সিলেটে ছাত্রলীগের এক নেতা ও তার সহযোগীদের ধারালো অস্ত্রের হামলায় গুরুতর আহতন হয়েছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব আজিজুল হোসেন আজিজসহ ৫জন। তাদের ওপর দুদফা হামলা চালানো হয়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাত পৌনে ৮টার দিকে নগরীর ল’ কলেজ সংলগ্ন এলাকায় প্রথম দফা ও পরবর্তীতে মধ্যরাতে মাছিম এলাকায় দ্বিতীয় দফা এই হামলার ঘটনা ঘটে।
সিলেট নগরীর উপশহরে ল' কলেজের সামনে গাড়ি পার্কিং নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকর্মীদের দুই দফা পিটিয়েছে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
দুই দফা হামলার ঘটনায় সিলেট জেলা স্বেচ্ছোসেবক দলের সাবেক সদস্যসচিব আজিজুল হক আজিজসহ চার কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন। এ সময় ৩১টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
আরও পড়ুন: নড়াইলে দুইপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো সিলেট জেলা স্বেচ্ছোসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব আজিজুল হক আজিজের অনুসারীরা ল কলেজ এলাকায় আড্ডা দিতে জড়ো হন। সেই সময় তাদের আড্ডাস্থলে গাড়ি পার্কিং করে রাখেন স্থানীয় মাছিমপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হান্নানের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী অপু। এরপর আজিজের কর্মী সমর্থক ও অপর পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি মীমাংসা করতে ঘটনাস্থলে আসে আজীজুল হক আজিজ। তিনি উভয় পক্ষকে শান্ত করতে দু’দিকে ঠেলে দিতে চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের অপু, মঞ্জু, দিপু, মুজিব ও অপিসহ তাদের সহযোগিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আজিজের মাথায় আঘাত করেন। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আজিজ মারাত্মকভাবে আহত হলে তাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে আজিজুল হক আজিজের অনুসারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তারা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের খুঁজতে মাছিমপুর এলাকায় যান। এসময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এতে স্বেচ্ছাসেবকদলের আরও ৪ জন আহত হন।
দ্বিতীয় দফা হামলার পর সিলেটের বিভিন্ন ইউনিটের বিএনপির নেতাকর্মীরা মধ্যরাতে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলার চেষ্টা করলে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে মাছিমপুর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, চায়ের দোকানে বসা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্রলীগ নেতা দীপুর বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে আগে থেকেই পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে তীর, জুয়া খেলা ও মাদক কেনাবেচায় আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।