������������������������������
নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিরাপত্তা প্রটোকল দেবে সরকার
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পুলিশের পক্ষ থেকে সকল রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রেস উইং থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা এবং আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা, তাদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া, গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় হামলাকারী ও তার সহযোগীদের পুলিশ ইতোমধ্যে শনাক্ত করেছে। তাদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ইতোমধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে।
প্রেস উইং জানায়, প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য শুক্রবার রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
দেশের ভেতরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়েছে, পুলিশ ইতোমধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া, এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে ইতোমধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।
প্রেস উইং বলেছে, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালকে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণের অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেছে।
‘হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করা ও আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগত ভাবে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তার দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন।
‘ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে যেন তারা অনতিবিলম্বে তার এবং ভারতে পলাতক তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের এ সকল ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
‘ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, শরিফ ওসমান হাদির হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে এবং তারা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশের কাছে তাদের প্রত্যর্পণ করে।’
২ ঘণ্টা আগে
সুদানে হতাহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পরিচয়সহ সর্বশেষ তথ্য জানাল আইএসপিআর
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে গতকাল (শনিবার) স্থানীয় সময় আনুমানিক দুপুর ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত ড্রোন হামলা চালায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী। হামলায় সেখানে দায়িত্বরত ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ এবং আটজন শান্তিরক্ষী আহত হন।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ ও আহত শান্তিরক্ষীদের নাম ও পরিচয় জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। সেইসঙ্গে আহতদের চিকিৎসার সর্বশেষ আপডেট জানানো হয়েছে।
শহীদ শান্তিরক্ষীরা হলেন: কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা, এএসসি (নাটোর); সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম, বীর (কুড়িগ্রাম); সৈনিক শামীম রেজা, বীর (রাজবাড়ি); সৈনিক শান্ত মন্ডল, বীর (কুড়িগ্রাম); মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (কিশোরগঞ্জ), লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া (গাইবান্ধা)।
আহত শান্তিরক্ষীরা হলেন: লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান, পিএসসি, অর্ডন্যান্স (কুষ্টিয়া); সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন, বীর (দিনাজপুর); কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি, সিগনালস (ঢাকা); ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম, ইএমই (বরগুনা); সৈনিক মো. মেজবাউল কবির, বীর (কুড়িগ্রাম); সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার, ইঞ্জি. (রংপুর); সৈনিক চুমকি আক্তার, অর্ডন্যান্স (মানিকগঞ্জ); সৈনিক মো. মানাজির আহসান, বীর (নোয়াখালী)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানায়, আহত আটজন শান্তিরক্ষীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে সৈনিক মো. মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ইতোমধ্যে তার সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। অপর আহত সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং তারা সকলেই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। শহীদ শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হচ্ছে এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সিলেটে বিজিবি সদস্যদের ওপর মাদক কারবারিদের হামলা
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে মাদক কারবারিদের হামলার মুখে পড়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হয়ে সে সময় বিজিবি সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়েছে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান।
তিনি জানান, বিজিবি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় ছয় থেকে সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৬ থেকে ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের চার রাস্তার মোড় ট্রলির লাইন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
বিজিবি সূত্র জানায়, মাদক পাচারের সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় টহলে যান বিজিবি সদস্যরা। এ সময় বেপরোয়া গতির একটি মোটরসাইকেলে ধাওয়া দিলে চালক মোটরসাইকেলটি ফেলে পালিয়ে যান। পরে সেখানে পড়ে থাকা ১৬৭ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়।
