রাজধানীতে সাবেক এমপিসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের আরও সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (১০ মে) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন, সুনামগঞ্জ জেলার আওয়ামীলীগ মনোনীত সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম ওরফে শামীমা শাহরিয়ার (৪৫), দারুস সালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান মতি, গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআর আই) পরিচালক ও শেখ হাসিনার সহকারী প্রেসসচিব আশরাফ সিদ্দিকী ওরফে বিটু (৪৪), কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নেছার আহমেদ ওরফে নেছার উদ্দিন হাওলাদার (৩৫), দারুসসালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম (৪০), নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন সরকার (৫৫) ও দক্ষিণ বাড্ডা বাজার ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম বিপ্লব (৫৩)।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর ১টায় ধানমন্ডি এলাকা থেকে শামীমা আক্তার, আশরাফ সিদ্দিকী ওরফে বিটু, দারুসসালাম এলাকা থেকে দুপুর ৩টা ৫০ মিনিটে ইমরান মতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাভারের কুমকুমারি বাজার এলাকা থেকে ৫টা ৫ মিনিটে রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে। এছাড়া লালবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রাত পৌনে ১২টায় মোশারফ হোসেন সরকারকে, বাড্ডা থানার ১৮ নং সেক্টর থেকে মহিদুল ইসলাম বিপ্লবকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগে উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।