বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি কমলেও প্রথম ৬ মাসে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে ১৬ শতাংশের বেশি।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে আমদানিতে। এর ফলে কমেছে বাণিজ্যের গতি। তবুও রাজস্ব আদায়ের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে বেনাপোল কাস্টম হাউস।
চলতি অর্থবছরে এই স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় এবার ৭৫৭ কোটি টাকা বেশি আদায়ের লক্ষ্য রয়েছে।
সূত্র জানায়, যদিও এ সময়ে স্থলবন্দরটি দিয়ে আগের তুলনায় আমদানি ৬ শতাংশ কমেছে, তা সত্ত্বেও এই অর্জনের মধ্য দিয়ে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। একই সঙ্গে পৌঁছে গেছে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার দ্বারপ্রান্তে। এই সময় (জুলাই-ডিসেম্বর) ৩ হাজার ২২৫ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি, যা বছর জুড়ে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার প্রায় অর্ধেক।
আরও পড়ুন: দুইদিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি শুরু
বেনাপোলে বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন বলেন, ‘বৈশ্বিক মন্দা, ডলারের বিনিময় হারে ঊর্ধ্বগতি আর সংকটের কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গত কয়েক বছর ধরে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খোলার সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। এতে আমদানি কমায় বছরের শুরুতে রাজস্ব ঘাটতি ছিল প্রায় দ্বিগুণ। তবে বছরের শেষে উচ্চ শুল্কহারে পণ্য আমদানি বেশি হওয়ায় কাস্টম হাউসের রাজস্ব আদায় বেশি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য সহজ করতে বেনাপোল বন্দরের শূন্য রেখায় ৪১ একর জমিতে চালু হয়েছে কার্গোভেহিকেল টার্মিনাল, যা বন্দরের সক্ষমতা বাড়িয়েছে। এই টার্মিনাল চালুর ফলে বাণিজ্য সম্প্রসারণের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা ভবিষ্যতে আমদানি ও রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা পালন করবে।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘বছরজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা আর ব্যাংকে তারল্য সংকটে আমদানি কমলেও ডলারের বাড়তি দাম ও কাস্টমসের নানা পদক্ষেপে রাজস্ব থেকে আয় বেড়েছে। আমদানি কিছুটা কমলেও রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ১৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ হয়েছে। সবার সহযোগিতায় রাজস্ব আয়ে সফলতা এসেছে।’