স্বেচ্ছাসেবক দল
নয়াপল্টনে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠনের যুব সমাবেশ বুধবার
বিএনপির তিনটি অঙ্গসংগঠন—যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল—আগামী বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বড় ধরনের যুব সমাবেশ আয়োজন করতে যাচ্ছে। এতে অন্তত ১৫ লাখ তরুণ অংশ নেবেন বলে দাবি করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী।
তিনি বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রামের সমাবেশে তরুণদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। খুলনা ও বগুড়াতেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। ঢাকায় আমরা আশা করছি অন্তত ১৫ লাখ তরুণ অংশ নেবেন, যা পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে দেবে।’
তিনি জানান, ‘ঢাকা, সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ থেকে তরুণরা সমাবেশে যোগ দেবেন।’
জিলানী বলেন, ‘তরুণরা ১৭ বছর ধরে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। এই সমাবেশে তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি তুলবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারেক রহমানের নেতৃত্বে চলমান আন্দোলনে তরুণদের অংশগ্রহণ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।’আরও পড়ুন: নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে আশ্বাস পায়নি বিএনপি
১০টি বিভাগ থেকে তরুণদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে গত ২৮ এপ্রিল চারটি সেমিনার ও চারটি যুব সমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপির এই তিন অঙ্গসংগঠন। এই কর্মসূচির শুরু হয় ৯ মে চট্টগ্রামে। এরপর খুলনা ও বগুড়ায় সমাবেশ হয়। শেষ সমাবেশটি হবে ২৮ মে (বুধবার) ঢাকায়।
ঢাকার সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে দলের রাজনৈতিক রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ কৌশল উপস্থাপন করবেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদও সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুনা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি জানান, ‘এই দুই দিনের কর্মসূচি তরুণ প্রজন্মকে ঘিরেই তৈরি করা হয়েছে।’
তিনি জানান, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে ‘তরুণদের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি সেমিনার। এতে ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহের তরুণ প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। বুধবার হবে ‘তরুণদের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার’ সমাবেশ।
১৯২ দিন আগে
সিলেটে ছাত্রলীগের হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাসহ আহত ৫
সিলেটে ছাত্রলীগের এক নেতা ও তার সহযোগীদের ধারালো অস্ত্রের হামলায় গুরুতর আহতন হয়েছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব আজিজুল হোসেন আজিজসহ ৫জন। তাদের ওপর দুদফা হামলা চালানো হয়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাত পৌনে ৮টার দিকে নগরীর ল’ কলেজ সংলগ্ন এলাকায় প্রথম দফা ও পরবর্তীতে মধ্যরাতে মাছিম এলাকায় দ্বিতীয় দফা এই হামলার ঘটনা ঘটে।
সিলেট নগরীর উপশহরে ল' কলেজের সামনে গাড়ি পার্কিং নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকর্মীদের দুই দফা পিটিয়েছে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
দুই দফা হামলার ঘটনায় সিলেট জেলা স্বেচ্ছোসেবক দলের সাবেক সদস্যসচিব আজিজুল হক আজিজসহ চার কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন। এ সময় ৩১টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
আরও পড়ুন: নড়াইলে দুইপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো সিলেট জেলা স্বেচ্ছোসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব আজিজুল হক আজিজের অনুসারীরা ল কলেজ এলাকায় আড্ডা দিতে জড়ো হন। সেই সময় তাদের আড্ডাস্থলে গাড়ি পার্কিং করে রাখেন স্থানীয় মাছিমপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হান্নানের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী অপু। এরপর আজিজের কর্মী সমর্থক ও অপর পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি মীমাংসা করতে ঘটনাস্থলে আসে আজীজুল হক আজিজ। তিনি উভয় পক্ষকে শান্ত করতে দু’দিকে ঠেলে দিতে চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের অপু, মঞ্জু, দিপু, মুজিব ও অপিসহ তাদের সহযোগিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আজিজের মাথায় আঘাত করেন। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আজিজ মারাত্মকভাবে আহত হলে তাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে আজিজুল হক আজিজের অনুসারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তারা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের খুঁজতে মাছিমপুর এলাকায় যান। এসময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এতে স্বেচ্ছাসেবকদলের আরও ৪ জন আহত হন।
দ্বিতীয় দফা হামলার পর সিলেটের বিভিন্ন ইউনিটের বিএনপির নেতাকর্মীরা মধ্যরাতে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলার চেষ্টা করলে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে মাছিমপুর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, চায়ের দোকানে বসা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্রলীগ নেতা দীপুর বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে আগে থেকেই পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে তীর, জুয়া খেলা ও মাদক কেনাবেচায় আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
