চীনা শাসন ব্যবস্থাকে একটি অনন্য মডেল হিসেবে উল্লেখ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) নেতৃত্বে চীন দারিদ্র্য দূরীকরণসহ বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চীনা গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান বলেন, চীনে দরিদ্রতা নির্মূলে কমিউনিস্ট পার্টির চেষ্টা পুরোপুরি সফল হয়েছে।
ইমরান বলেন, 'আমি মনে করি যে কোনো মানব সভ্যতার জন্য এটা অন্যতম একটা অর্জন। আগে কোনো সমাজ এই লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছে বলে আমি মনে করি না।'
আরও পড়ুন: চীনকে দমন করতে চাইলে মাথা থেতলে দেয়া হবে: জিনপিং
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির শতবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী চীনা শাসন ব্যবস্থাকে অনন্য মডেল হিসেবে উল্লেখ করেন।
গত কয়েকবছরে কয়েকবার চীন সফর করা তেহরিক- ই- ইনসাফ পার্টির এই নেতা বলেন, দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের অংশ হিসেবে চীন যেভাবে মেধা যাচাই ও পরিচর্যা করছে সেটা তাকে খুব আকৃষ্ট করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে ইমরান বলেন, মানবসভ্যতা অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ এর সম্মুখীন হয়েছে। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
পাকিস্তান-চীন সম্পর্ক নিয়ে ইমরান বলেন, কূটনীতিক সম্পর্ক তৈরির পর থেকে কঠিন সময়ে দুই দেশ পরস্পর পরস্পরের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে আসছে। এই গভীর, শক্তিশালী সম্পর্ক শুধু দুই দেশের সরকারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং দুই দেশের জনগণের মধ্যেও বিদ্যমান।
তিনি বলেন, পাকিস্তান যখনি কোনো বিপদে পড়েছে চীন তখনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানের জনগণের মনে চীনের জনগণের জন্য বিশেষ এক জায়গা রয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবেলায় চীন দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকায় রাখার পাশাপাশি পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশকে টিকা দেয়ার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সহায়তা করেছে।
তিনি বলেন চীন টিকা দেওয়ার কারণে পাকিস্তান দেশব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে পেরেছে এবং আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীন বিশ্বস্ত অংশীদার: প্রধানমন্ত্রী
চীন- পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) প্রকল্পের আওতায় পাকিস্থানের বিদ্যুৎ ঘাটতি দূর এবং পরিবহন ব্যবস্থায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেন খান।
ভবিষ্যতে চীনের সাথে শিল্প, কৃষি এবং দক্ষতা উন্নয়নের ব্যাপারে একসাথে কাজ করবেন উল্লেখ করে ইমরান বলেন, সিপিইসি প্রকল্প আমাদের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপারে আশাবাদী করে তুলেছে।
বিশ্ব পরিস্থিতি যেমনই হউক চীনের সাথে রাজনীতি, অর্থনীতি এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নতিতে পাকিস্তান কাজ করে যাবে। চীন- পাকিস্তান সম্পর্ক অনেক শক্তিশালী বলেও মন্তব্য করেছেন ইমরান খান।