বিজিবির দাবি, তার অল্প সময়ের মধ্যেই ২০ থেকে ৩০ জনের একটি দল বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে অতর্কিত হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একপর্যায়ে চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। এরপর হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়।
বিজিবি-৪৮ সিলেট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক বলেন, মাদক কারবারিদের ধরতে গিয়ে বিজিবি সদস্যরা হামলার শিকার হন। আত্মরক্ষা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩ থেকে ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
হাদিকে গুলির পর কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির নজরদারি বৃদ্ধি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের পর থেকে কুমিল্লা সীমান্তজুড়ে টহল জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সীমান্তের যেসব এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই, সেখানে অতিরিক্ত নজরদারির পাশাপাশি ফোর্স বাড়ানো হয়েছে। গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে জেলার চৌদ্দগ্রাম, সদর দক্ষিণ ও সদর উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা ঘুরে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গোলাবাড়ি, বিবিরবাজার, বৌয়ারা বাজার ও চৌদ্দগ্রামের আমানগড় এলাকায় বিজিবি সদস্যদের তৎপরতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
বিবিরবাজার এলাকার বাসিন্দা আবু হাশেম বলেন, ঢাকায় গুলির ঘটনার পর শুক্রবার ও শনিবার সীমান্ত অনেকটা গরম। বিজিবি চেকপোস্ট বাড়িয়েছে, যাকে পাচ্ছে তাকেই তল্লাশি করছে।
৪ ঘণ্টা আগে
হাদিকে গুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন মাসুদের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ ছাড়া মাসুদের আইটি প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেড’-এর ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়েছে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে সব ব্যাংককে এ সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে এনবিআরের একটি সূত্র ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছে।
ফয়সাল করিম মাসুদ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) একজন সদস্য।
এনবিআরের গোয়েন্দা শাখা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে ফয়সাল করিম মাসুদের ব্যক্তিগত সব ব্যাংক হিসাবের পাশাপাশি তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের হিসাবও সাময়িকভাবে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য যাচাই এবং সম্ভাব্য অর্থের উৎস শনাক্ত করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ফয়সাল করিম মাসুদের মালিকানাধীন ‘অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেড’ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর সদস্য প্রতিষ্ঠান।
‘অ্যাপেল সফট আইটি লিমিটেড’ ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়া তিনি ওয়াইসিইউ টেকনোলজি লিমিটেড–এরও মালিক। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)–এর সহযোগিতা এবং সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কেন্দ্র করে ‘ব্যাটল অব ৭১’ নামে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করে।
রাজনৈতিকভাবে ফয়সাল করিম মাসুদ কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
এদিকে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য ব্যক্তি ও সম্ভাব্য আর্থিক যোগসূত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনের বিজয়নগর এলাকায় মোটরসাইকেলে এসে দুই দুর্বৃত্ত শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই চলছে তার চিকিৎসা।
হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিদের ধরতে এরই মধ্যে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাপিড অ্যানকশন ব্যাটালিয়নসহ (র্যাব) যৌথবাহিনী।
৫ ঘণ্টা আগে
ওসমান হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। এই হত্যাচেষ্টায় জড়িত সন্দেহে মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকেও আটক করেছে র্যাব-২।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে র্যাব সদর দপ্তরের উপপরিচালক (মিডিয়া) মেজর মোহাম্মদ লুৎফুল হাদি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটক আবদুল হান্নানকে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রমের জন্য পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এ গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করা হয়। শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে র্যাব-২-এর একটি বিশেষ দল মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবদুল হান্নানকে গ্রেপ্তার করে।
মেজর লুৎফুল হাদি জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আবদুল হান্নানের মালিকানাধীন মোটরসাইকেলটি ওসমান হাদির ওপর হামলায় ব্যবহার করা হয়েছিল। ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িতদের শনাক্ত এবং হামলার রহস্য উদ্ঘাটনে আরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলেও তিনি জানান।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনের বিজয়নগর এলাকায় মোটরসাইকেলে এসে দুই দুর্বৃত্ত শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই চলছে তার চিকিৎসা।
হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিদের ধরতে এরই মধ্যে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাপিড অ্যানকশন ব্যাটালিয়নসহ (র্যাব) যৌথবাহিনী।
৫ ঘণ্টা আগে
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিতে অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জাতীয় নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের দমনের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। এটিকে আরও জোরদার ও বেগবান করার জন্য এবং ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের দমনের উদ্দেশ্যে কোর কমিটি ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ অবিলম্বে চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটি সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করছে এবং বিষয়টিকে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।
