নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মামুন হোসাইন নামের স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার পূর্ব লালপুর এলাকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম।
নিহত মামুন হোসাইন ওই এলাকার প্রয়াত সমন আলীর ছেলে। ৪০ বছর বয়সী মামুন ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। লালপুর এলাকায় রড, সিমেন্ট, বালুর ব্যবসা ছিল তার।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ভোরে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশ বলছে, সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনার সঙ্গে জড়িত হুডি-জ্যাকেট পরা দুই যুবককে দেখা গেছে। তাদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে।
নিহত মামুনের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে ওসি শরীফুল জানান, গতকাল (বৃহস্পতিবার) গভীর রাত পর্যন্ত বাসার অদূরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলেন মামুন হোসাইন। কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর অজ্ঞাত কেউ তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই তাকে গুলি করার খবর পান স্বজনরা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বড় ভাই আমজাদ হোসেন বলেন, ‘রাতে ফিরে ভোরের দিকে মামুন বাসায় ঘুমাচ্ছিল। তাকে ঘুম থেকে তুলে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। কারা তাকে ডেকে নিয়ে গেছে, সেটা এখনও জানতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘মামুনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে আজাদ নামে এক ছেলে ঘুমায়। গুলির শব্দ শুনে সে বেরিয়ে এলে মামুনের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে সে।’
স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার পরিবারের সঙ্গে মামুনের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল। হত্যাকাণ্ডের পেছনে ওই দ্বন্দ্ব কাজ করতে পারে বলে ধারণা নিহতের ভাইয়ের।
পুলিশ কর্মকর্তা শরীফুল বলেন, ‘হত্যার কারণ সম্পর্কে এখনও সুনির্দিষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে, হুডি-জ্যাকেট পরা দুই ব্যক্তি সিসিটিভি ফুটেজে স্পটেড হয়েছেন। তাদের শনাক্ত করতে কাজ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হবে বলে।’