যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে বোমা হামলা, দোকান ভাঙচুর ও কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন তিনজন।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাগআঁচড়া বাজারে ময়ূরী সিনেমা হলের সামনে দু’দফায় সংঘর্ষ হয়।
প্রতাক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তির অনুসারী বাগআঁচড়ার ইসমাইলের ছেলে যুবদলের বহিষ্কৃত কর্মী মাসুদ ও সাতমাইল এলাকার কপিল উদ্দীনের ছেলে যুবদল কর্মী বাবর আলীর মধ্যে বিরোধ চলছিল।
মাটি বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে তাদের মধ্যে এই বিরোধ চলছিল। এর জেরে মাসুদের নেতৃত্বে বাবুকে বাগআঁচড়া বাজারে মারপিট করা হয়।
পরে বাবুর পক্ষের নেতাকর্মীরা খবর পেয়ে রাত ১২টার দিকে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে ময়ূরী সিনেমা হলের সামনে এসে মাসুদের বাবা ইসমাইলের দোকান ভাঙচুর করে। কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ ও কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলে যায়।
ওই ঘটনার সূত্র ধরে আজ শুক্রবার সকালে আবারও মোটরসাইকেল বহর নিয়ে মাসুদের বাড়িতে হামলা চালায় তারা।
এসময় তারা কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় এবং চাইনিজ কুড়াল দিয়ে দুটি মোটরসাইকেল কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
বাবু জানান, বুধবার রাতে মাসুদ তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাকে মারধর করে ২০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
পরে ঘটনাটি তাদের নেতাকর্মীদের জানালে তারা মাসুদের বাড়ির সামনে গিয়েছিলেন রাতে ও সকালে তারা (মাসুদেরা) নিজেরা বোমা মেরে ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে তাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
মাসুদ জানায়, বাবুর পক্ষের নেতাকর্মীরা রাত ১২টার দিকে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে ময়ূরী সিনেমা হলের সামনে এসে আমার বাবা ইসমাইলের দোকান ভাঙচুর করেছে। কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ ও কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলে যায়।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমির আব্বাস জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কোনো অভিযোগ বা মামলা হলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।