২৩৭ দিন আগে
ফতুল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে গুলি করে হত্যা
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মামুন হোসাইন নামের স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার পূর্ব লালপুর এলাকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম।
নিহত মামুন হোসাইন ওই এলাকার প্রয়াত সমন আলীর ছেলে। ৪০ বছর বয়সী মামুন ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। লালপুর এলাকায় রড, সিমেন্ট, বালুর ব্যবসা ছিল তার।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ভোরে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশ বলছে, সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনার সঙ্গে জড়িত হুডি-জ্যাকেট পরা দুই যুবককে দেখা গেছে। তাদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে।
নিহত মামুনের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে ওসি শরীফুল জানান, গতকাল (বৃহস্পতিবার) গভীর রাত পর্যন্ত বাসার অদূরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলেন মামুন হোসাইন। কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর অজ্ঞাত কেউ তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই তাকে গুলি করার খবর পান স্বজনরা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বড় ভাই আমজাদ হোসেন বলেন, ‘রাতে ফিরে ভোরের দিকে মামুন বাসায় ঘুমাচ্ছিল। তাকে ঘুম থেকে তুলে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। কারা তাকে ডেকে নিয়ে গেছে, সেটা এখনও জানতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘মামুনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে আজাদ নামে এক ছেলে ঘুমায়। গুলির শব্দ শুনে সে বেরিয়ে এলে মামুনের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে সে।’
স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার পরিবারের সঙ্গে মামুনের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল। হত্যাকাণ্ডের পেছনে ওই দ্বন্দ্ব কাজ করতে পারে বলে ধারণা নিহতের ভাইয়ের।
পুলিশ কর্মকর্তা শরীফুল বলেন, ‘হত্যার কারণ সম্পর্কে এখনও সুনির্দিষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে, হুডি-জ্যাকেট পরা দুই ব্যক্তি সিসিটিভি ফুটেজে স্পটেড হয়েছেন। তাদের শনাক্ত করতে কাজ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হবে বলে।’
৩০০ দিন আগে
রামপুরা ব্রিজের কাছে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধা
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের কাছে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল আটকে দিয়েছে পুলিশ।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে তাদের আটকে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নয়াপল্টন থেকে বেরিয়ে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে মিছিলটি রামপুরা ব্রিজে পৌঁছালে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করে। এ সময় তিন সংগঠনের নেতাদের সহযোগিতা করার আহ্বানও জানায় পুলিশ।
পরে আন্দোলনকারীদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে স্মারকলিপি দিতে ভারতীয় হাইকমিশনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন-জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাছির।
এর আগে আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার প্রতিবাদে রবিবার সকালে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে রোডমার্চ শুরু করে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকে দেওয়ার ভারতীয় ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এই কর্মসূচি আয়োজন করে। বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করেন বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল
পদযাত্রা শুরুর আগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও তিন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। এতে ভারতের ক্ষমতাসীন দল ও গণমাধ্যম মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণার মাধ্যমে বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে অভিযোগে করে তার নিন্দা জানান তারা।
রিজভী অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বর্তমানে যা করছে তা সরাসরি আগ্রাসন ছাড়া আর কিছুই নয়।
প্রতিবাদ মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা (ভারত সরকার) বাংলাদেশের মানুষকে পছন্দ করেন না। আপনারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন।’
রিজভী দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ দিল্লির আধিপত্য প্রতিহত করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি আকাশ থেকে সমুদ্র থেকে স্থল পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রাখতে কীভাবে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হয়। আমাদের স্মার্ট সামরিক বাহিনীতে যোগ্য সদস্য রয়েছে।’
সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে দেখা গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ছোট ছোট মিছিল আসতে দেখা গেছে। তারা ভারতীয় আধিপত্যবাদী মনোভাবের বিরুদ্ধে স্লোগান সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেন। বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগানও দেন।
