ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিজয় র্যালিতে অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে দাগনভূঞা পৌর শহরের জিরোপয়েন্টে এ হামলার ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে দাগনভূঞা উপজেলা ও পৌর বিএনপি গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে এ বিজয় র্যালির আয়োজন করে। শান্তিপূর্ণ র্যালিটি চৌমুহনী রোড থেকে দাগনভূঞা পৌর শহরের জিরো পয়েন্টে পৌঁছালো সেখানে পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা দলের অন্য একটি পক্ষ মিছিলে অতর্কিত হামলা করে নেতাকর্মীদের মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ও তাদের মারধর করে।
পড়ুন: জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগই হবে আগামী বাংলাদেশের নির্মাণরেখা: প্রধান উপদেষ্টা
এসময় পিছন থেকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও অতর্কিত হামলায় উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি জাহানারা বেগম, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইমুন হক রাজীব, সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম মানিক, ইঞ্জিনিয়ার সোহেল ও সরোয়ারসহ প্রায় ১২ জন নেতাকর্মী আহত হন।
দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেনের অভিযোগ, হামলায় অংশ নিয়েছেন পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুর রহমান স্বপন, আবুল হাশেম বাহাদুর ও ছাত্রদল থেকে বহিস্কৃত ফটিক। বিশৃঙ্খলা এড়াতে তাদের হামলার কোনো প্রতিবাদ না করিনি, বলেন তিনি।
আকবর আরও বলেন, আজকের বিজয় র্যালিতে হামলার ঘটনা একটি ষড়যন্ত্রের অংশ। বিএনপিকে সাধারণ মানুষের কাছে বিতর্কিত করতে এই ষড়যন্ত্রকারীরা আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে বিএনপির সাধারণ নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে। তাদের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবো না। এ ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে আমরা কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাই না। আমরা ধৈর্য্যধারণ করছি, আরও করে যাবো।
বিএনপির বিজয় র্যালিতে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুর রহমান স্বপন বলেন, আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে জিরোপয়েন্টে রক্তদান কর্মসূচি পালন করছি। এসময় তারা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় মিছিল থেকে তাদের কিছু নেতাকর্মী আমাদের কটাক্ষ করে মন্তব্য করে। তখন আমাদের সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে আমরা তা নিবৃত্ত করি। আমাদের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে এ অভিযোগটি সত্য নয়। বরং তাদের হামলায় আমাদের বেলাল, সিফাত, মিলনসহ ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, বিএনপির বিজয় র্যালিকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পুলিশ তাৎক্ষণিক তা নিবৃত্ত করে। এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।