ফিলিস্তিনি
উত্তর গাজায় সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের হত্যার নিন্দা জাতিসংঘ প্রধানের
উত্তর গাজায় সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা ১০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানান জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক।
উত্তর গাজায় হামলার নিন্দা জানিয়ে দুজারিক বলেন, ‘গাজার উত্তরাঞ্চলের হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন মহাসচিব, যেখানে জীবন রক্ষা করার জন্য সাহায্য চাইতে গিয়ে ১০০ জনেরও বেশি লোক নিহত বা আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। গাজার আহত বেসামরিক নাগরিকদের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন, যার মধ্যে অবরুদ্ধ উত্তরাঞ্চলের লোকজনও রয়েছে। সেখানে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ত্রাণ সরবরাহ করতে পারেনি জাতিসংঘ।’
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকার পশ্চিমে সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলিবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ১০৪ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়। আহত হয় ৭৬০ জনেরও বেশি।
আরও পড়ুন: উপহার-অনুগ্রহ নয়, রাষ্ট্রকে একটি আন্তর্জাতিক আইনি অধিকার মনে করে ফিলিস্তিনিরা
ইসরায়েলি বাহিনীর এক মুখপাত্র দাবি করেন, ভোরে গাজা উপত্যকায় প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা ট্রাকগুলোতে আক্রমণ করে লুটপাট চালায় গাজাবাসীরা। এ সময় আত্মরক্ষা করতে গুলি চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
জাতিসংঘের কেউ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না জানিয়ে দুজারিক বলেন, ঘটনার তদন্ত করে জবাবদিহির ব্যবস্থা করা হবে।
জাতিসংঘের মহাসচিব অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি এবং সমস্ত জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন জানিয়ে মুখপাত্র বলেন, গুতেরেস আবারও জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যাতে গুরুত্বপূর্ণ মানবিক সহায়তা গাজায় সবার কাছে পৌঁছাতে পারে।
গাজা সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজারেরও বেশি মৃত্যু এবং ৭০ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। মৃত্যুর এই মর্মান্তিক সংখ্যা দেখে গুতেরেস আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বলে জানান দুজারিক। এছাড়াও ধ্বংসস্তূপের নিচেও অনেকে আটকে আছেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭০
ন্যাম সম্মেলন: ফিলিস্তিনিদের সমর্থন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং বিশ্বব্যাপী শান্তির সংস্কৃতি সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) উগান্ডার কাম্পালায় ১৯তম ন্যাম সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
১৯তম ন্যাম সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে ন্যাম সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যের কথা উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর শান্তি, উন্নয়ন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার কাজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহস ও দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
মাহমুদ ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অকুণ্ঠ সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং তাদের বিচার দাবি করেন।
তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর ও সমর্থন করতে সব ধরনের চেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ন্যাম ও সাউথ সামিটে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে উগান্ডায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দ্বিগুণ প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান।
শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তুলতে গঠনমূলক ও সংঘাতহীন সংলাপ পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
শুক্রবার উগান্ডার রাষ্ট্রপতি ইয়োয়েরি মুসেভেনি আন্দোলনের নতুন সভাপতি হিসেবে শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। দুই দিন আলোচনার পর 'কাম্পালা ঘোষণা' ও ফিলিস্তিনের বিষয়ে একটি ঘোষণা গৃহীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সোয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।
তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও জাতিসংঘে দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে সম্মেলন ও বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন।
ফিলিস্তিনি শিশুদের রক্ষায় জাতিসংঘ মহাসচিবকে সুপ্রিম কোর্টের চাইল্ড রাইটস কমিটির চিঠি
ফিলিস্তিনি শিশুদের রক্ষায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে চিঠি পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের চাইল্ড রাইটস কমিটি।
কমিটির সভাপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের স্বাক্ষরে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নিম্ন আদালতে কালো কোট-গাউন পরার আবশ্যকতা নেই: সুপ্রিম কোর্ট
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় শিশুদের নিরাপত্তা প্রদানে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১৪ জানুয়ারি জাতিসংঘ মহাসচিবকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট চাইল্ড রাইটস কমিটি চিঠি পাঠিয়েছে। প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা অনুযায়ী এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, চিঠিতে ফিলিস্তিনের গাজার সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে জাতিসংঘের শিশু অধিকার কনভেনশনের (ইউএনসিআরসি) অনুচ্ছেদ ৩৮ (১) ও (৪) এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের ফলে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট চাইল্ড রাইটস কমিটি।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধের রায় কঠোরভাবে অনুসরণের নির্দেশ
শিশুদের জীবন ও সামগ্রিক কল্যাণের জন্য, শিশুদের বিরুদ্ধে সব ধরনের সহিংসতার অবসান, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কার্যকর কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের সূচনা, শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা প্রদান এবং যথাযথ আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা প্রয়োগসহ দ্রুত ও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছে।
বিশ্বের সব শিশুর আনন্দ ও সমৃদ্ধি নিশ্চিতকরণে যেহেতু আমাদের সমষ্টিগত নৈতিক দায়বদ্ধতা রয়েছে, সেহেতু বিশ্বের শিশুদের প্রতিপালন ও উন্নতি বিধানকল্পে জাতিসংঘের সব উদ্যোগে সমর্থন ও অবদান রাখতে সুপ্রিম কোর্টের চাইল্ড রাইটস কমিটি বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুর: ২৫ আইনজীবীর আগাম জামিন
সুপ্রিম কোর্ট চাইল্ড রাইটস কমিটির সদস্য বিচারপতিরা হলেন— বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী।
এই বড়দিনে ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি: মোমেন
বড়দিনকে উদযাপন, প্রতিফলন ও ঐক্যের সময় হিসেবে বর্ণনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এই উদযাপন ভালোবাসা, সহানুভূতি ও ঐক্যের সার্বজনীন মূল্যবোধের স্মারক হিসেবে কাজ করে, যা মানুষকে একত্রিত করে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘বড়দিন প্রেম ও উপলব্ধির চেতনায় বিভিন্ন পটভূমির মানুষদের একত্রিত করে। বিশ্বজুড়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে আমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানানোর সময় আমাদেরকে এই উৎসবের সময়ে শান্তি ও সহানুভূতির তাৎপর্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।’
এই অনুষ্ঠানের তাৎপর্য উপলব্ধি করে মোমেন বলেন, ফিলিস্তিনে খ্রিস্টানরা যে মর্মস্পর্শী বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে তা উপেক্ষা করা যায় না।
আরও পড়ুন: সিলেটের সব আসনেই জয়ী হবে আওয়ামী লীগ: মোমেন
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২২ সালের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে- পশ্চিম তীর, জেরুজালেম এবং গাজায় আনুমানিক ৫০ হাজার খ্রিস্টান ফিলিস্তিনি বাস করেন।
মোমেন বলেন, ‘এই বড়দিনে আমরা ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানরা যেসব অনন্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন তার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। আমরা আমাদের গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করছি।’
তিনি বলেন, ‘যীশু খ্রীস্টের জন্মকে স্মরণ করার সময় আসুন আমরা তার প্রেম ও সহানুভূতির শিক্ষা থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করি। বড়দিনের চেতনা আমাদের এমন একটি বিশ্বের দিকে পরিচালিত করুক যেখানে বোঝাপড়া ও একতা বিরাজ করে।’