তিনি বলেন, অনতিবিলম্বে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেxয়া হয়েছে। এ হামলায় জড়িত কাউকে কোনোপ্রকার ছাড় দেxয়া হবে না।
উপদেষ্টা এ বিষয়ে জনগণের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন এবং অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ওসমান হাদির ওপর আক্রমণের ঘটনা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার অপপ্রয়াস। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত বা বানচাল করার যেকোনো ধরনের অপচেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কেউ ধরিয়ে দিতে পারলে সরকারের পক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। উপদেষ্টা এ সময় ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতার জন্য সবাইকে দোয়া করার অনুরোধ করেন।
তিনি আরও বলেন, আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যুর ক্ষেত্রে এতদিন শুধু সামরিক ও বেসামরিক কর্মচারীদের অনুকূলে ইস্যু করা হতো। এখন জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্যে যারা আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইবে, তাদেরও লাইসেন্স ইস্যু করা হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে তার নিরাপত্তায় কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে—সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সরকার তারেক রহমানের নিরাপত্তায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং তার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১ দিন আগে
লক্ষ্মীপুরে নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগ, পুড়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ নথি
লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিসে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বত্তরা। এ সময় নিচতলার গোডাউনে থাকা বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে গেছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৩টার দিকে জেলা নির্বাচন অফিসে ঘটে এই ঘটনা। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ ও নির্বাচন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও জেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, জেলা নির্বাচন অফিসের নিচতলায় জানালার কাঁচ ভেঙে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বত্তরা। এ সময় অফিসের দারোয়ান টের পেয়ে চিৎকার দিলে তারা পালিয়ে যায়। পরে নির্বাচন অফিসের কর্মচারীরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। তবে ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই সেখানে উপস্থিত লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম মেহেদী হাসান জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা হয়।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুর রশিদ বলেন, আগুনে অফিসের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে গেছে। তবে বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে টের পাওয়ার কারণে বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। এ ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-সার্কেল) মো. রেজাউল হক বলেন, অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।
১ দিন আগে
পাঁচ দিনের রিমান্ডে শওকত মাহমুদ
রাজধানীর রমনা মডেল থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জনতা পার্টি বাংলাদেশের মহাসচিব শওকত মাহমুদকে জিজ্ঞসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খন্দকার আন্না শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতে অন্য দেশের এজেন্ট হিসেবে কাজ করার অভিযোগে যে মামলায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেই মামলায় শওকত মাহমুদকে গত রবিবার গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিন বিকেলে মালিবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তারের পরদিন সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের রমনা জোনাল টিমের পরিদর্শক আখতার মোর্শেদ তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। তবে ওইদিন মামলার মূল নথি না থাকায় রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়নি। রিমান্ড আবেদনের শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, শওকত মাহমুদসহ আরও অজ্ঞাত আসামিরা এনায়েত করিম চৌধুরীর সঙ্গে যোগসাজশে বিভিন্ন সময়ে দেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য জনসাধারণের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করছে। বর্তমান সরকারকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে এবং উচ্চপদস্থ লোকজন ও ব্যবসায়ী মহলের সঙ্গে গোপনে সভা-সমাবেশ, পরামর্শ করছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, অন্যান্য আসামির সঙ্গে যোগসাজশ করে শওকত মাহমুদ একটি প্রভাবশালী রাষ্ট্রের পক্ষে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চান। এজন্য তিনি কোন কোন দল বা সংগঠনের সঙ্গে গোপনে ‘শলাপরামর্শ করছেন’, সেসব তথ্য উদঘাটনে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন।