বাংলাদেশবিরোধী ঘটনা এবং ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যমের মন্তব্যের প্রতিবাদে ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি প্রদানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কথা ছিল।
এর আগে শনিবার বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন এই বিক্ষোভ মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন: ভারত কুটনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে: দুলু
৩৬১ দিন আগে
স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হত্যায় ফজলুল করিমসহ ১৬১৮ জনকে আসামি করে মামলা
গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা শওকত আলী দিদার হত্যার ঘটনায় ১৬১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে ১১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং বাকি সবাই অজ্ঞাত আসামি।
নিহত শওকত আলী দিদারের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা মামলায় জামিন পেলেও কারামুক্তি মিলছে না সাবেক বিচারপতি মানিকের
এই মামলায় গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক নারী সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম, সাবেক বেসরকারি বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের মেয়ে কানতারা খানসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ১১৮ জনের নাম রয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। সন্দেহভাজন হিসেবে ১২ জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছি। মামলাটি রাজনৈতিক হত্যা মামলা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার মামলায় বাদী তার অভিযোগে লিখেছেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী গাড়িবহর নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছিলেন।
এস এম জিলানীর সঙ্গে টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার পথে তার স্বামীর গাড়িবহর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাথালিয়া গ্রামের দোলা পেট্রোল পাম্পের সামনে পৌঁছালে একদল আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে গাড়ি বহরে হামলা চালায়।
এ সময় বহরে একটি গাড়িতে থাকা তার স্বামী শওকত আলী দিদারকে আসামিরা গাড়ি থেকে নামিয়ে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে মহাসড়কের পাশে রাস্তার পাশে ঢালে ফেলে রেখে যায়।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁয়ে শেখ হাসিনা-শেখ রেহানাসহ ২৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
৪৪৩ দিন আগে
বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ককে কুপিয়ে হত্যা
বগুড়ায় সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার গোকুল ইউনিয়ন পরিষদ অফিসের সামনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত মিজানুর রহমান (৪০) জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল বগুড়া সদর উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন।
কারা কী কারণে তাকে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার রাতে গোকুল এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদের সামনে গল্প করছিলেন মিজানুর। লোডশেডিং চলাকালে রাত ৯টার দিকে একদল লোক তাকে কুপিয়ে চলে যায়। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বেচ্ছাসেবক দলের বগুড়া জেলা কমিটির সদস্য সচিব আবু হাসান জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মিজানুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে। আধিপত্য নিয়ে বিরোধের কারণে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।
হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়েছেন জানিয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) স্নিগ্ধ আখতার বলেন, এ ঘটনা তদন্ত করছেন তারা।
৪৫১ দিন আগে
বরিশালে বিএনপির সমাবেশে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষ
বরিশালে বিএনপির সমাবেশের মঞ্চের সামনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কিছুক্ষণ এই সংঘর্ষ চলার পর বিএনপির সিনিয়র নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বুধবার দুপুরে নগরীর অশ্বিনী কুমার হল সংলগ্ন বিএনপির সমাবেশস্থলে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঞ্চের সামনে দাড়ানোকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী তপু কাজীর সাথে জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি সবুজ আকনের দ্বন্দ হয়। এই নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই জনের সমর্থক হাতাহাতিতে জড়ায় এরপর তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে। পরে বিএনপির সিনিয়র নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষের বিষয়ে বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদ বলেন, চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে কর্মী পর্যায়ের লোকজনের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। পরে তাদের শান্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে আহত ১২, আটক ২০
ফরিদপুরে বিএনপির ১১৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
১০৪৪ দিন আগে
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ২৪, আটক ১০
