উপজেলার সীমান্তবর্তী সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্রে শুক্রবার রাতে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- উপ-পরিদর্শক(এসআই) আজিজুর রহমান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রায়হান কবির, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রুবেল দাশ, কনস্টেবল তপু নাথ, সাইফুল ইসলাম ও জামাল আহমদ। এদের মধ্যে এসআই আজিজুর ও কনস্টেবল জামালকে রাতেই সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার নিজপাট কমলাবাড়ী গ্রামের মৃত আব্দুল কাদির মেম্বারের ছেলে জামাল উদ্দিন (৩৫), তার সহোদর কামাল উদ্দিন (৪০) ও আব্দুল হান্নান (২৭)।
পুলিশের ভাষ্য, জৈন্তাপুর থানা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদে সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে ৩০ পিস ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারীকে আটক করে। তাদের ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টায় অন্য মাদককারাবারীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন। খবর পেয়ে জৈন্তাপুর থানা থেকে পুলিশের আরও কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলা প্রতিহত করতে শর্টগানের গুলি ছোড়ে।
এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিকের ভাষ্য, পুলিশের টহল টিম মাদক কারবারীদের আটককালে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আটক জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। আটকদেরকে মাদক আইনে মামলা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এসল্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে আটকদের শেষ পর্যন্ত থানায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।