মোমেন উল্লেখ করেন, ‘প্রতিকূলতার মধ্যেও আশার আলো আমাদের পথকে আলোকিত করুক এবং ইতিবাচক পরিবর্তনকে উৎসাহিত করুক। অভাবগ্রস্তদের কাছে পৌঁছাতে, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে ও আশার বীজ বপন করতে বড়দিনের চেতনা আমাদের অনুপ্রাণিত করুক।’
আরও পড়ুন: জ্বালাও-পোড়াও-হত্যা কোনো সুষ্ঠু রাজনীতি নয়: ড. মোমেন
যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ৩ যুবককে গুলি
যুক্তরাষ্ট্রের বার্লিংটনে শনিবার ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত তিন যুবককে গুলি করা হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘৃণা থেকে হামলাটি করা হতে পারে। পুলিশ সন্দেহভাজনকে খুঁজছে।
রবিবার বার্লিংটন পুলিশ প্রধান জন মুরাদ বলেছেন, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ইউভিএম ক্যাম্পাসের কাছে হামলা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা স্থিতিশীল এবং একজন ‘গুরুতর জখম’ হয়েছেন। ভুক্তভোগী তিনজন এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে হাঁটছিলেন, তখন তারা হ্যান্ডগান হাতে একজন শ্বেতাঙ্গের মুখোমুখি হন।
মুরাদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, ‘কোনো কথা না বলে অভিযুক্ত পিস্তল থেকে কমপক্ষে চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে এবং পালিয়ে যায়।’
মুরাদ বলেন, তিনজনই ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। এদের মধ্যে দুইজন মার্কিন নাগরিক এবং একজন যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের টেক ইউনিভার্সিটিতে ছুরিকাঘাতে আহত ৪, সন্দেহভাজন আটক
এর আগে রবিবার, আমেরিকান-আরব বৈষম্য বিরোধী কমিটি একটি বিবৃতিতে জানায়, নিহতরা ফিলিস্তিনি আমেরিকান কলেজছাত্র এবং ‘ধারণা করা হচ্ছে ভুক্তভোগীরা আরব ছিল বলেই তাদের উপর গুলি চালানো হয়েছে।’
এফবিআই বলেছে, তারা গুলির বিষয়ে অবগত।
নিউইয়র্কের আলবানিতে অবস্থিত এফবিআই মুখপাত্র সারাহ রুয়ান এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যদি তদন্তে ফেডারেল আইন লঙ্ঘনের কোনো তথ্য পাওয়া যায়, এফবিআই তদন্ত করার জন্য প্রস্তুত।’
হোয়াইট হাউস বলেছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গুলির ঘটনা সম্পর্কে জানেন। আইন প্রয়োগকারীরা আরও তথ্য সংগ্রহ করার সঙ্গে সঙ্গে তাকে আপডেট জানানো হবে।
কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস এক বিবৃতিতে গুলি চালানোর জন্য দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার বা দোষী সাব্যস্ত করার ব্যাপারে কেউ কোনো তথ্য দিতে পারলে ১০ হাজার ডলার পুরস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের পক্ষ থেকে দ্য ইনস্টিটিউট ফর মিডল ইস্ট আন্ডারস্ট্যান্ডিং এক্সে (পূর্বে টুইটার) একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমরা আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা ও সুস্থতার বিষয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।’
তারা আরও জানায়, ‘আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে এটিকে ঘৃণামূলক অপরাধ হিসেবে বিবেচনাসহ একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার আহ্বান জানাই। গুলিকারীকে বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত আমরা স্বস্তিতে থাকব না।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের মেইন রাজ্যে গুলিতে নিহত ১৬
যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছর ৪৭০টি নির্বিচারে গুলির ঘটনা ঘটেছে
ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিশ্ব নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফিলিস্তিনে চলমান সংঘাতের অবসানের দাবিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এখনই সময়।
তিনি বলেন, ‘আমি নির্মম হত্যাযজ্ঞের মুখে অসহায় ফিলিস্তিনিদের মর্মান্তিক, অমানবিক অস্তিত্বের প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমাদের সকলের এক বিশ্ব হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং সংঘাতের অবসানের দাবি জানানোর সময় এসেছে।’
