রলারের যাত্রীদের উদ্ধার কাজ শুরু করে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবিতে ১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