এর আগে, ঢাকার মিন্টো রোডের মন্ত্রীপাড়ায় গাড়িতে করে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে আটক করা হয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীকে। ওইদিন বিকেলে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে তোলা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে তাকে রমনা মডেল থানার এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর মিন্টো রোডের মন্ত্রীপাড়া এলাকায় প্রাডো গাড়িতে করে সন্দেহজনক চলাচল করতে দেখা যায় আসামি এনায়েত করিম চৌধুরীকে। এ সময় তার গাড়ি থামানো হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কোনো সদুত্তর দিতে না পারায় তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। তার কাছে পাওয়া দুটি আইনফোন জব্দ করা হয়। প্রাথমিকভাবে তার ফোন বিশ্লেষণ করে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, জিজ্ঞাসাবাদে এনায়েত করিম চৌধুরী জানিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক। গত ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে নিউইয়র্ক থেকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটযোগে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। তিনি বিশেষ একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থার চুক্তিভিত্তিক এজেন্ট। বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খুব নাজুক অবস্থায় আছে এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তিনি বর্তমান সরকারকে পরিবর্তন করে নতুন জাতীয় সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের নিমিত্তে কাজ করার জন্য বাংলাদেশে এসেছেন বলে জানান।
গত ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর তিনি সোনারগাঁও হোটেলে অবস্থান করেন। পরবর্তী সময়ে গুলশানের বর্তমান ঠিকানায় অবস্থান করতে থাকেন। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি উচ্চ ও নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এবং বিভিন্ন বাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা, ব্যবসায়ী মহলের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন বলে জানান।
তিনি আরও জানান, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমেরিকান সরকার হতাশ। আগামী ২১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় বাতিল করবেন বলে জানান। তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে সেনাবাহিনী-সমর্থিত নতুন জাতীয় সরকার অথবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে। নতুন এই সরকারে কারা অংশগ্রহণ করবেন এবং সরকারপ্রধান কে হবেন, তা আমেরিকা নির্ধারণ করে দেবে বলে জানান। তিনি বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটের আলোকে সরকারি ও বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বর্তমান অবস্থান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের তথ্য সংগ্রহ করে তা নিয়ন্ত্রিত গোয়েন্দা সংস্থার কাছে হস্তান্তর করতেন বলে জানান।
অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামি এনায়েত করিম চৌধুরী বর্তমানে বাংলাদেশের বৈধ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করার জন্য অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে এসে জননিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত আছেন, যা ধর্তব্য অপরাধ।
রমনা মডেল থানায় সন্ত্রাস বিরোধ আইনে মামলাটি করেন পুলিশের উপপরিদর্শক আজিজুল হাকিম।
মামলার অভিযোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় তার সহযোগী এসএম গোলাম মোস্তফা আজাদ, জাতীয় পার্টির রওশনপন্থী অংশের মহাসচিব কাজী মো. মামুনুর রশীদ, সাংবাদিক মো. আজহার আলী সরকার, যুব সংহতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রিফাতুল ইসলাম পাভেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন।
৩ দিন আগে
টাকা চুরি নিয়েই মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: ডিএমপি
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি ফ্ল্যাটে মা ও মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যার কারণ উদঘাটন করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। টাকা চুরি নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরেই প্রথমে গৃহকর্ত্রী লায়লা আফরোজ এবং পরে তার মেয়েকে ছুরিকাঘাত করে গৃহকর্মী আয়েশা।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এসএম নজরুল ইসলাম এ কথা জানান।
গতকাল (বুধবার) ঝালকাঠি থেকে অভিযুক্ত গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের যা জানা গেছে, তা নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ডিএমপি।
গত ৮ ডিসেম্বর সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলার বাসায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গৃহকর্মী বুধবার (১০ ডিসেম্বর) আয়েশাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি নলছিটি এলাকায় তার দাদা শ্বশুর বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।
এসএম নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর থেকেই আয়েশা ও তার স্বামী পলাতক ছিলেন। তবে মোহাম্মদপুর থানায় গৃহকর্মীদের যেসব তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষিত থাকে, সেগুলোর বিস্তারিত পর্যালোচনার ভিত্তিতেই তাদের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
তিনি বলেন, মোহাম্মদপুর থানায় সংরক্ষিত একটি পুরোনো নথিতে থাকা আয়েশার ছবিতে গলায় পোড়া দাগ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়। ওই সূত্র ধরে তদন্তকারী দল জেনেভা ক্যাম্পে যায়, যেখানে আগের চুরির কারণে তিনি পরিচিত ছিলেন।
তার ভাষ্যে, ‘আয়েশা আগেও এক বাসায় চুরি করেছিল। গত ২৫ জুলাই আরেক বাসা থেকে ৮ হাজার টাকা চুরি করে ধরা পড়েছিলেন। সেটা নিয়ে জিডিও হয়েছে। এটা একটা ক্লু হিসেবে কাজ করেছে। তিনি তার নিজের বোনের বাসা থেকেও চুরি করেছেন।
‘আয়েশার শরীরের পোড়া দাগ নিয়ে আমরা দুই ধরনের তথ্য পেয়েছি। একবার বলেছেন যে তিনি মায়ের সঙ্গে কোনো এক সময় রাগারাগি করে নিজের গায়ে আগুন দিয়েছিলেন। অন্য এক জায়গা থেকে জেনেছি যে, কোনো এক বাসায় কাজ করার সময় চুলা থেকে আগুন লেগে তার গলা পুড়ে গেছে। আমরা দুটো তথ্যই ভেরিফাই করছি।’
৩ দিন আগে