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ভারত আয়োজিত দ্বিতীয় ভয়েস অব দ্য গ্লোবাল সাউথ সামিট ২০২৩ এ ভাষণ দেওয়ার সময় এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘এটি মূলত জাতিগুলোর মধ্যে বিশ্বাসের ঘাটতি এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব, যা ইউরোপে চলমান যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনে গণহত্যার দিকে পরিচালিত করেছে।’
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, এই সংঘাতগুলো যুদ্ধরত দেশ এবং জড়িত আন্তর্জাতিক অংশদের মধ্যে সত্যিকারের বিশ্বাস ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা তৈরি করার জরুরি প্রয়োজনের আহ্বান জানায়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্ব অসহনীয় দারিদ্র্য, অনাকাঙ্ক্ষিত বৈষম্য, অসহনীয় সন্ত্রাসবাদ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়কর হুমকিতে জর্জরিত।’
তিনি বলেন, গ্লোবাল সাউথের জনগণের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ ও ক্রমবর্ধমান কষ্টের সঙ্গে এখন নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দেখা দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই সংকটময় সময়ে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং 'সবার প্রবৃদ্ধি' অর্জনের জন্য 'সবার আস্থা' জোরদার করতে হবে।’
আরও পড়ুন: উদ্বোধন হওয়া ৩ উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের জনগণ উপকৃত হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্লোবাল সাউথ আমাদের ভবিষ্যত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত, যদিও এটি প্রায়শই বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জের ঝুঁকিতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, ‘সবার আস্থার ভিত্তিতে আরও ন্যায়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গঠনে সক্ষম করার জন্য গ্লোবাল সাউথের জন্য আরও সুযোগ ও আওয়াজের অনুমতি দিয়ে এগুলো মোকাবিলা করা দরকার।’
তিনি এ ব্যাপারে বাংলাদেশের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা, বিনামূল্যে আবাসন, কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু অভিযোজন অর্জনে গ্লোবাল সাউথের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি গ্লোবাল সাউথ এবং বিশ্বের উন্নতির জন্য কিছু সুপারিশ করেন। সেগুলো হলো-
প্রথম: শান্তির প্রবক্তা হিসেবে তিনি বিশ্বাস করেন, মানবতার সার্বিক কল্যাণের জন্য বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা সমুন্নত রাখা অত্যাবশ্যক।
‘গ্লোবাল সাউথকে অবশ্যই একতরফা নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট বজায় রাখতে হবে।’
দ্বিতীয়: বৈশ্বিক জনসংখ্যার অর্ধেক হিসেবে নারীরা অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রাণবন্ত সমাজ গঠনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
‘দীর্ঘসময় ধরে নারী নেত্রী হিসেবে আমি নিশ্চিতভাবে জানি, একটি উজ্জ্বল ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যতের জন্য নারীর ক্ষমতায়ন একটি কৌশলগত প্রয়োজনীয়তা।’
আরও পড়ুন: আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নতমানের চলচ্চিত্র নির্মাণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তৃতীয়: বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা অত্যাবশ্যক।
‘গ্লোবাল সাউথে জলবায়ু অভিযোজনের জন্য অর্থায়ন বৃদ্ধি এবং প্রাসঙ্গিক প্রযুক্তি হস্তান্তর অপরিহার্য।’
চতুর্থ: প্রধান জনশক্তি রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে গ্লোবাল সাউথের উচিৎ সবার উন্নত জীবন প্রদান এবং আয়োজক ও স্বদেশ উভয় দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার জন্য উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অভিবাসনকে সহজতর করা।
পঞ্চম: কোভিড-১৯ এবং বিশ্বের বিভিন্ন অংশে সংঘাতের ফলে স্বল্পোন্নত দেশগুলো বিভিন্ন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।
‘আমি স্বল্পোন্নত দেশগুলোর গ্র্যাজুয়েশনের পরেও যথাযথ সময়ের জন্য শুল্ক, কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’
পরিশেষে, তিনি বৈশ্বিক মানব উন্নয়নে দক্ষিণ-দক্ষিণ ও ট্রায়াঙ্গুলার কোঅপারেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
‘আমি উন্নয়ন অংশীদার, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অংশীজনদের আরো উন্নত ভবিষ্যতের জন্য গ্লোবাল সাউথকে উদারভাবে সমর্থন করার আহ্বান জানাই।’
ভারত শুক্রবার ভার্চুয়াল ফরম্যাটে সেকেন্ড ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটের আয়োজন করছে, যা এই বছরের জানুয়ারির পর দ্বিতীয়বার হচ্ছে।
উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় গ্লোবাল সাউথ সামিটে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
কিছু ফিলিস্তিনি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর বায়োতে 'সন্ত্রাসী' উল্লেখ করায় ক্ষমা চেয়েছে মেটা
নিজেদের ফিলিস্তিনি হিসেবে পরিচয় দেওয়া কিছু ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর ‘বায়ো’তে 'সন্ত্রাসী' উল্লেখ করার জন্য ক্ষমা চেয়েছে টেক জায়ান্ট ফেসবুকের প্রধান কোম্পানি মেটা।
মেটা বলেছে, মাধ্যমটির কিছু ক্ষেত্রে ‘অনুপযুক্ত আরবি অনুবাদের কারণে’ সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।
তারা ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছে, ‘আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত যে এটি ঘটেছে।’
ইসরায়েল-গাজা সংঘাতের সময় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানানো কনটেন্ট সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে প্ল্যাটফর্মটির বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: গাজায় 'মানবিক বিরতির' আহ্বান জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবের ব্যর্থতায় ফ্রান্সের দুঃখ প্রকাশ
কিছু ব্যবহারকারী বলছেন, ফিলিস্তিনপন্থী পোস্টের জন্য ইনস্টাগ্রামে তাদের 'শ্যাডো ব্যান' (ব্যবহারকারীকে না জানিয়েই তার কনটেন্ট নিউজফিডে দেখানো থেকে বিরত রাখা) করা হয়েছে।
ব্যবহারকারীরা দাবি করেছেন, সংঘাতের কথা উল্লেখ করে স্টোরিজের ২৪ ঘণ্টার পোস্টে অন্যদের তুলনায় কম ভিউ পেয়েছেন তারা এবং অনুসন্ধানে তাদের অ্যাকাউন্টগুলো সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না।
প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটা স্বীকার করেছে, একটি বাগ (ত্রুটি) স্টোরিজকে প্রভাবিত করেছে। তবে বিষয়বস্তুর সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষ দোয়া বাংলাদেশে
ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষ দোয়া বাংলাদেশে
গাজা ও ফিলিস্তিনের অন্যান্য ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের জন্য শুক্রবার বাংলাদেশ বিশেষ দোয়া করা হয়েছে।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলান মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিনের পরিচালনায় মসজিদের দক্ষিণ ও উত্তর গেটে শত শত মুসল্লির অংশগ্রহণে প্রধান নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের জন্য আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করতে গিয়ে অনেক মুসল্লিকে অশ্রু বর্ষণ করতে দেখা যায়।
তারা ইসরায়েলি অভিযানে নিহতদের আত্মার চির শান্তি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
সরকারি নির্দেশে সিলেটে বৃহস্পতিবার হযরত শাহ জালাল (র.) মাজার মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বরিশালে খেলাফত-ই-মজলিশের ব্যানারে নগরীতে বিশেষ মোনাজাত শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
দেশের অন্যান্য স্থানেও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার সারাদেশের সব মসজিদে ফিলিস্তিনিদের জন্য জুমার নামাজে বিশেষ মোনাজাত করার কথা বলেন।
মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাতেও ফিলিস্তিনিদের জন্য প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সাম্প্রতিক ইসরাইলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের স্মরণে শনিবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে বাংলাদেশ।
অক্টোবরের শুরু থেকে ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছে।
চারদিক থেকে দখলদার ইসরায়েলের হামলার কারণে পুরো ফিলিস্তিনে খাদ্য, পানি ও ওষুধের অভাবসহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন সংকট সমাধান নির্ভর করছে মুসলিম উম্মাহর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর: প্রধানমন্ত্রী
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধ করুন, নারী ও শিশুদের বাঁচান: বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
