যশোরে সড়ক থেকে মোটরসাইকেল সরাতে বলায় ট্রাফিক পুলিশের এক কনস্টেবলকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী দাবি করা ওই পুলিশ সদস্যের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন শাওন নামের ওই যুবক।
শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় শহরের জেলরোড সড়কের ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার শাওন যশোর সরকারি সিটি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ট্রাফিক পুলিশ সদস্য শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, শরিফুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় রাস্তার ওপর মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ছাত্রদল নেতা শাওন। রাস্তায় মোটরসাইকেল থাকায় রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হলে ওই পুলিশ সদস্য তাকে মোটরসাইকেল সরিয়ে নিতে বলেন। এ সময় শাওনের সঙ্গে শরিফুলের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তা ধস্তাধস্তিতে রূপ নিলে শরিফুলের পোশাকও ছিঁড়ে যায়। সে সময় শাওন তার মুখে ঘুষি মারেন। পরে ট্রাফিক পুলিশের অন্য কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে শাওনকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করেন।
আরও পড়ুন: সুইসাইড নোট লিখে স্কুলছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’
ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মাফুজুর রহমান বলেন, ‘শরিফুল শাওনকে মোটরসাইকেল সরাতে বলেন। তখন শাওন বলেন— চিনিস আমাকে, আমার মোটরসাইকেল ট্রাফিক সার্জেন্টও সরাতে পারে না, আর তুই! এ কথা বলেই তার নাকে ঘুষি মারেন শাওন।’
তিনি বলেন, ‘ঘুষিতে শরিফুলের নাক ফেটে রক্ত বের হয়েছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। কোতোয়ালি থানায় এ বিষয়ে করা মামলায় শাওনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’