করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে এই পর্যন্ত মোট যে সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে শতকরা বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ঢাকা বিভাগে। আর সবচেয়ে কম মানুষের মৃত্যু হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। বয়স ভিত্তিক বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ৫১ বছর থেকে ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত।
রবিবার দুপুরে দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ) ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে আমাদের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশের ওপরে সম্ভাব্য সংক্রমণের হার থাকলেও আমরা মৃত্যুর হার খুব বেশী দেখিনি। দেশে এই পর্যন্ত মোট আক্রান্তদের মধ্যে মৃতের হার হলো ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বুস্টার ডোজ দেয়া থাকলে ভারতে যেতে লাগবে না করোনা টেস্টের সনদ
রোবেদ আমিন বলেন, ‘আমরা যদি বিভাগ ভিত্তিক মৃত্যুর হার দেখি, ঢাকা বিভাগের সবচেয়ে বেশি মৃত্যুবরণ করেছে। সেটি প্রায় ৪৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। এরপরই আছে চট্টগ্রাম বিভাগ, যেখানে মৃত্যুর হার ২০ দশমিক ১৫ শতাংশ। খুলনা বিভাগে মারা গিয়েছে ১২ দশমিক ৭৭ শতাংশ, আর সাত দশমিক ৩৬ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে রাজশাহীতে। রংপুর বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চার দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং সিলেট বিভাগে চার দশমিক ৫৫ শতাংশ মানুষ মারা গেছেন। আর বরিশাল বিভাগেতিন দশমিক ৩৭ এবং সর্বনিম্ন মৃত্যুর হার ময়মনসিংহ বিভাগে, যেখানে শতকরা মারা গিয়েছেন তিন দশমিক ০২ শতাংশ।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, বয়স ভিত্তিক বিবেচনায় ৫১ বয়স থেকে শুরু করে ৮০ বছরের মধ্যে করোনায় প্রায় আমাদের দেশে ৭০ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মানে এই নয় যে ৫০ বছরের নিচে কোন মৃত্যু নেই। আমরা দেখেছি ৪১ বছর থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত ১১ শতাংশ মানুষ করোনায় মৃত্যু বরণ করেছে। আর ৩১ বছর থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত পাঁচ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুই দশমিক ৩৫ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার সকল ডোজই চালু থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনা টিকা উৎপাদনের প্রযুক্তি ও জ্ঞান ভাগ করে নেয়ার আহ্বান ঢাকার