রাজবাড়ীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে আমজাদ খান (৬০) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৭ জুলাই) রাতে সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের মুচিদহ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে আমজাদের লাশ দাফন সম্পন্ন হয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।
পুলিশ জানায়, পূর্বের বিরোধের জেরে বুধবার সন্ধ্যায় (২৩ জুলাই) আমজাদকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে প্রতিপক্ষ। পরদিন (বৃহস্পতিবার) বিকালে তার ভাই আরিফুল আলম খান বাদী হয়ে ১৫ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন। পুলিশ ওইদিন রাতেই সোহেল মণ্ডল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
স্থানীয়রা জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বুধবার বিকালে বাড়ির সামনে স্থানীয় সোহেল ও সবুজদের সঙ্গে আমজাদ খানদের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মারামারি বেধে যায় এবং সোহেল মণ্ডলদের লোকজন বেশি মার খায়। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় আমজাদ খান বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় গেলে সোহেল ও সবুজদের লোকজন তার পথরোধ করে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিলের কোটি টাকা আত্মসাৎকারী রাজবাড়ীর সেই মিটার রিডারম্যান গ্রেপ্তার
আরিফুল আলম খান জানান, ‘আমজাদকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
তিনি আরও জানান, অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে শুক্রবার (২৫ জুলাই) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়। অবস্থার আবার অবনতি হলে শুক্রবার ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেলে মারা যান আমজাদ।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, পূর্বের বিরোধ কেন্দ্র করে কৃষক আমজাদ খানকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ, এরপর তিনি মারা যান। মামলাটিতে ৩০২ ধারা যুক্ত করে রবিবার প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে সোহেল মণ্ডল নামের একজনকে ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।