চট্টগ্রামে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ৪ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে আনন্দ মিছিল বের করলে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে বুধবার (২৭ অক্টোবর) বিকালে নগরীর কাজীর দেউড়ির নাসিমন ভবনে বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে নূর আহমেদ সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে বাসের ধাক্কা, নিহত ২
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আহ্বায়ক কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের করেছিলাম। এ সময় পুলিশ গুলি-টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। আমাদের ওপর বিনা কারণে পুলিশ গুলি-টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। আমাদের সদস্যসচিব জমির উদ্দীন মানিকসহ ২০ থেকে ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তারা নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমাদের আহ্বায়ক মনজুর আলম তালুকদারসহ একাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সিএমপির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির জানান, নেভাল মোড়ে হঠাৎ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মিছিল শুরু করে। এসময় পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বললে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। পরে পুলিশ দক্ষিণ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মঞ্জুর আলম তালুকদারসহ ১০ জনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: মধুপুরে ট্রাকে মাইক্রোর ধাক্কা, ধর্ষণ মামলার আসামিসহ দুই পুলিশ নিহত
শরীয়তপুরে ব্রিজের সঙ্গে লঞ্চের ধাক্কায় নিহত ৩
১১৩৫ দিন আগে
স্বেচ্ছাসেবক দলের আংশিক কমিটি ঘোষণা
আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে দল ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে ঢেলে সাজানোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে রবিবার স্বেচ্ছাসেবক দলের পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
রবিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে এস এম জিলানীকে সভাপতি ও রাজীব আহসানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি: নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কারাগারে
জিলানী স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার সাবেক সভাপতি এবং রাজীব বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) সাবেক সভাপতি ছিলেন।
এছাড়া সংগঠনের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলীকে সহসভাপতি এবং সাইফুল ইসলাম ফিরোজকে ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক জেসিডি সভাপতি নাজমুল হাসানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত: ভোলা থানার ওসিসহ ৩৬ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি ইউনিটের আংশিক কমিটিও ঘোষণা করেছে বিএনপি।
শফিউদ্দিন সেন্টুকে স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার সভাপতি, জাকির হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক এবং ওমর ফারুককে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে স্বেচ্ছাসেবক দল ও পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, আহত ২০
এছাড়া আনোয়ার হোসেনকে ঢাকা উত্তর সিটি শাখার সভাপতি, আজিজুর রহমান মোসাব্বিরকে সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদ হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।
১১৮৭ দিন আগে
স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত: ভোলা থানার ওসিসহ ৩৬ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
ভোলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংর্ঘষে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম নিহত হওয়ার ঘটনায় ভোলা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আরমান হোসেনকে প্রধান আসামি করে ৩৬ জন পুলিশের নামে আদালতে হত্যা মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আলী হায়দারের আদালতে নিহত আব্দুর রহিমের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে এই হত্যা মামলা করেন।
মামলার আইনজীবী আমিরুল ইসলাম বাছেত মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম নিহত হওয়ার ঘটনায় করা হত্যা মামলায় উল্লেখ করা হয়, ৩১ জুলাই কেন্দ্রীয় বিএনপি কর্মসূচী তেল,গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও লোডশেডিং এর প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহিম ওসি (তদন্ত) আরমান হোসেনের গুলিতে নিহত হয়। এ ঘটনায় ৩০২ এবং ৩৪ ধারায় নিহতের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে আদালতে ওসি (তদন্ত) আরমান হোসেনসহ ৩৬ জনের নামে হত্যা মামলা করেছেন।
এ ব্যাপারে ভোলা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আরমান হোসেন জানান, তিনি এখনো মামলা বিষয় জানেন না। তিনি বলেন, ‘আমরা ঘটনার দিন সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছি। আমরা কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে যাইনি। তারা বেআইনী সাবেশ করেছে। ইটপাটকেল ছুঁড়ে মেরেছে। আগুন লাগাতে গেছে। বিএনপির লোকজন ইটপাটকেল ছুঁড়েছে। আমাদের পুলিশকে গুলি করেছে। পুলিশ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ: ঢাকায় ছাত্রদল নেতার মৃত্যু
ছাত্রদল নেতার মৃত্যু: ভোলায় চলছে বিএনপির হরতাল
১২১৮ দিন আগে