সম্প্রতি ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের স্মরণে শনিবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সারাদেশের সব মসজিদে জুমার এবং অন্যান্য নামাজের পরে নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের নৃশংস হামলার শিকার শুধু মুসলিমরাই নয়, খ্রিস্টান ও ইহুদিরাও এর শিকার।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার সড়ক ভবনে একযোগে ৩৯টি জেলায় ১৫০টি সেতু এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নবনির্মিত ১৪টি ওভারপাস উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: একদিনে ৩৯ জেলায় ১৫০টি সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বাংলাদেশ পাশে থাকবে। কারণ ফিলিস্তিনের ওপর বারবার হামলা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবস্থান হলো অবিলম্বে এই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। ইসরায়েলের দখল করা ভূমি ফিলিস্তিনের জনগণকে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। ফিলিস্তিনের জনগণকে তাদের ভূমি ফিরিয়ে দিতে হবে।’
ঢাকায় অবস্থিত ওআইসি সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বুধবারের বৈঠকের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি রাষ্ট্রদূতদের বলেছেন ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরাও তাদের সঙ্গে আছি। আমাদের লড়াই করতে হবে। তাদের ওপর বার বার হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এটা মেনে নিতে পারি না।’
তিনি বলেন, ইসরায়েল যেভাবে ফিলিস্তিনের একটি হাসপাতাল ও অন্যান্য স্থানে হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনের নারী ও শিশুসহ নিরপরাধ মানুষ হত্যা করেছে, তার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের বোমা হামলায় নিহত বা আহত শিশুদের রক্তমাখা মুখ দেখা অসহনীয়।’
তিনি বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য বাংলাদেশ ওষুধ, শুকনো খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নারী ও শিশুদের জন্য ওষুধ, শুকনো খাবার এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠাব। আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের যা কিছু সম্পদ আছে আমরা সবসময় তা নিয়ে মানুষের পাশে আছি।’
প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ফিলিস্তিনিদের জন্য ওষুধ পাঠানোর পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।
বিএনপিকে খোঁচা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, লক্ষ্য করা গেছে এ ধরনের ঘটনার পেছনে যারা অসন্তুষ্ট হবেন তাদের ভয়ে অনেকেই এ ব্যাপারে এখনও নীরব রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘যারা নির্যাতিত মানুষের পক্ষে আওয়াজ তোলার সাহস পায় না, তারা (সরকারের) পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে; যা দুর্ভাগ্যজনক।’
অনুষ্ঠানে তিনি ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র নদের উপর ১ হাজার ১০০ মিটার কেওয়াটখালি সেতু এবং ১ হাজার ৪৭১ মিটার রহমতপুর সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের জন্য নবনির্মিত ডিটিসিএ ভবন উদ্বোধন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের বিআরটিএ অটোমেটেড মোটর ভেহিকেল ফিটনেস টেস্ট সেন্টার, বিআরটিসি বাস ডিপো এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সড়ক ভবনে এক অনুষ্ঠান থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এসব অবকাঠামো উদ্বোধন করেন। ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠ এবং মিরপুরে বিআরটিএ অফিস থেকেও ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দর্শকরা।
আরও পড়ুন: ওআইসি প্রতিবেশিদের সংলাপের মাধ্যমে তাদের সমস্যা সমাধানের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত
অবরুদ্ধ উপকূলীয় গাজার বিভিন্ন স্থানে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
সিনহুয়াকে পাঠানো এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজার দক্ষিণাঞ্চলের দেইর আল-বালাহ, রাফাহ ও খান ইউনিস শহর এবং উত্তর গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলাটি চালিয়েছে ইসরায়েল।
আরও পড়ুন: গাজার দক্ষিণাঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪০ ফিলিস্তিনি
এতে আরও বলা হয়, গাজায় সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হাতে অন্তত ৩ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল, হামাস ও সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণ কমেছে।
আরও পড়ুন: গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক: জাতিসংঘ মহাসচিব